Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বন্যা রক্ষা বাঁধ
এবার শুধু বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির কারণে অকালে হাওর ভেসে গেছে, যে কারণে দেশে চালের সংকট সৃষ্টি হলো। সামগ্রিকভাবে বিষয়টি চিন্তা করলে দুর্নীতি মানুষকে হত্যা করার চেয়ে কম নয়। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা নাকি এই মৌসুমের অপেক্ষায় থাকেন! বাঁধের জন্য টাকা আসবে সে টাকায় নিজেরা ভোগবিলাস করবেন!
বর্তমানে অতিবৃষ্টির কারণে প্রতিটি নদীর পানি বাড়ছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দেশের বড় বড় নদীর পানি। বন্যা রক্ষা বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়ছে। অসহায় মানুষগুলোর কান্না বাড়ছে। থাকার জায়গা নেই, খাবার নেই, পানি নেই একটু ত্রাণের অপেক্ষায় লাখো মানুষ। ত্রাণ তো দিতে হবেই, তার সঙ্গে জরুরি যে ব্যবস্থাগুলো নিতে হবে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বন্যা রক্ষা প্রকল্প, অর্থাৎ বাঁধগুলোর তদারকি। বাঁধগুলোর যেসব জায়গায় ক্ষতি হয়েছে, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে দ্রæত গতিতে বালুর বস্তা বা ইট ফেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাঁধ রক্ষা করা গেলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যাবে, তাই এ ব্যাপারে সরকারের সতর্ক থাকা উচিত।
সাঈদ চৌধুরী, গাজীপুর।

 

বয়লার বিস্ফোরণ
বয়লার বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। বয়লার বিস্ফোরণ হয় সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, অদক্ষ চালনার কারণে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বয়লার ব্যবহারের কারণে। তদারকি নেই কেন? শিল্প মন্ত্রণালয়ের কারখানা পরিদর্শন বিভাগের উচিত, প্রতি মাসে অন্তত দুবার পরিদর্শন করা।
বয়লার বিস্ফোরণের নানা কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পানির সঠিক প্রবাহ এবং চাপের সামঞ্জস্য ঠিক না থাকা। বয়লার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সরকার যে নিয়মটি চালু রেখেছে তা ভালোই, তবে দক্ষ বয়লার অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক কোম্পানি অমনোযোগী। এখনো অনেক বয়লার অ্যানালগ ব্যবস্থায় চলে, ফিড ওয়াটারের ব্যবস্থাপনা নেই। দক্ষ বয়লার অপারেটর ও বয়লারের পানি পরীক্ষার ল্যাব দরকার। কারখানা চালাতে হলে নিয়মকানুন মেনেই চালাতে হবে। তা না হলে বলতে হবে, এভাবে মানুষের মৃত্যু হওয়াটা কাঠামোগত হত্যাকান্ডের শামিল।
সাঈদ চৌধুরী, গাজীপুর।

 

ইটভাটা
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার যাদুয়ারচর গ্রামের ৯৯ শতাংশ লোক কৃষিজীবী। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গ্রামটির ঠিক মাঝখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেঁষে বিশাল এক ইটভাটায় ছয়-সাত বছর ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে, যা একেবারেই অবৈধ। কারণ, স্কুল-কলেজের পাশে বা আবাসিক এলাকায় ইটভাটা করার নিয়ম নেই। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে সারা বছরই ছোট ছেলেমেয়েদের সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা ইত্যাদি নানা রোগ লেগেই থাকে। এ ছাড়া গ্রামের পশ্চিম দিকে রয়েছে আরেকটি ইটভাটা। এই দুই ইটভাটার বিরূপ প্রভাবে গ্রামের কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যায়; নারকেল, সুপারি, আম, জাম, পেয়ারা, কলা ও সবজি শুকিয়ে ঝরে পড়তে যায়।
গ্রামের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ডিগ্রি বেশি থাকে। তা ছাড়া এই ইটভাটা দুটিতে ব্যাপকভাবে কাঠ পোড়ানোর কারণে এই অঞ্চলে গাছ কাটা হচ্ছে। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ইট বহনকারী একধরনের লরি সারাক্ষণই গ্রামের পথ দাপিয়ে বেড়ায়, ফলে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামে বসবাস করাই দায় হয়ে উঠবে। পরিবেশ বিপন্ন হয়ে যাবে। এখনই এটা বন্ধ করতে হবে।
মশারফ ঢালী, মাদারীপুর।


এমপিও শিক্ষকদের কর
বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে যাঁদের বেতন ১৬ হাজার, ২২ হাজার বা তার বেশি, তাঁদের করের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে। তবে সরকারিভাবে এখনো চিঠি ছাড়া হয়নি। বেসরকারি শিক্ষকেরা এমনিতেই শতভাগ উৎসব ভাতা পান না। তাঁরা বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাচ্ছেন না। সরকারি চাকরিজীবীদের মতো মেডিকেল ভাতা ও বাড়িভাড়া পান না তাঁরা। এ অবস্থায় এমপিও শিক্ষকদের করের আওতায় আনা কি ঠিক হবে?
মূল কথা হচ্ছে, যাঁদের যথেষ্ট সম্পদ ও অর্থকড়ি আছে, তাঁদেরই কর দেওয়া উচিত। অনেক শিক্ষকের তো বেতন ছাড়া আর কোনো আয় নেই। তাঁদের কাছ থেকে জোর করে কর নিতে চাইলে বিষয়টি ঠিক হবে না।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা যে সুযোগ পাচ্ছেন না, তাঁদের ওই সুযোগের আওতায় এনে কর নেওয়া যেতে পারে। তার আগে নয়। যাঁরা সম্পদশালী বা অবস্থাসম্পন্ন হয়েও কর দিচ্ছেন না, তাঁদের করের আওতায় আনা হোক।
এস এম গোলাম মোস্তফা, কুড়িগ্রাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন