ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
আফতাব চৌধুরী : দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিক প্রতি বছর একটি করে গাছের চারা রোপণ করলে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি। এর অর্ধেকও যদি পূর্ণতা লাভ করে তবে বছরে দেশে নতুন বৃক্ষের সংখ্যা হবে প্রায় ৫ কোটি। আমরা জানি, দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বর্তমানে এই পরিমাণ ভয়াবহভাবে কম, মাত্র ৮ শতাংশ। প্রতি কিলোমিটারে ১০০০ জন মানুষ অধ্যুষিত এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সত্যিকার অর্থে ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল রাখা প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার। বৃক্ষরাজি দিয়েই সম্ভবত এর একটা অর্থপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর বৃক্ষরোপণে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে ‘সামাজিক বনায়ন’ ছাড়া সম্ভব নয়। সামাজিক বনায়ন কী? মানুষের জীবন ধারণের কার্যপ্রণালীর অংশ হিসাবে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যার ব্যাপারটি গ্রহণ করাই সামাজিক বনায়ন। খেলার মাঠ বাদ দিয়ে সকল পতিত জমি, উন্মুক্ত স্থান, বাড়ির আঙিনা, বাসস্তান, চা বাগানের অব্যবহৃত জমি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। গাছের বৈজ্ঞানিক সুফল ছাড়াও গাছ যে স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সুফল দেয় সে কথাটি প্রতি মুহূর্তে মানুষকে স্মরণ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উভয় পর্যায়ে এই ব্যাপারটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করা হলেই ইপ্সিত ফল পাওয়া যাবে।
ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে সরকারি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১ জুন সরকারিভাবে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রায় প্রতি বছরই বৃক্ষচারা রোপণ করে এ কর্মসূচির উদ্ধোধন করে থাকেন। এই সময়ে বলা হয়ে থাকে, ‘বৃক্ষরোপণ অভিযানকে আমরা একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে চাই।’ সামাজিক বনায়নের সঙ্গেই রয়েছে সামাজিক আন্দোলনের সম্পর্ক। সামাজিক বনায়ন প্রকৃতপক্ষে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি কৌশল। সামাজিক বনায়ন বলতে বুঝতে হবে সেই সব গাছের কথা যা রোপণ করতে মানুষ আগ্রহী হবে এবং নিজের উৎসাহে তা পরিচর্যা করবে। বনজ কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তা বা সরকারি বনবিভাগ যদি গণপর্যায়ে বৃক্ষ রোপণে উৎসাহ ও সহায়তা দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করে তবে সেসব কর্মকাÐ সামাজিক বনায়নের অংশ বলে বিবেচিত হবে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সামাজিক বনায়নকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বৃক্ষ উৎপাদন কর্মকাÐ হিসাবে দেখছে।
দরিদ্র দেশগুলোতে বনজ সম্পদ দ্রæত হ্রাস পাচ্ছে। কাঠ ব্যবসায়ী এবং সরকারি খাস জমির অবৈধ ভোগদখলকারী চক্র এই সম্পদ ধ্বংস করার পেছনে সবচাইতে বড় শক্তি। এই দুষ্টচক্র অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিজেদের মুনাফার জন্য তারা দেশের সর্বনাশ করতে দ্বিধান্বিত নন। ধ্বংসের তুলনায় বনজ সম্পদ পুনর্বাসন ও নতুন সম্পদ গড়ে তোলার হার খুবই সামান্য। বিশ্বে প্রতিদিন ২০০০০ হেক্টর বন ধ্বংস হচ্ছে, নতুন বন সৃজন করা হচ্ছে মাত্র ১০০০ হেক্টর। এইভাবে বন ধবংস হতে থাকলে এদেশ বৃক্ষহীন মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অপরাপর উদ্দেশ্য ছাড়াও শুধু আত্মরক্ষামূলক কৌশল হিসেবে এ রকম তিনটি মুখ্য কারণে সামাজিক বনায়ন কৌশল অবলম্বন অপরিহার্য। (১) ভোক্তা পর্যায়ে নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের সহজ যোগান সৃষ্টি। (২) বৃক্ষরোপণ কর্মকাÐের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং (৩) ঐতিহ্যিক বনাঞ্চলের বাইরের অবস্থানে বনজ সম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি করে দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষের হাত থেকে বনাঞ্চল রক্ষা করা।
ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির গড় পরিমাণ ০.০৭ হেক্টর। এক্ষেত্রে মাথাপিচু জমির পরিমাণ বাড়িয়ে ঐতিহ্যিক বন সৃষ্টি করা যাবে না। তবে পল্লী এলাকায় অনাবাদী, প্রান্তিক ও পতিত ভূমি ব্যাপকভাবে বৃক্ষায়নের ক্ষেত্র হতে পারে। এ ধরনের জমির পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর। দেশের ছোট বড় রাস্তার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিলোমিটার। উপকূলীয় ও নদীর বাঁধ রয়েছে ৬ হাজার কিলোমিটার। এই রাস্তা ও বাঁধের ঢাল ও সামনের প্রান্তিক ভূমি বাণিজ্যিকভাবে বৃক্ষায়নের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। এসব স্থান অবশ্য মানুষ এবং গৃহপালিত জন্তুর আবাস ও চারণভূমি। তাই স্থানীয় জনসাধারণকে কর্মসূচির সঙ্গে একীভূত করে, তাদের উপকৃত হওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিলেই সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি সফল হতে পারে। অন্যথায় নয়। দেশের চা বাগানগুলোতে পতিত জমির পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর এবং ব্যক্তি মালিকানায় ৫০ হাজার হেক্টর পাহাড়ে পতিত ভূমি রয়েছে। এই পুরো এলাকা নিয়ে সামাজিক বনায়নের কর্মসূচি গ্রহণ করলে সামাজিক বনায়নের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হবে ১৫ লক্ষ হেক্টর ভূমি। বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এবং মাথাপিছু ভূমির পরিস্থিতিতে এটা উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক বনায়নে ফসল উৎপাদন কর্মসূচী হবে ‘এগ্রোফরেস্ট্রি’ ভিত্তিক। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী জনগোষ্ঠী যেহেতু মূলত অভাবী মানুষ, তাই যত শীঘ্র উৎপাদনের সুফল তাদের হাতে এসে পৌঁছাবে, এ কর্মসূচি ততই তাদের উপকারে আসবে এবং তাদের নিকট আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য হবে। তাই ফসল উৎপাদন কর্মসূচি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী হতে হবে যাতে স্বয়ম্ভরতা ত্বরিত আসতে শুরু করে। স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদী ফসল অবশ্যই কৃষি ফসল হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী ফসল হবে বৃক্ষ জাতীয়। বৃক্ষের মধ্যে ফল-ফলাদীর গাছ ছাড়া কাঠ উৎপাদনকারী গাছ দ্রæত বর্ধনশীল প্রজাতির হওয়া উচিত, যা স্বল্প সময়ে জ্বালানি কাঠ, কৃষি যন্ত্রপাতি, ঘরবাড়ি নির্মাণ ও মেরামতের খুঁটি কুটির শিল্পের কাঁচামাল ইত্যাদি সরবরাহ করবে। যদি ৭ বছর আবর্তে এসব গাছ কাটা হয়, তবে সামাজিক বনায়নের জন্য মোট প্রাপ্তব্য ভূমির ১/৭ অংশে, অর্থাৎ বছরে প্রায় ০.২১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে কৃষি-বন সৃজন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ কার্যক্রমে বৃক্ষের নার্সারি উত্তোলন, বাগান সৃজন ও কৃষিজ ফসল উৎপাদনে বছরে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কার্যদিবসের কর্মসংস্থান হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাৎসরিক প্রায় ১৩০০ মিলিয়ন টাকার লাভজনক বিনিয়োগ ঘটবে পল্লী এলাকায়, যার প্রায় ৮০% হবে মজদুরের বেতন। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি, পশুপালন ও মৎস্য চাষের পাশাপাশি ‘এগ্রোফরেস্ট্রি’ একটি বড় রকমের কর্মকাÐে পরিণত হবে।
সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ০.২১ মিলিয়ন হেক্টরে কৃষি-বন উৎপাদন তৎপরতায় বার্ষিক হেক্টর প্রতি অতি নি¤œ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫.০ ঘন মিটার হিসাবে ৭ বছর আবর্তে মোট উৎপাদন দাঁড়াবে প্রায় ৭.৩৫ মিলিয়ন ঘন মিটার। শুধু জ্বালানি কাঠ হিসাবে বর্তমান বাজার দরে এর মূল্য প্রায় ৮ মিলিয়ন টাকা। এছাড়া প্রথম ৩/৪ বছর গড়ে বৎসরে ১০০০ মিলিয়ন টাকা মূল্যের ধান, তুলা, তিল, ডাল, তরিতরকারি, কৃষি উপজাত দ্রব্য থেকে জ্বালানি, মাছ ইত্যাদি ফসল উৎপাদিত হবে, যা দেশের সমৃদ্ধিতে বর্ধিত অবদান রাখতে সহায়ক হবে। এরূপ ব্যাপক ভিত্তিক সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি দেশের ভূ-দৃশ্য (ল্যান্ডস্কেপ)কে সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিতে সক্ষম। এ দৃশ্য শুধু নয়নাভিরাম ও কোমনীয় অনুভূতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সড়ক ও বাঁধের ধারের বনায়ন সমগ্র দেশে বহুমুখী বৃক্ষ বেষ্টনী সেন্টার বেল্ট সৃষ্টি করবে, যা শুল্ক মৌসুমে বাতাসের বেগ কমিয়ে যেমন মাটির আর্দ্রতাক্ষরণ রোধ করে কৃষি উৎপাদন বাড়াবে, অন্যদিকে কালবৈশাখী বা সামুদ্রিক ঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষের জান-মাল ও ফসলকে রক্ষা করতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়ক হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে কাঠ ও জ্বালানি কাঠের বাৎসরিক মাথাপিছু ব্যবহারের হার যথাক্রমে ৩.১০ ও ৫.১০ ঘনফুট। এই হিসাবে ১৯৯৮ সালে কাঠ ও জ্বালানি কাঠের চাহিদা ছিল যথাক্রমে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার ২% ধরে ২০২০ সাল নাগাদ এই চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে যথাক্রমে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট ও ৬১০ মিলিয়ন ঘনফুট। সরবরাহের চিত্র হল ২০২০ সালে এই পরিমাণ হবে কাঠ ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং জ্বালানি হবে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ ২০২০ সালে ঘাটতি হবে কাঠ ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং জ্বালানি কাঠ ৫৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। এই ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে আর বিন্দুমাত্র অপেক্ষার সময় নেই। এই জন্যেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে দেখা হচ্ছে জাতীয় কর্মসূচি হিসাবে। প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচিকে সফল করার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি এক বাণীতে বলেছেন, ‘অতীতে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাবে এ অভিযান সফল হয়নি। বর্তমানে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার কাঠামো বিদ্যমান। এই কাঠামোতে সরকার ও বিরোধীদল সমভাবে সম্পৃক্ত। তাই এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে দলমত অবস্থান নির্বিশেষে ঐক্য-বদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাফল্য সরকার ও বিরোধী দলের সমভাবে সম্পৃক্ততার ওপর নির্ভরশীল। একই সঙ্গে সরকারের কর্মসূচি জনগণের কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয় জনগণের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন ‘বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং জনগণকে যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে যথাযথভাবে অবহিত করে তাদের সরাসরি অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারি কর্মসূচি জনগণের কার্যক্রমে পরিণতি হয় না। আজকে তাই আমরা আমাদের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করে একে একটি দু’মুখী সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে চাই।’
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিরও মূল লক্ষ্য দেশ ও জনগণ। জনগণের জন্যই এই কর্মসূচি জরুরি হয়ে পড়েছে। জুন মাসে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনের পর এটা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। পৃথিবী এখন যে পরিবেশ-সংকটে ভুগছে তার রাজনৈতিক ধংঢ়বপঃ সমর্থন করেও বলা যায় বৃক্ষরোপণে আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে। পরিবেশের জন্য গাছই একমাত্র অবলম্বন নয়। একথা ঠিক। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন, এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। গাছ মানুষের অর্থনৈতিক অবলম্বনের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। বিজ্ঞানীদের মতে গাছ কার্বনের ধারক হিসাবে কাজ করে এবং ভূমÐলের কার্বন চক্রের জন্য এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুমÐল থেকে গাছ কার্বন ডাই-অক্সাইড আলোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে এবং মানুষের বেঁচে থাকার উপাদান অক্সিজেন ত্যাগ করে।
পরিবেশ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত হল-ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস প্রতিরোধে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৬০ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪০টি সাইক্লোন আঘাত হেনেছে। এ অঞ্চলে ১৯৭০ ও ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস ছিল মারাত্মক ও ভয়ঙ্কর। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্দরবন থাকায় খুলনা, ফরিদপুর, যশোর জেলা সব সময় এ ধরনের দুর্যোগ থেকে রেহাই পাচ্ছে। সুন্দরবনের অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৭০ সাল থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন জেগে ওঠা চরে বনায়ন করা হচ্ছে। পরিবেশ হল সামগ্রিক জীবন। আর এই জীবন রক্ষায় এক বড় উপাদান গাছ। আপনিও তাই আজই একটি গাছ লাগান, নিজের জন্য, জাতির জন্য দেশের জন্য।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।