Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে নজিরবিহীন বন্যার পূর্বাভাস

| প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৭, ১২:১৩ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আসাম, অরুণাচল প্রদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে আগামী কয়েকদিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ওই এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়েকটি নদী অববাহিকায় নজিরবিহীন বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আসাম, অরুণাচল, সিকিম, ভুটান আর উত্তরবঙ্গের কয়েকটি অঞ্চলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বর্ষার ফলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে আগামী ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, ও তার শাখা ও উপ-নদীগুলির পানির স্তর দ্রæত বাড়ছে। আসামের জোরহাট, ডিব্রæগড় আর শোনিতপুরে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় মাঝাড়ি থেকে শুরু করে বড়সড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আবার মোরিগাঁও, কামরূপ, গোয়ালপাড়া এবং ধুবড়ি জেলাগুলিতে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।

রাঙ্গানদী আর জিয়া ভরালী নদীগুলিতে জল এতটাই বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে উত্তর লখিমপুর শোনিতপুরে নজিরবিহীন বন্যা হতে পারে। এছাড়াও শিবসাগর, বরপেটা, কোকরাঝাড়, চিরাং এবং বঙ্গাইগাঁও জেলাগুলিতে একই সময়ে মাঝারি মাপের বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় আলিপুরদুয়ার জেলায় সঙ্কোশ নদীর জলস্তর বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে। তোর্ষা নদীর জল স্তরও বাড়ছে। সিকিম থেকে আসা অন্যান্য নদীর জলও বাড়ছে দ্রæত। গত কয়েকদিন ধরেই আসামের বিভিন্ন নদী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি চলছে। ব্রহ্মপুত্র, সিয়াং, সুবনসিরি, ধানসিঁড়ি, বেকি, বরাক এবং কুশিয়ারা নদীগুলির পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় ওই রাজ্যের ২০টি জেলার প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন। এ মাসের গোড়া থেকে বন্যায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আসাম বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। তাদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ৭১টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৭৭টি শিবির থেকে ত্রাণ বণ্টন চলছে।
বহু জায়গায় নদী বাঁধ, সড়ক আর সেতু ভেঙ্গে গেছে। দূরবর্তী এলাকাগুলি থেকে নৌকায় করে গত সোমবার প্রায় দেড় হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের চলতি এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই আবারও নতুন করে ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা জারী করা হল। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ