Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুৎ সঙ্কটে চরম দুর্ভোগে পশ্চিম জোনের সাড়ে ৩ কোটি মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম
দেশের পশ্চিম জোনের ২১জেলায় বিদ্যুৎ সংকট এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩কোটি মানুষের দূর্ভোগকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চলেছে।
গত সপ্তাহখানেক ধরে বরিশাল ও খুলনা বিভাগসহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১জেলার পশ্চিম জোনে চহিদার ৩৫থেকে ৪০শতাংশ বিদ্যুৎ ঘাটতি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জরুরী চিকিৎসা পরিসেবা ও পনি সরবারহসহ অনেক অত্যাবশ্যকীয় সেবা পর্যন্ত ব্যহত হচ্ছে। শিল্প উৎপাদন সহ ব্যাবসা-বানিজ্যেও সংকট বাড়ছে। এবারের রমজান মাসেও পশ্চিম জোনে বিদ্যুৎ সরবারহ খুব একটা নির্বিঘœ ছিলনা। রমজানের অর্ধেকেরও বেশী সময় বিদ্যুৎ সংকটে এ অঞ্চলের রোজাদারদের দূর্ভোগ ছিল চরমে। ঈদের বাজারেও যথেষ্ঠ বিরূপ প্রভাব ফেলে বিদ্যুৎ সংকটের বিষয়টি।
স্থানীয় উৎপাদন ঘাটতির পাশাপাশি পূর্ব জোন থেকে চাহিদা মাফিক সারবারহ না থাকায় পশ্চিম জোনে গত কয়েকদিন ধরে চাহিদার ষাট ভাগের বেশী বিদ্যুৎ সরবারহ সম্ভব হচ্ছ না। এ অঞ্চলের ২১টি জেলায় সান্ধ্য পীক আওয়ারে প্রায় সাড়ে ১২শ মেগাওয়াট চাহিদার স্থলে ৮শ মেগাওয়াটেওর কম বিদ্যুৎ সরবারহ করছে ‘পাওয়ার গ্রীড কোম্পানীÑপিজিসিবি’। পিডিবি ও বেসরকারী রেন্টাল পাওয়ার স্টেশনগুলোর উৎপাদন ঘাটতির পাশাপাশি পিজিসিবি’র ‘সেন্ট্রাল লোড ডেসপাস সেন্টার-সিএলডিসি’ থেকে পশ্চিম জোনে সরবারহ রেশনিং করায় এ অঞ্চলের সাড়ে ৩কোটি মানুষ চাহিদার ৬০Ñ৬৫ভাগের বেশী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। এমনকি এ অঞ্চলে ডে-পীক আওয়ারে প্রায় সাড়ে ৮শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে সরবারহ সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ মেগাওাটের বেশী নয়। সান্ধ্য পীক আওয়ারে পশ্চিম জোনে সরবারহ ৭শ থেকে ৮শ মেগাওয়াটের মধ্যে সিমিত থাকছে। এরমধ্যে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ১৩০মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে সরবারহ মাত্র ৭০Ñ৮০মেগাওয়াটের বেশী নয়।
এরসাথে পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানীÑওজোপাডিকো’র দূর্বল বিতরণ ব্যবস্থার কারণেও বিভিন্ন জেলা সদরগুলোতে বিদ্যুৎ সংকট প্রকটাকার ধারন করছে। এমনকি খোদ বরিশাল মহানগরীতেও ওজোপাডিকো’র বিতরণ ব্যবস্থার গলদের কারণে লোডসেডিং-এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। ৩০বছরের পুরনো বিদ্যুৎ বিতরণ ও সরবারহ লাইনসহ জরাজীর্ণ ৩৩/১১কেভী সাব-স্টেশনগুলো প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে ফেলছে বরিশাল মহানগরবাশীকেও। এরসাথে ওভারলোডেড বিতরণ ট্রান্সফর্মার সহ মেয়াদত্তীর্ণ ১১কেভী ও .০৪কেভী বিতরণ লাইনগুলো সাধারন মানুষের দূর্ভোগকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।
একই দুরবস্থা অব্যাহত রয়েছে ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠী শহরেও। এখনো খোদ বরিশাল মহানগরীতে ‘আকাশে মেঘ জমলেই বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যায়’ বলে প্রবাদটি সত্যি হয়ে আছে। ঘাটতির সাথে সরবারহ ও বিতরণ ব্যবস্থার ত্রæটি দক্ষিণাঞ্চলে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ সাধারন মানুষের কাছ নির্বিঘেœ পৌছার প্রধান অন্তরায় হয়ে আছে।
এব্যাপারে ওজোপাডিকো’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিনের পুরনো লাইন ও বিদ্যুৎ স্থাপনা পশ্চিম জোনে বিদ্যুৎ সরবারহ ও বিতরন ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে। তবে পরিস্থিতি উত্তরনে বর্তামানে পশ্চিম জোনে দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টগন। কর্তৃপক্ষের মতে বসৈব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে। তবে এসব প্রর্কপ বাস্তবায়নে অপেক্ষা করতে হবে অঅরো অন্তত দু বছর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ