Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলা ডিবিতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৭, ৩:১০ পিএম | আপডেট : ৩:৩৮ পিএম, ৫ জুলাই, ২০১৭

কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহারকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত করতে যাচ্ছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার আদেশে মামলাটি আজ বুধবার আদাবর থানা থেকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘ফরহাদ মজহারকে অপহরণের অভিযোগে হওয়া মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তরের জন্য গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির কমিশনার মহোদয় আদেশ দিয়েছেন। মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তরের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’

ফরহাদ মজহারের পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, গত সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে শ্যামলীর হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভোর ৫টা ৫ মিনিটে ফরহাদ মজহার খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামেন। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফরহাদ মজহার স্ত্রী ফরিদা আখতারকে ফোন করে বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’

ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগর এলাকায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর প্রথমে ফরহাদ মজহারকে খুলনায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখান থেকে গতকাল সকাল পৌনে নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকার আদাবর থানায় আনা হয়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে। ডিবি কার্যালয় থেকে বেলা আড়াইটার দিকে ফরহাদ মজহারকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে মিন্টো রোডে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ফরহাদ মজহার তাঁদের বলেছেন যে মাইক্রোবাসে তোলার পর তিনি আর কিছু জানেন না। আদাবর থানায় হওয়া একটি মামলার ‘ভিকটিম’ হিসেবে ফরহাদ মজহারকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ বলেছে, আদাবর থানায় ফরহাদ মজহারের পরিবারের করা অপহরণের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি রেকর্ডের পর তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলবে।



 

Show all comments
  • শিহাব স্বাক্বীব ৫ জুলাই, ২০১৭, ৪:০০ পিএম says : 0
    ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার এবং জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই এম নাটক চলতেই থাকবে হয়তো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ