পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বস্তুগত সহায়তা দেয়ায় হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর এক সৈন্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ।
ইকাইকা এরিক ক্যাং নামের ৩৪ বছর বয়সী সেনাবাহিনীর ওই সার্জেন্ট ইরাক ও আফগানিস্তানে দায়িত্বপালন করেছিলেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ২৫তম পদাতিক ডিভিশনের ২৫তম কম্বাট এভিয়েশন ব্রিগেডের সার্জেন্ট ক্যাং এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনী ও এফবিআইয়ের তদন্তের অধীনে ছিলেন। শনিবার গ্রেপ্তারের পর এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে পাঠানো সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
হনলুলুতে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতে দায়ের করা মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ক্যাং মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে আনুগত্যের শপথ নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইএসের কাছে সামরিক নথি হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ দেবার ও ড্রোন সংগ্রহে সহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়েছে। ২৬ পাতার অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে ক্যাং মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোপন ডকুমেন্ট কপি করেন এবং পরিচয় গোপনকারী এফবিআই এজেন্টসের মাধ্যমে তা আইএসকে হস্তান্তরের চেষ্টা করেন।
এফবিআই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, হাওয়াইয়ের ওয়াহু দ্বীপে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর স্কোফিল্ড ব্যারাকে দায়িত্ব পালন করা ক্যাং একজন ‘বিচ্ছিন্ন আত্মগোপনকারী’ এবং জানামতে তার কোনো সহযোগী নেই যে হাওয়াইয়ের জন্য হুমকি হতে পারে।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞ ক্যাং সেনাবাহিনীর ফার্স্ট ক্লাশ সার্জেন্ট ছিলেন। তিনি ২০০২-০৩ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়, ২০১০-১১ পর্যন্ত ইরাকে এবং ২০১৩-১৪ পর্যন্ত আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন বলে সেনাবাহিনীর সার্ভিস রেকর্ড থেকে জানা গেছে।
এদিকে ইকাইকা এরিক ক্যাংয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, তার মক্কেল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। মার্কিন সরকারও তার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। কিন্তু তারা তার কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি।
এদিকে ক্যাং-এর পিতা ক্লিফোর্ড ক্যাং কেজিএমবি-কে বলেন, তিনি তার সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে বিস্মিত। তবে তার বিশ্বাস যে, তার সন্তান বিদেশে সামরিক সফর-উত্তর মানসিক অবসাদ সংক্রান্ত ট্রমায় ভুগছে। ক্যাং সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয় ২০০১ সালে নাইন ইলেভেন হামলার কয়েক সপ্তাহ পর। তিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।