ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
জালাল উদ্দিন ওমর : জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশসন হাইকমিশনার ফর রিফিউজির (ইউএনএইচসিআর) উদ্যোগে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষায় প্রতি বছর ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হয়। এবারো হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ১৯ জুন সংস্থাটি কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালের শেষে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী এবং আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা ৬ কোটি ৫৬ লাখে পৌঁছেছে। এটা এ যাবত কালের সর্বোচ্চ এবং এই সংখ্যা ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। এর মধ্যে ২ কোটি ২৫ লাখ মানুষ শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। ৪ কোটি ৩ লাখ মানুষ নিজ দেশের ভেতরেই উদ্বাস্তু হিসাবে জীবন কাটাচ্ছে। আর ২৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৩ লাখ বেড়েছে। সংস্থাটির হিসাবে সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু হয়েছে সিরিয়ার লোকজন। গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সিরিয়ার ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ লাখ মানুষ শরণার্থী হিসাবে দেশ ছেড়েছে। আর ৬৫ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে দেশের ভিতরেই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে। আফগানিস্তানে উদ্বাস্তু হয়েছে ২৫ লাখ মানুষ। দক্ষিণ সুদানে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ১৪ লাখ। আর ৫৩ লাখ ফিলিস্তিনি বর্তমানে শরণার্থী হিসাবে বসবাস করছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তুরস্কের আশ্রয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু রয়েছে। উদ্বাস্তু হিসাবে তুরস্কে বসবাস করছে ২৯ লাখ মানুষ, পাকিস্তানে বসবাস করছে ১৪ লাখ মানুষ, লেবাননে বসবাস করছে ১০ লাখ মানুষ, ইরানে বসবাস করছে ৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষ, উগান্ডায় বসবাস করছে ৯ লাখ ৪১ হাজার মানুষ এবং ইথিওপিয়ায় বসবাস করছে ৭ লাখ ৯১ হাজার মানুষ। বর্তমান বিশে^ প্রতি ১১৩ জন মানুষের একজন আজ এই পরিস্থিতির শিকার এবং ওরা আজ উদ্বাস্তু। এ শরণার্থী সংকটকে পুঁজি করে ইউরোপের দেশগুলোতে উগ্র স্বাদেশিকতাবাদ বিকশিত হচ্ছে এবং উগ্র ডানপন্থী ও অভিবাসীদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে।
ঘরবাড়ি হারিয়ে, নিজ দেশ ছেড়ে এসব মানুষ আজ ভিন দেশে রাস্তায় বাঁচার জন্য হাঁটছে। কখনো বা নৌকা, কখনো বা ভেলায় চড়ে জীবন বাজি রেখে লাখো মানুষ আজ সাগরের উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। ভিন দেশে প্রবেশের জন্য এসব মানুষ কখনো পাড়ি দিচ্ছে সাগরের উত্তাল জলরাশি, কখনো পাড়ি দিচ্ছে পাহাড়ি জঙ্গলের কন্টকাকীর্ণ পথ আবার কখনো পাড়ি দিচ্ছে সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়া।ওরা রোদের গরমে পুড়ছে, বৃষ্টির পানিতে ভিজছে আর রাত্রে খোলা আকাশের নীচে ঘুমাচ্ছে। ভয়ংকর এবং বিপদসংকুল এই যাত্রাপথে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে হাজারো মানুষ। বাঁচার তাগিদে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়ে সাগর তীরে পড়ে থাকা সিরিয়ার শিশু আয়লানের লাশ তার জ¦লন্ত প্রতিচ্ছবি। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই আজ উদ্বাস্তু, সবাই আজ শরণার্থী। যাদের এক সময় অর্থ বিত্ত আভিজাত্য সবই ছিল, তাদের আজ কিছুই নেই। তারা আজ তাবুর ঘরে বাস করছে। কারো কারো দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে। বেঁচে থাকার মৌলিক কোন উপাদানই এদের জীবনে বিদ্যমান নেই। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কোন কিছুর নিশ্চয়তাই নেই। এদের জীবনে এখন বিদ্যুৎ নেই , বিনোদন নেই, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নেই। একজনের জায়গায় দশজন বাস করছে। এদের জীবনে আজ সুখ, আনন্দ আর শান্তি বলতে কিছুই নেই। ওদের জীবনে কোন স্বপ্ন নেই, সুন্দর ভবিষ্যতের কোন হাতছানি নেই। সন্তানদের পড়াশোনার জন্য স্কুল নেই, প্রার্থণার জন্য জায়গা নেই। প্রাণ আছে বলেই বেঁচে আছে আর কি। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা আজ কোটি মানুষের জীবনকে শেষ করে দিয়েছে। সর্বনাশা যুদ্ধ এদের সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে। ওরা সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের নিষ্ঠুর খেলার শিকার। এসব মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে আজ সবাই ব্যর্থ। জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, আসিয়ান, সার্ক, আফ্রিকান ইউনিয়নসহ সবাই ব্যর্থ। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীনও ব্যর্থ। ব্যর্থ পুরো মানবজাতি এবং ব্যর্থ মানবাধিকারের প্রবক্তারা। এই ব্যর্থতা পুরো মানবজাতির জন্য লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা মানবতারই লজ্জা।
যাদেরকে নিয়ে ওপরের কথাগুলো বলেছি, তারা আর কেউ নয় তারা পৃথিবী নামক আমাদেরই গ্রহের বাসিন্দা। তারা এই সভ্য দুনিয়ারই বাসিন্দা, যেখানে আকাশচুম্বী অট্টালিকা আর বিদ্যুতের জমকালো চমকানিতে চোখ দিশা হারিয়ে ফেলে। যেখানে বিনোদনের জন্য খেলা, নাটক, সিনেমা আর গানের পিছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে। অথচ এই সব বনি আদম আজ সর্বহারা। এসব হতভাগা মানুষ ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন এবং মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠী। বছরের পর বছর ধরে চলা অর্থহীন ও আত্মঘাতী গৃহযুদ্ধ এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে এসব মানুষ আজ শুধুমাত্র বাঁচার তাগিদে আপন ঘরবাড়ি, ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থ সম্পদ, প্রিয়জন এবং প্রিয় দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তারা আজ উদ্বাস্তু এবং তাদের পরিচয় আজ শরণার্থী। ওদের আজ কোন কাজ নেই, কর্ম নেই, উপার্জন নেই, ঘরবাড়ি নেই, সহায় সম্পদ নেই। অন্যের দেয়া ত্রানে ওরা শরণার্থী শিবিরে আজ কোন রকমে বেঁচে আছে। তাদের জীবনে আজ এই বিপর্যয়, গোটা মানবজাতিরই বিপর্যয়। তাদের জীবনের এই সীমাহীন দুঃখ, দুর্দশা এবং লাঞ্চনার জন্য আমরা সবাই দায়ী। দায়ী বৃহৎ শক্তিবর্গ, যারা এই পৃথিবীর হর্তাকর্তা, যারা এই পৃথিবীর নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং যারা এই পৃথিবীকে শাসন করছে।
৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছে। অর্ধকোটি ফিলিস্তিনি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে জীবন যাপন করছে। অনেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরেই জন্মগ্রহণ করেছে, শরণার্থী শিবিরেই বড় হয়েছে এবং শরণার্থী শিবিরেই মৃত্যুবরন করেছে। কিন্তু বিশ^ নেতারা এই সমস্যার সমাধান করেনি। আফগানিস্তানে ৩০ বছরের ও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। কয়েক লাখ আফগান দীর্ঘদিন থেকেই শরণার্থী। তারাও শরণার্থী শিবিরে জীবনযাপন করছে।তাদের সমস্যা সমাধানেও বিশ^ নেতারা এগিয়ে আসেনি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ^ কর্তৃক ইরাকে হামলা, প্রেসিডেন্ট সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যা করা এবং পরবর্তীতে সেখানে বিভিন্ন গ্রæপের দ্ব›দ্ব-সংঘাতে অনেক ইরাকী বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষে আছে রাশিয়া, চীন, ইরান, হিজবুল্লাহসহ পশ্চিমা বিরোধী শক্তি। আর আসাদ বিরোধী পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সৌদি আরব, তুরস্ক, কুয়েত, কাতারসহ পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন শক্তি। আর এই দুই জোটের স্বার্থ হাসিলের দ্ব›েদ্ব পিষ্ট হচ্ছে সিরিয়ার নিরাপরাধ মানুষ। যুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া আজ শেষ। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো বলতে কিছুই নেই। এ পর্যন্ত এ যুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে আর ৫৫ লাখ সিরিয়ান বিভিন্ন দেশে উদ্বাস্তু হয়েছে। আর নিজ দেশে উদ্বাস্তু হিসাবে বসবাস করছে ৬৫ লাখ মানুষ। আর এই সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাঁচার তাগিদে হাজার হাজার সিরিয়ান সাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশের পথে পথে ঘুরছে। সাহায্যের আশায় অন্যের কাছে হাত পাতছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধুর স্বপ্ন দেখিয়ে লিবিয়ার ক্ষমতা থেকে মোহাম্মদ গাদ্দাফীকে উৎখাতে পশ্চিমারা বিমান হামলা করে। ছয় মাস ধরে অবিরাম বিমান হামলা করে পশ্চিমারা লিবিয়ার ক্ষমতা থেকে গাদ্দাফীকে উৎখাত করে এবং হত্যা করে। কিন্তু লিবিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি বরং গৃহযুদ্ধে লিবিয়া আজ কয়েক খন্ডে বিভক্ত, একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশ। সেখানেও রাষ্ট্রের কোন অবকাঠামো আর বিদ্যমান নেই। বাঁচার তাগিদে লিবিয়ার মানুষেরা আজ নৌকায় সাগর পাড়ি দিচ্ছে আর অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন যাপন করছে।
এই যে মানব জাতির দুর্দশার চিত্র, তা নিয়ে যদি একটু গভীরভাবে ভাবেন তাহলে দেখবেন এইসব উদ্বাস্তুরা প্রায় সবাই মুসলিম। প্রায় সবাই মুসলিম দেশের নাগরিক। আর যেসব দেশে যুদ্ধ চলছে সেগুলো সবই মুসলিম দেশ। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া সব দেশেই যুদ্ধরত পক্ষগুলো মুসলিম। এই যুদ্ধে যারা মরছে তারা সবাই মুসলিম। যা কিছুই ধ্বংস হচ্ছে সবই মুসলমানদের সম্পদ। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনসহ অস্ত্র বিক্রেতারা দেদারছে অস্ত্র বিক্রি করছে। একদিকে মুসলমানদের টাকায় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান, অপরদিকে সেই অস্ত্রের আঘাতে মারা যাচ্ছে মুসলমানরাই এবং মুসলমানদেরই ঘর বাড়ি সব ধ্বংস হচ্ছে। বিশে^র শক্তিশালী রাষ্ট্রসমূহ যুদ্ধরত দুই পক্ষকেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশসমূহ হয়ে ওঠেছে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের দাবার খেলার স্থান। তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে খেলছে। মুসলিম দেশসমূহে সা¤্রাজ্যবাদীরা যুদ্ধের নতুন নতুন ফ্রন্ট লাইন খুলছে। ফলে আত্মঘাতী এই যুদ্ধ বন্ধ না হয়ে অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলছে। এই আত্মঘাতী যুদ্ধই মুসলমানদেরকে ধ্বংস করেছে।
মুসলিম দেশসমূহের এই সমস্যা সমাধানে বিশে^র হর্তাকর্তারা এগিয়ে আসবে না এবং সমাধানও করবে না। এই কথাটি নিরেট সত্য বলেই মুসলিম বিশে^র সমস্যা দিন দিন না কমে বরং বাড়ছে। এ জন্য আজকের বিশে^ যত গৃহযুদ্ধ সব মুসলিম দেশেই। যত উদ্বাস্তু এবং শরণার্থী সবাই মুসলিম। এমনকি আমাদের দেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরাও মুসলিম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই এসব পাকিস্তানি বাংলাদেশের রিফিউজি ক্যাম্পে মানবতের জীবন যাপন করছে। মানবকল্যাণ ইসলামের প্রধান শিক্ষা হলেও মুসলমানদের কারণে মুসলমানরা আজ ঘরবাড়ি ছাড়া, দেশ ছাড়া এবং তারা আজ শরণার্থী। অনেকে বলে ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ মুসলিম দেশগুলোর সমস্যার জন্য পশ্চিমারা দায়ী এবং পশ্চিমারাই এসব সংকট সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এ কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত নই। কারণ মুসলিম দেশের শাসক এবং রাজনীতিবিদরা যদি এসব কাজে পশ্চিমাদের সহযোগী না হতো এবং পশ্চিমাদের সহযোগিতা না করত তাহলে পশ্চিমারা সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে মুসলিম দেশে এসে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারত না।
সুতরাং আসুন, আজই এই মরণ যুদ্ধ বন্ধ করি এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করি। আত্মঘাতী এবং অনিবার্য ধ্বংসের হাত থেকে মানবতাকে বাঁচাই। যেসব মানুষ আজ ঘরবাড়ি হারা, দেশ হারা এবং শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা তাদের পাশে দাঁড়াই এবং তাদেরকে নিজ দেশে, নিজ ঘরে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করি। তাহলে বাঁচবে মানবতা এবং বাঁচবে সমাজ, বাঁচবে গোটা বিশ্ব।
লেখক : প্রকৌশলী ও উন্নয়ন গবেষক। নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি মেকার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।