Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচারপতি আনোয়ারুল হকের ইন্তেকাল প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর শোক

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টা দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। আজ (শুক্রবার) জুম্মার নামাযের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হবে বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও হাইকোর্টের বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। শোক বার্তায় মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ জুলাই বিচারপতি আনোয়ারুল হককে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তবে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় ওই দিনই তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানকার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বিচারপতি আনোয়ারুল হক ১৯৫৬ সালের ১ আগস্ট নরসিংদি জেলায় প্রত্যান্ত গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৮০ সালে ১৫ নভেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে অন্তভুক্তি হন। এরপর ১৯৮১ সালে ১ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি জেলা জাজ হিসেবে পদোন্নতি পান।
পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্ট ডিভিশনের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০১২ সালে তিনি স্থায়ী নিয়োগ পান। পরে তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান আনোয়ারুল হক। ২০১৫ সালে দুই ট্রাইব্যুনাল একীভূত করার পর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন তিনি। ওইদিন ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠন করে এবং ট্রাইব্যুনাল-২ নিষ্ক্রিয় করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। তার নেতৃত্বে এ পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতটি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারপতি আনোয়ারুল হক সার্ক আরবিট্রেশন কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৮সাল থেকে কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অব লেজিসলেটিভ কাউন্সেলের সদস্য ছিলেন।



 

Show all comments
  • রুহুল ১৪ জুলাই, ২০১৭, ৯:৪৮ এএম says : 0
    প্রয়াত বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচারক থাকা অবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সাথে যুদ্ধ করছিলেন। মৃত্যুর ডাক যারা খুব কাছে থেকে শুনতে থাকেন, তাদের দ্বারা অন্যায় সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে খুঁজে খুঁজে এজাতীয় মরণাপন্ন ব্যক্তিগণকে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ দিলে অন্যায়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা সহজ হতে পারে বলে আমার ধারণা। প্রস্তাবটিতে কেউ হয়তো হৃদয়হীনতার গন্ধ পাবেন। কিন্তু বাস্তবায়ন হলে দেশ উপকৃত হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখলে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ