Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালো তালিকাভুক্ত ১৬ হাজার মিল মালিক

ভিয়েতনামের ২০ হাজার টন চাল চট্টগ্রামে পেীঁছেছে

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধভাবে চাল মজুদকারী ১৬ হাজার মিল মালিককে (মিলার) চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। গতকাল সচিবালয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। হাওড়ে বন্যার পর গত কয়েক মাস ধরে দেশে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ক্রমেই বাড়ছিল চালের দাম। খাদ্যমন্ত্রী একাধিকবার জানিয়েছেন চালের দাম বৃদ্ধির জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা দায়ী। এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুদ করেছিল। হাওড় অঞ্চলে বন্যা হওয়ার পর থেকেই তারা মজুদ শুরু করেছিল। আমরা যে (বোরোর) ক্রয় মূল্য ৩৪ টাকা দিয়েছিলাম, বাজারের দামের সঙ্গে এর বিরাট ফারাক ছিল। যার ফলশ্রæতিতে আমরা (বোরো) সংগ্রহ করতে পারিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, চালের আমদানি শুল্ক উঠিয়ে দেওয়ার পর ভারত থেকে চাল আসছে। ভারত যদিও তাদের চালের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও যেভাবে চাল আসছে। যারা আজকে মজুদ করেছিল, এতদিন পর্যন্ত যে সব মিলাররা চুক্তি করেনি। তারা এখন বরং পস্তাচ্ছে। যারা মজুদ করেছিল তারা বাজারে চাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্রমান্বয়ে তারা ছেড়ে দিচ্ছে।
চালের দাম বাড়ানো অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট চিহ্নিত কি করে পেরেছেন? চিহ্নিত হয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে সব মিল মালিকরা অবৈধভাবে চাল মজুদ করেছে, তাদের আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তিন বছরের জন্য আমরা তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তাদের কাছ থেকে আমরা আর চাল ক্রয় করব না। এ ধরণের কালো তালিকাভুক্ত করা মিল মালিকদের সংখ্যা ১৬ হাজার বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান ভিয়েতনাম থেকে ২০ হাজার টন চাল ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বহিনোঙ্গনে এসে পৌঁছেছে। ১৮ জুলাই আরও ২২ হাজার টন, ২৪ জুলাই ২১ হাজার টন, ৩০ জুলাই ২৪ হাজার টন চাল আসবে। আগস্টের মধ্যে আরও এক লাখ ৪০ হাজার টন আসবে। ১৫ থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে টেন্ডার (দরপত্রে আহŸান করা) করা চালও এসে পৌঁছাবে। চারটি টেন্ডার আহŸান করা হয়েছে, একটা প্রসেসিংয়ে আছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সরকারের হাতে চালের সার্বিক মজুদ দাঁড়াবে ৮ থেকে ১০ লাখ টন। আর সেপ্টেম্বর নাগাদ এই মজুদ দাড়াবে ১২ লাখ টনে।



 

Show all comments
  • selina ১৪ জুলাই, ২০১৭, ৪:২৩ এএম says : 0
    What's impact on rice price ? A few rice business man's syndicate so much powerful / strong than government . ...,.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Kuddus Mondol ১৪ জুলাই, ২০১৭, ২:৩৯ পিএম says : 0
    এদের মিল গুলো সিলগালা করে দেওয়া হোক।বদমাইশের দল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ