পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে সাফল্য এবং প্রশিক্ষণে দক্ষতাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হওয়া উচিত। গতকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনা সদর দপ্তরে আর্মি সিলেকশন বোর্ড-২০১৭’র বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের প্রতি তার দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, সিলেকশন বোর্ডের সদস্যরা সকল ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থাশীল, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদেরই পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ভবিষ্যতে জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা চিন্তা করে এবং গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণে দক্ষ এমন দেশ প্রেমিক কর্মকর্তাদের হাতে থাকা উচিত। তিনি বলেন, আমি আশা প্রকাশ করি যে জাতির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ আরো উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রযাত্রায় তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। কাজেই এ কথা মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের কাছেই নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে চারটি বিশেষ গুণ থাকতে হবে। যেগুলো হচ্ছে-একজন কমান্ডার, কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষক হবার জন্য প্রথমত, সেনা কর্মকর্তাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। দ্বিত্বীয়ত, তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দেশ ও সমাজের সেবার মানসিকতা এবং উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। তৃতীয়ত, তাদের মাঠ পর্যায়ের সাফল্য থাকতে হবে। চতুর্থত, তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত এক্সিলেন্স, নিয়মানুবর্তিতা, সততা এবং নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে সেনাবাহিনীর খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষম করতে তারা গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারে। কাজেই সেনাবাহিনীতে তাদের কাছেই নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করা উচিত-যারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত, প্রতিযোগিতায় দক্ষ, মেধাবী এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল। প্রধানমন্ত্রী এ সময় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সিলেকশন বোর্ডকেও যোগ্যতার এই মাপকাঠি বিবেচনায় আনার আহŸান জানান। তিনি পদোন্নতির জন্য সেনা কর্মকর্তা নির্বাচনে ট্রেস (টিআরএসিই- টেবুলেটেড রেকর্ড এন্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন) পদ্ধতির অন্তর্ভুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনা প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহম্মদ শফিউল হক, মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে পাঁচ দিনব্যাপী (৯-১৩ জুলাই) আয়োজিত এ পর্ষদের কার্যক্রম শুরু হল। এ পর্ষদের মাধ্যমে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হতে কর্নেল এবং কর্নেল হতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবিতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এ পর্ষদের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ও দক্ষ অফিসারগণ সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পদোন্নতি পাবেন। প্রধানমন্ত্রী পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করতে উপদেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেনাসদরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।