পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সোমবার রাতে তাদের বহিষ্কার করে চিঠি দেয়া হয়। হল বরাদ্দ, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র কওে সোমবার দফায় দফায় পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ শাখা কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের সাথে সহ-সভাপতি গ্রুপের মধ্যে ক্যাম্পাসে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ এবং বঙ্গবন্ধু হলের দু’টি কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন জন সহ সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, মাহমুদ চৌধুরী আসিফ, আব্দল্লাহ আল মারুফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ কামাল তুহিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বল হয়েছে ।
এ প্রসঙ্গে সাময়িক বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোমবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এর সাথে ‘আমি কোনভাবেই জড়িত ছিলাম না। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে বহিষ্কার করানো হয়েছে।’ আশা করি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবেন।
অপরদিকে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত বলেন, ঘটনার জন্যে প্রকৃতই যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার। একই সাথে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা হবে। আশা করি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নোটিশের জবাব পেলে আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে জানতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী উল্লার মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও সাংবাদিকরা কথা বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, পাবনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী শান্ত ও সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ গ্রুপের সাথে সহ-সভাপতি ইয়াসির আরাফাত গ্রুপের মধ্যে ক্যাম্পাসে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রাণ ভয়ে দিগ-বিদিগ ছুটাছুটি করতে গিয়ে ১০ জন ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হন। আহতদের অধিকাংশই সাধারণ শিক্ষার্থী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।