Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জঙ্গি মাহফুজ সাত দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৭, ৫:২৩ পিএম

হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অস্ত্রের যোগানদাতা নব্য জেএমবির সুরা সদস্য সোহেল মাহফুজের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম এইচ এ এম তোয়াহা এই আদেশ দেন।

হোলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালতে বলা হয়, আসামি সোহেল মাহফুজ নব্য জেএমবির সুরা সদস্য। তিনি হোলি আর্টিজানে হামলায় অস্ত্রের যোগানদাতা। তামিম, মারজানসহ অন্যদের সঙ্গে তিনি এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

আদালতে পুলিশের এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু। তিনি আদালতকে বলেন, সোহেল মাহফুজ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। এই হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হোক।

সোহেল মাহফুজের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনিও আদালতে কোনো বক্তব্য দেননি। শুনানি শেষে আদালত আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল মাহফুজ ওরফে নসরুল্লাহ ছিলেন নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরকের যোগানদাতা। তিনি হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনা বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন। দুর্ধর্ষ এই জঙ্গি ভারতের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ মামলারও আসামি। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ভারতের পুলিশ ২০১৪ সালে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

পুলিশ জানায়, তিন সহযোগীসহ সোহেল মাহফুজকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেল মাহফুজকে গতকাল শনিবার ঢাকায় আনা হয়। তাঁর বিষয়ে জানাতে গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মনিরুল ইসলাম বলেন, হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় জড়িত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজের নাম পায় পুলিশ। নব্য জেএমবির যে বৈঠকে হোলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা করা হয়, তাতে এই মাহফুজও উপস্থিত ছিলেন।

মনিরুল ইসলাম গতকাল বলেন, ২০১৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে একটি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ এবং দুজনের প্রাণহানির পর ভারতীয় পুলিশ সোহেল মাহফুজকে খুঁজতে শুরু করে। ভারতে তিনি নসরুল্লাহ নামে পরিচিত। তাঁকে ধরিয়ে দিতে ভারতীয় পুলিশ তখন ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। সে সময় সোহেল মাহফুজ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে আসেন এবং নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হন।



 

Show all comments
  • রবিরাম*জুগল*চনদোন ৯ জুলাই, ২০১৭, ৯:৫৪ পিএম says : 0
    এখানে আমিতারফাসীচাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ