ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মোহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী : ১৯৭৬ সালের ১৬ জুলাই জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ইতিাসে একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। বস্তুতঃ এদিন থেকে মাদরাসা শিক্ষক ও মাদরাসা শিক্ষার নবযুগের সূচনা হয় এবং মাদরাসা শিক্ষক সমাজ এক ডায়নামিক নেতৃত্বে অগ্রযাত্রা শুরু করে। এই নব অধ্যায়ের সূচনা পর্ব অনেকটা বেদনাদায়ক হলেও যেহেতু ইতিহাস তার গতি নিজেই নির্ধারণ করে এটাই ইতিহাসের অমোঘ শিক্ষা, সেহেতু জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে বহু প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করেই তাকে তার প্রাপ্য আসন লাভ করতে হয়েছে এবং মাদরাসা শিক্ষা ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বহু দুর্যোগ-দুর্বিপাক হতে রেহাই পেতে শুরু করেছে, অবশ্যই এখনও তাকে মারাত্মক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন কীভাবে স্বর্ণযুগে পদার্পণ করল তার সংক্ষিপ্ত ভূমিকা উল্লেখ করা প্রয়োজন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেখা গেল, সমগ্র দেশের মাদরাসাগুলি বন্ধই রয়ে গেছে। এমনকি কোনো কোনো মক্তব-মাদরাসার গৃহ-বিল্ডিংও বেদখল। একমাত্র সরকারি মাদরাসা বখশী বাজারস্থ আলিয়া মাদরাসা হোস্টেল, বরিশাল শার্ষিনা আলিয়া মাদরাসাসহ আরো কোনো কোনো মাদরাসায় ছিল ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অবস্থান কেন্দ্র। তাছাড়া মাদরাসার অনুমোদন বন্ধ, এমনকি ফাইনাল পরীক্ষা পর্যন্ত বন্ধ। মাদরাসা শিক্ষা আদৌ চালু রাখা হবে কিনা তাও সম্পূর্ণ অনিশ্চিত, এ সম্পর্কে বিতর্কের অন্ত নেই। একটি বিশেষ মহল মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে কেবল সোচ্চারই নয়, এর রিরুদ্ধে রীতিমত প্রচারণায় লিপ্ত। সরকারি মহলকে এ ব্যাপারে বাধ্য করার জন্য তারা ব্যতিব্যস্ত। এক শ্রেণির পত্র-পত্রিকা মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার জন্য অবিরাম এ শিক্ষার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে থাকে। মাদরাসা শিক্ষার্থী, আলেম সমাজ, মাদরাসা শিক্ষার প্রতি দরদী মহল সবাই যেন নিরুপায়। প্রায় একটি বছর মাদরাসা শিক্ষার এরূপ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থাকে নৈরাশ্যজনক না বলে পারা যায় না। ইতোমধ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গেলেও মাদরাসাগুলি এতিম অসহায়ের ন্যায় বন্ধই থাকে। এমতাবস্থায় কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা, মাদরাসা ছাত্রনেতা প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে এবং আলিয়া মাদরাসার অধ্যাপক মাওলানা আলাউদ্দীন আজহারী, আলিয়ার প্রাক্তন ছাত্র মাওলানা মুহিউদ্দীন শামীসহ আরও কয়েকজন আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী প্রমুখের সহায়তায় একে একে বন্ধ মাদরাসাগুলি খুলতে শুরু করে এবং তারা সরকারের সমর্থনে মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারের জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকেন। এটি ১৯৭২ সালের কথা।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৬৯ সালের মে মাস পর্যন্ত এর সংগঠনের নেতৃত্বে যারা ছিলেন, তারা এর উন্নতি-অগ্রগতির জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করেন এবং মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষক সমাজের স্বার্থ রক্ষায় তারা কোন ক্রটি না করলেও ৪০ বছরের এই সংগঠনের কাছ থেকে অনেক কিছুই পাওয়ার আশা ছিল। বিশেষতঃ বেসরকারি শিক্ষকগণ সরকার থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে যে আর্থিক অনুদান লাভ করে আসছিল তা নিতান্তই নগণ্য। এ সময়কার একটা মোটামুটি হিসাব নিম্নরূপ:
১৯৩৭ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক যখন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী, তখন তিনি বেসরকারি শিক্ষকদের অনুদান প্রদানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সরকারি অনুদান প্রাপ্ত, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য মাসিক তিন টাকা এবং এগুলির কর্মচারী কেরানী ও পিয়নের জন্য মাসিক এক টাকা অনুদান মঞ্জুর করেন। এই অনুদানকে তখন বলা হত ডিয়ারনেস এলাউন্স এবং তিন মাস করে বছরে মোট ৪ কিস্তিতে প্রদান করা হত। প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সাব ডিভিশনের ক্ষেত্রে এসডিও, জেলা সদর সাবডিভিশনের ক্ষেত্রে ডিএস-এর প্রতি স্বাক্ষরে ট্রেজারি থেকে এ টাকা উত্তোলনের নিয়ম ছিল। এ অবস্থা চলতে থাকে ভারত বিভাগের সময়কাল পর্যন্ত। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার এই এলাউন্স শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তিন টাকা থেকে পাঁচ টাকায় এবং কেরানী-পিওনের ক্ষেত্রে এক টাকা থেকে তিন টাকায় উন্নীত করেন। এই অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৯৫৭ সালে যথাক্রমে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা এবং ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা করা হয়।
১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৫৭ ডিয়ারলেন্স এলাউন্স যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তা কতই হতাশাব্যঞ্জক ছিল উপরোক্ত পরিসংখ্যান হতে তা সহজে অনুমান করা যায়। ১৯৬২ সালে মাওলানা এম. এ মান্নান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে বেসরকারি শিক্ষক সমাজের করুণ অবস্থার কথা এসেম্বলির বাজেট অধিবেশনে তুলে ধরেন এবং তার ৪৪ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতায় তৎকালীন স্পিকার আব্দুল হামিদ চৌধুরী অভিভূত হন এবং ওই বছরই বেসরকারি শিক্ষকদের অনুদান মাসিক ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় উন্নীত করা হয়। এই ২০ টাকা ১৯৭০ সাল পর্যন্ত জারি থাকে। পরবর্তীকালে তিনি জমিয়াতের সভাপতি হিসেবে যে ভূমিকা রাখেন তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় চল্লিশ বছরকাল পুরনো নেতৃত্বের অধীনে থাকার পর জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এক নতুন নেতৃত্বের অধীনে আসে এবং শুরু হয় এর পালাবদলের যুগ। ১৯৬৯ সালের মে মাসে মাওলানা এম. এ মান্নানকে মাদরাসা শিক্ষকগণ সর্বসম্মতভাবে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি পদে নির্বাচিত করেন। জমিয়াত পরিচালনার এই নেতৃত্ব বদলের মাধ্যমে সূচনা হয় নবযাত্রা। জমিয়াতের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মাওলানা এম. এ মান্নান ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়ার মিলনায়তনে সারাদেশের মাদরাসা প্রধানগণ ও বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামকে সমবেত করেন এবং সেখান থেকে মিছিল সহকারে বায়তুল মোকাররমে গিয়ে এক সভা করেন। এ সভায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও দাবী-দাওয়া উত্থাপন করা হয়, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শিক্ষকদের মাসিক ১০০ টাকা ভাতা, প্রতিষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রান্ড ইল এইড এবং ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। আর এসব দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তৎকালীন গর্ভনর হাউস (বর্তমানে বঙ্গভবন)-এর সামনে অবস্থান গ্রহণ করে তৎকালীন গভর্নর এডমিরাল আহসানের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ফলে ওই রাতেই সরকারের পক্ষ হতে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য মাসিক ভাতা যথাক্রমে ৩০, ৩৫, ৪৫ এবং বিশেষ ক্ষেত্রে (ফার্স্ট ক্লাস থাকলে) ৫৫ টাকা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের শেষ দিন এবং বাংলাদেশ আমলের ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এ অবস্থা বহাল ছিল।
স্বাধীনতার পর পর মাদরাসা শিক্ষকদের একক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন-এর অবস্থাও হয় মাদরাসাগুলির ন্যায়। এটিও অন্যদের দখলে চলে যায়। মাদরাসা শিক্ষক ও উলামায়ে কেরাম ষড়যন্ত্রের শিকার হন এবং তাদের উপর চলতে থাকে অমানুষিক অত্যাচার এবং অনেককে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এরূপ সংকটময় অবস্থা ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। আস্তে আস্তে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে এবং বন্দী উলামায়ে কেরামও কারামুক্ত হতে থাকেন। অবশেষে ১৯৭৬ সালের ১৬ জুলাই বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের এক সভায় সর্বসম্মতভাবে মাওলানা এম. এ. মান্নানকে জমিয়াতের পুনঃসভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এখান থেকে শুরু হয় মাওলানা এম. এ মান্নানের ডায়নামিক নেতৃত্বে-এ সংগঠেনর অগ্রযাত্রা এবং তার সহায়তায় এগিয়ে আসেন বহু সংখ্যক নিবেদিত প্রাণ উলামা নেতৃবর্গ ও সংগঠনকর্মী। ২৪, আমতলী, মহাখালীতে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়াতের কেন্দ্রীয় অফিস। অফিস ফার্নিচার, টেলিফোন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, টাইপ রাইটার, সাইক্লোস্টাইল মেশিন তথা অফিসের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হয়। পরিণতিতে আমতলীর এ কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিণত হল মাদরাসা শিক্ষক তথা আলেম সমাজের মিলন কেন্দ্রে।
নব পর্যায়ে মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন তৎপরতা
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হবার পর প্রখ্যাত আলেম মোহাদ্দেস ও রাজনীতিবিদ মাওলানা এম. এ. মান্নান নব পর্যায়ে তার বিশাল উন্নয়ন কর্মসূচী শুরু করেন জমিয়াতের আমতলী কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে। তার এ কর্মসূচীর মধ্যে ছিল:
১। শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার কর্মসূচী।
২। বাংলাদেশ শিক্ষক ফেডারেশন গঠন।
৩। ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা।
৪। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন।
৫। রাজধানী ঢাকার অদূরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য জমিন।
৬। পানি ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ।
৭। জুমআবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করা।
৮। ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
৯। জমিয়াত কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা।
১০। ইসলামী ছাত্র পরিষদ গঠন প্রভৃতি।
মাওলানা সাহেবের নেতৃত্বে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও হল সমূহে বহু সংখ্যক সম্মেলন করেন যেখানে রাষ্ট্র প্রধান থেকে শুরু করে সর্ব স্তরের লোক উপস্থিত হতেন, সেখানে মাদরাসার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, তাঁর অবদান, আলেম সমাজের মর্যাদা, জাতীয় চরিত্র গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় আলেম সমাজের ভূমিকা, আলেম ওলামায়ে মাশায়েখের বিরুদ্ধে আনিত নানা ভিত্তিহীন অভিযোগের অসারতা প্রমাণ ইত্যাদি বিষয়ের উপর সারগর্ভ আলোচনা অনুষ্ঠিত হত। বিভিন্ন সম্মেলন আলোচনা সভায় বাংলাদেশে অবস্থিত আরব দূতাবাস সমূহের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদেরকে দাওয়াত দিয়ে আনা হত এবং মওলানা এম. এ. মান্নান তাদের সামনে আরবি, ইংরেজিতে বক্তৃতা দিয়ে মাদরাসা শিক্ষা ও আলেম সমাজের অবদানের কথা তুলে ধরতেন। এভাবে জমিয়াত মুসলিম বিশ্বেও পরিচিতি লাভ করতে থাকে।
মাদরাসা শিক্ষা থাকবে, এ ছোট একটি বাক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্ব্যর্থহীন যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তাতে সাময়িকভাবে মাদরাসাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত ধামাচাপা পড়ে গেলেও পরবর্তী কালে তা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠে। ১৯৭৬ সালের ১৬ জুলাই নব পর্যায়ে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ডায়নামিক নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা সফলভাবে মোকাবিলা করে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখে। মাওলানা এম. এ. মান্নান (রহ.) পরবর্তীকালে তার যোগ্য উত্তরসূরী জমিয়াত সভাপতি ও ইনকিলাব সম্পাদক তার পিতার অসমাপ্ত কর্মসূচীগুলো একে একে বাস্তবায়িত করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সমর্থন-সহযোগিতা-সাহায্যে এবং তার সরকারের অনুমোদনক্রমে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন গতি লাভ করেছে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও চালু করা এবং মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ইত্যাদি তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।