পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : স্বাধীনতার পরের বছরগুলোতে দেশের ৩২৫ কিলোমিটার রেলপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে ১৬৪টি স্টেশন। এতে সংকুচিত হয়ে পড়ে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এদিকে ফরিদপুরের মধুখালি থেকে কামারখালি হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ১০ কি.মি. রেল লাইন দ্রুত চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, ফরিদপুরের মধুখালি থেকে কামারখালি হয়ে মাগুরা পর্যন্ত রেল লাইন দ্রæত চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মধুখালী থেকে কামার খালী পর্যন্ত পুরাতন রেল লাইন নতুন করে নির্মান করা হবে। আর কামারখালি থেকে মাগুরা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মান করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্প তৈরী কাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থায়ন, সমীক্ষা ও জমি অধিগ্রহণের কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ হলেই নির্মান কাজও শুরু হবে। তবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন না বিদেশি অর্থে নির্মাণ হবে এ ব্যাপারে মন্ত্রী কিছু বলেনি। রেলমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার রেলপথ স¤প্রসারণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সে অনুসারে কাজ করছে। তিনি জানান, সরকার বন্ধ পথ চালু করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে ১৩৪ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স¤প্রসারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি সরকারের আমলে সড়ক পরিবহনকে অগ্রাধিকার দেয়ার পাশাপাশি রেলপথ বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন দাতা সংস্থার ফর্মুলায় লোকসান দেখিয়ে বিএনপি সরকার স্বল্প ভাড়া, পরিবেশবান্ধব, সেবামূলক ও যাত্রীবান্ধব এ খাতটিকে সংকুচিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়। রেলপথমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রেল স¤প্রসারণে ১৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
রেলসূত্র জানায়, বন্ধ ঘোষিত রেলপথগুলোর মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জ থেকে শায়েস্তাগঞ্জ ৩৯ মিলোমিটার, ফেনী থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে নাজিরহাট পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে বায়টা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার, লালমনিরহাট থেকে মুঘলহাট পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার, ফরিদপুর থেকে পুকুরিয়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার, রূপসা থেকে বাগেরহাট পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার, কালুখালী থেকে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত ৭৩ কিলোমিটার, পাচুরিয়া থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার, নরসিংদী থেকে মদনগঞ্জ পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার ও মধুখালী থেকে কামারখালী পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার। সে সঙ্গে বন্ধ করা হয় শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ অঞ্চলে প্রায় ১০ কিলোমিটার চা বাগান সংলগ্ন লুপ লাইন।
রেলসূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সারা দেশে ৫৭১ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এর বাস্তবায়ন কাজও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে তারাকান্দি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার এবং জয়দেবপুর থেকে জামতৈল পর্যন্ত ৯৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আবার নতুন রেলপথের আওতায়, ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন ৭৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। এ ছাড়া পাচুরিয়া-ভাঙ্গা সেকশনের পুকুরিয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণকাজ চলছে। সরকারি অর্থায়নে এসব রেললাইনের নির্মাণকাজ চলছে। এ ছাড়া খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত নতুন ৬৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া পর্যন্তÍ ৫০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য ভ‚মি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ নির্মাণের জন্য ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা ৮২ কিলোমিটার এবং ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর ৮৪ কিলোমিটার নতুন ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া নতুন রেলপথের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব কমাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনের ফতুল্লা থেকে কুমিল্লা-লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত কর্ড নির্মাণ বিষয়ে চায়না রেলওয়ে গ্রুপের (সিআরইসি) সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-বাইন্ডিং ‘মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ)’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ দুটি প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে চায়না রেলওয়ে গ্রুপের (সিআরইসি) সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইআরডি থেকে চীনা দূতাবাসের অর্থায়নের প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হলে চীনা দূতাবাস থেকে প্রকল্পে চীনা সরকারের অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়েছে। এর ফলে পদ্মা সেতু চালুর দিন থেকেই এর ওপর ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। আর এর মধ্য দিয়ে সূচনা হবে একটি যুগান্তকারী অধ্যায়ের। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে নাভারন থেকে সাতক্ষীরা হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।