পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জনগণকে নিজের মূল শক্তি এবং অনুপ্রেরণার উৎস্য উল্লেখ করে নিরাপত্তার নামে তাকে যেন জনবিচ্ছিন্ন করা না হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকার জন্য এসএসএফ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এসএসএফের সদস্যরা যারা আমাদের নিরপত্তায় নিয়োজিত তাদের এটুকুই বলবো- আমাদের মানুষ নিয়েই কাজ। সেই মানুষ থেকে যেন আমরা বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই সেই দিকটায় একটু ভালভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ভোটের মালিক জনগণ, তারা ভোট দেবে তাদের ইচ্ছামতো। যাকে তারা চায় তাকেই তারা পাবে। কিন্তু আমার একটাই লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন করে যাওয়া। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রিপরিষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, এখানে জনগনের সেবা করার জন্য এসেছি। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আসিনি।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দরবারে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রাজনীতি করি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। আর আমাদের যদি জনগণ থেকে আলাদা করে ফেলা হয় তাহলে ওই যে বলে না, জলের মাছকে যদি ডাঙ্গায় তুলে ফেলে দেয়া হয় তাহলে কিন্তু তারা দাবরিয়ে দাবরিয়ে মরে যায়। আমাদের অবস্থাও কিন্তু সেরকম হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ এ বাবা-মা-ভাইদের হারিয়ে যখন একেবারে নিঃশ্ব হয়ে পড়ি তখন এই জনগণের ভালবাসাই আমাকে শক্তি যোগায় নতুন করে বাঁচার প্রেরণা দেয়। এটা কিন্তু সব সময় মাথায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তুু মানুষের জন্যই কাজ করি। আমার ওপর যখন গ্রেনেড হামলা হয়েছে আমার সঙ্গে থাকা মানুষগুলি সেই মানব ঢাল রচনা করেই কিন্তুু আমাকে রক্ষা করেছে। তবে, আমি সব সময় এটাই বিশ্বাস করেছি আল্লাহ মানুষকে সবসময় কিছু কাজ দেন সেই কাজটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বোধ হয় আল্লাহই রক্ষা করে যান। নইলে একবারে মুখোমুখি আমি দেখেছি-গুলি চলছে। এক বার দুবার নয়, বারবার। আমার গাড়ির ওপর বোমা মারা হয়েছে। আর গ্রেনেড হামলাতো প্রকাশ্য দিবালোকে হয়েছে, সবাই দেখেছে। ট্রেনে গেছি সেখানে হামলা এবং গুলি এমন কি পাথর পর্যন্ত ছুঁড়ে মারা হয়েছে। এভাবে বহুবার বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যদিয়েই এগিয়ে যেতে হয়েছে। আল্লাহ যেভাবেই হোক প্রতিবার আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি তখন সংবিধানকে অনুসরণ করেই আমরা সরকার পরিচালনা করি। যার শুভ ফলটা দেশের মানুষ ও জনগণ পাচ্ছে। তিনি বলেন, কারণ আমরা ওয়াদাবদ্ধ জনগণের কাছে, আমাদের দায়িত্ব রয়েছে- এদেশের মানুষের কাছে, আমাদের রাজনীতিটাই এদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা, উন্নত জীবন দেয়া।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের অধিকারের কথা বলেই জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই তিনি এদেশের মানুষের দুর্দশা নিজের চোখে দেখে সংগঠন করে মুষ্ঠিবদ্ধ চাল ভিক্ষা করেও এ দেশের মানুষের অন্ন যোগের চেষ্টা করেছেন। নিজের গোলার ধান, পরনের কাপড়, বই-খাতা তিনি বিলিয়ে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে যে জঘণ্য কাজ বিএনপি-জামায়াত করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একজন জীবন্ত মানুষকে কিভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা যেতে পারে।
পদ্মা সেতু নিয়ে তার এবং পরিবারের সদস্য এবং মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়াতেই তারা এটা প্রমাণ করতে পারেনি বরং কানাডার আদালতে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম এখানে জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি। নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়।
জিমি কার্টারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির মাধ্যমে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে বলেছিলেন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারতে হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিজে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। তখন বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট। ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। আমি তাকে ওই জবাবই দিয়েছিলাম যে আগে আমার দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে হবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েও একই অনুরোধ পেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, তখন একই প্রশ্ন। আমি একই উত্তর দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমি ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তার পেছনে কারণ ছিল, আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে হবে। গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন অ্যামেরিকান কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করে। তাদের ইচ্ছা ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রি করবে। আর ভারত এই গ্যাস কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি আমাদের গ্যাস বিক্রি করার পক্ষে মত দিইনি।
তিনি বলেন, আমার কথা ছিল, আগে আমার কত গ্যাস আছে জানতে হবে। আমার দেশের চাহিদা পূরণ করতে হবে। ৫০ বছরের রিজার্ভ রাখতে হবে। তারপর যদি অতিরিক্ত থাকে, তবেই আমি বিক্রি করব। তাছাড়া এই গ্যাস আমি বিক্রি করতে পারব না।
যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার অনুরোধে সন্দেহ হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস আমার কত আছে, সেটা আগে আমাকে সার্ভে করে বের করতে হবে। তারা একবার সার্ভে করায়, কিন্তু এরপর আর করেনি। তিনি বলেন, আমি বারবার অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তারা করেনি বলে আমার একটু সন্দেহ হয়েছিল। তার মানে আমাদের দেশে কোনো গ্যাস নাই। তাহলে কেন বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছে?
বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে দেশের স্বার্থহানিকর কিছু করবেন না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যা বলব, এককথাই বলব। ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ আমি অন্যের হাতে তুলে দিতে পারি না। তাই আমি রাজি হইনি।
২০০১ সালের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, লতিফুর রহমানের বাসায় এক মধ্যাহ্ন ভোজে আওয়ামী লীগ থেকে তিনি ও জিল্লুর রহমান এবং বিএনপি থেকে খালেদা জিয়া ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়া যোগ দিয়েছিলেন, যেখানে জিমি কার্টার ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার আসেন। তার সঙ্গে আমাদের বৈঠক। সেখানে একই কথা (গ্যাস বিক্রি) ওঠে। আমি শুধু একটি কথাই বলে এসেছিলাম যে, আমার যে কথা বলার সেটা ঢাকায় বসেও বলেছি, ওয়াশিংটনেও বলেছি। কাজেই এটাই আমার কথা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশ বেচার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমার দেশের সম্পদ দেশের মানুষের। এটা আমি কাউকে দিতে পারব না। লতিফুর রহমানের বাড়ি থেকে তিনি ও জিল্লুর রহমান চলে যাওয়ার পরও বিএনপি নেতারা সেখানে থেকে গিয়েছিলেন বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপির নেত্রী থেকে যান। তারপর যা হবার; তাদের মধ্যে বোধহয় সমঝোতা হয়। ২০০১ এর নির্বাচনে আমরা যেটা দেখেছি, ভোট আমরা বেশি পেয়েছিলাম, কিন্তু সিট কম পেয়েছি। সরকারে আসতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৪ সালে তিনি মন্ত্রীর মেয়ে ছিলেন। তার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির মেয়ে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলেন তিনি নিজে দুবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-কাজেই দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়ার থাকলে বহু আগেই করতে পারেতেন। যা তিনি করেননি।
তিনি বলেন, অন্তত বাংলাদেশের মানুষের মাথা হেঁট করিনি। এইটুকু অন্তত গর্বভরে বলতে পারি। বরং মাথা উঁচু হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। যারা বাংলাদেশকে এক সময় অবহেলার চোখে দেখতো তারাও এখন বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে। এটাই বাঙালির প্রাপ্য ছিল যেটা আমরা আবার তাদের জন্য অর্জন করতে পেরেছি।
এসএসএফের মহাপরিচালক মো. শফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তবৃন্দ, বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে ১৯৮৬ সালে বর্তমানের এসএসএফ গঠিত হয়। সরকার প্রধান, রাষ্ট্র প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা প্রদানই এই বাহিনীর দায়িত্ব। পরে এই বাহিনীর নাম হয় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।
শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস আজ
আজ রোববার ১৬ জুলাই। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস আজ। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস আজ। ২০০৭ সালের এই দিনে ভোরে সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ধানমন্ডির সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের একটি জীপে করে ঢাকার সিএমএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতির মুখেও দলের নিবেদিত কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদালত প্রাঙ্গণে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে সমবেত হন হাজারো কর্মী-সমর্থক। এদিনটি আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
আদালতে শেখ হাসিনার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর হয় এবং তাকে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত এলাকায় তাকে যথাযথ নিরাপত্তা না দেয়ায় তিনি নাজেহালের শিকার হন। ওই সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত কয়েকটি মামলায় বিশেষ জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ওই সব মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনা হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু কন্যার মুক্তির দাবিতে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত হলে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তাকে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার দাবি জানান। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে কারাবন্দি শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন আট সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সেখানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের চিকিৎসা নেন তিনি। দেশে ফেরার পর আবার তাকে কারাগারে রাখা হয়। আটকের এক বছরেরও বেশি সময় পর স্থায়ীভাবে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।