ইনকিলাব ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এমন সময় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হল যখন কাতার সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার জন্য প্রতিবেশি দেশসমূহের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। দোহায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শায়খ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানী ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এ ঘোষণা দেন। রেক্স টিলারসন বলেন, পৃথিবী থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে গত মে মাসে রিয়াদ ঘোষণার আলোকে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শক্ত আহŸানের ফলশ্রæতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা দ্রæত পরিলক্ষিত হবে।

এদিকে সউদী নেতৃত্বাধীন আরব জোটের দেওয়া শর্তের বিরুদ্ধে কাতারের অবস্থানকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। গতকাল দোহায় কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শায়খ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সউদী নেতৃত্বাধীন জোটকে দেওয়া কাতারের জবাবের দিকে ইঙ্গিত করে টিলারসন বলেন, ‘আমি মনে করি কাতার তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে এবং এগুলোর বেশ যৌক্তিকতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে সমস্যার সমাধানে আমরা বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জন করতে পারব।’
সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ তুলে গত মাসের প্রথম দিকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে সউদী আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২২ জুন অবরোধ তুলে নিতে কাতারকে ১৩ দফা শর্ত দেয়া হয়। এসব শর্তের মধ্যে ছিল, আল-জাজিরা নেটওয়ার্ক বন্ধ করা, ইরানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ এবং গাজার ইসরায়েল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ আরো কিছু সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গত সপ্তাহে শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সউদী জোট কাতারের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। সূত্র : ওয়েবসাইট।