পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে দেশের হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। বর্তমানে সিলেট এলাকায় যে বন্যা দেখা দিয়েছে তা দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে ন্যাশনাল ওয়েজেস এন্ড প্রোডাক্টিভিটি কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পেশকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগস্টের শেষ দিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চল বন্যা প্লাবিত হতে পারে। তবে এ বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীসহ বন্যা দুর্গত এলাকার জনগণকে সহায়তায় আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা নিম্ন পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। তবে যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলে।
আগের দু’টি প্রলয়ংকরী বন্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৮ সালে খাদ্য সংকটে বহু মানুষ মারা গেছে। তবে সরকার ১৯৯৮ সালের বন্যা সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। দেশের ৭০ শতাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা জানি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের একটি সাধারণ বিষয়। সেজন্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোন দুর্যোগে প্রতিটি বিভাগকে দায়িত্ব পালন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্থায়ী নির্দেশ দেয়া আছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মায়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
এদিকে, গতকাল বাংলাদেশ সফরত মায়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উ থাউং তুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সেদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশ সমস্যা সমাধান করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমস্যা সমাধান করবো।
সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুইটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সমস্যা হবে এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা-সমাধান করতে সক্ষম। এ প্রসঙ্গে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার কথা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় ৩০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে বসবাস করছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। বর্ষা মৌসুমে এরা চরম দুর্ভোগের শিকার হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ সকল সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা পাচার সম্পর্কে সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে মায়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে সকল প্রকার সহযোগিতার প্রদানের আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ কখনো কোন সশস্ত্র গ্রুপ এবং বিদ্রোহীদের প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে এদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।
সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পল্লী এলাকার উন্নয়নই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণসহ বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন। মায়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা তার দেশে এধরনের সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
থাউং তুন বলেন, তার দেশে লক্ষ্য হচ্ছে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রতিষ্ঠা। তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুন উভয় দেশে শান্তি চায়। তার দেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ প্রসঙ্গে মায়ানমারের প্রতিনিধি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে উভয় দেশ তথ্য বিনিময় করছে। তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
থাউং তুন মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে গ্যাস বিক্রির বিষয়ে বলেন, উভয় দেশ এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়নের প্রশংসা করেন মায়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।