পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাসাহিত্যের প্রধান কবি আল মাহমুদের গতকাল মঙ্গলবার ছিল ৮২তম জন্মদিন। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে সারাদিন কবির মগবাজারের ফ্লাটে ছিলো উৎসবমূখর পরিবেশ। সকাল থেকেই কবিকে শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কবির ফ্লাটে আসতে শুরু করেন। তারা কবিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনেকেই নিয়ে আসেন জন্মদিনের কেক, মিষ্টি, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কবির বাসায় ভক্তদের ভীড় লেগেই থাকে।
সকালে কবির বাসায় গিয়ে দেখা যায় ফুলে ফুলে ভরে গেছে বসার কক্ষটি তারপরও ফুল হাতে নিয়ে অনেকই অপেক্ষা করছিলো কবিকে শুভেচ্ছা জানাতে। কবি আল মাহমুদ ফাউন্ডেশন নামের নবপ্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যনারে আনুষ্ঠানিকভাবে কবির ফ্লাটে বসার কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জন্মদিনে কবির পরিবারের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী তেহারী দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করানো হয়। এছাড়াও ‘কবি আল মাহমুদের ৮২তম জন্মদিন উদযাপন কমিটি’ও গঠন করা হয়। এই কমিটির তত্ত¡াবধানে সারাদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। জন্মদিন উপলক্ষে খুব সকালেই কবি আসাদ চৌধুরী ও সাঈদ চৌধুরী কবিকে শুভেচ্ছা জানাতে চলে আসেন। তার সঙ্গে আসেন একদল কবি-সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। কিছুক্ষণ পরেই আসেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কবি আল মাহমুদ সম্পর্কে কথা বলেন। দুপুরের দিকে কবিকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল ইসলাম, চিত্রনায়ক উজ্জ্বল, কবি আবদুল হাই শিকদার, টিভি ব্যক্তিত্ব শরীফ বায়জীদ মাহমুদ, ড. মামুন আহমেদ প্রমুখ।
দিনব্যাপী যেসব সংগঠনের পক্ষ থেকে কবিকে শুভেচ্ছা জানানো হয় সেসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র, বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমি, উৎসঙ্গ সৃজন চিন্তন, বিপরীত উচ্চারণ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ, নবধারা, উক্তি বাচিক উৎকর্ষ, ফুলকুঁড়ি আসর, সাহিত্য পত্রিকা নতুন এক মাত্র, মাসিক কিশোরকণ্ঠ, কাজী নজরুল ইসলাম সংসদ, সময়ের জানালা, বাংলাদেশ প্রজন্ম সাহিত্য পরিষদ, দৈনিক যুগান্তর, রেডিও টুডে, সারেগামা একাডেমি, চন্দ্রকথা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, দফ কালচারাল একাডেমিসহ শতাধীক সংগঠন।
দিনব্যাপী আয়োজনটি পরিচালনা করেন তরুন কবি আবিদ আজম। বিভিন্ন পর্বে কবিকে নিয়ে বক্তব্য আরো রাখেন কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, কবি কামরুজ্জামান, কবি জাকির আবু জাফর, কবি আহমদ বাসির, কবি আফসার নিজাম, ড. ফজলুল হক তুহিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক ইব্রাহীম বাহারী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম প্রধানসহ অনেকে। কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিকার নাসিম আহমেদ, মাহবুব মুকুল, সৈয়দ আল জাবের প্রমুখ। কবির লেখা সংগীত পরিবেশন করেন ওবায়দুল্লাহ তারেক ও সহশিল্পীবৃন্দ।
জন্মদিন উপলক্ষে কবি আল মাহমুদ তার অনুভ‚তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি খুবই কৃতজ্ঞ। দেশবাসি যে আমাকে ভুলে যাননি, আমার শুভাকাঙ্খীরা যে আমাকে ভুলে যাননি তা দেখে আমি সত্যি আপ্লুত। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।