পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে ১৩ জন মানুষ। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নিয়মিত জরিপ ও পর্যবেক্ষণে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে এক হাজার ৯শ ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২শ ৯৭ জন মানুষ নিহত হয়েছে। এ সব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৮০ জন। নিহতের এই হিসেব গড় করলে দেখা যায় প্রতিদিন সড়কে ১৩ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর এ সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বেশি। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্তক সড়কে এক হাজার ৯শ ৪১ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৭শ ৯৪ জন আহত হন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয় সড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে এসব প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা ঘটে।
বেসরকারি সংগঠন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নিয়মিত জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে গতকাল এই তথ্য তুলে ধরা হয়। ২২টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং ৮টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ২শ ৬৫টি দুর্ঘটনায় ৩৪ নারী ও ৪২ শিশুসহ ৩শ ৩৩ জন নিহত এবং ৬শ ৩২ জন আহত হন। এর মধ্যে ২৩ জুন ঈদুল ফিতরের ছুটির প্রথমদিন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮দিনে ৭৩টি দুর্ঘটনায় ১১ নারী ও ১৫ শিশুসহ ১শ ২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আর আহত হন ২শ ২৬ জন। তবে ঈদ-যাতায়াত ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো থাকায় এ বছর ঈদের ছুটিতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কম ঘটেছে বলে জাতীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এক হাজার ৮শ ২৬টি দুর্ঘটনায় ২শ ৬২ নারী ও ২শ ৬১ শিশুসহ এক হাজার ৯শ ৪১ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৭শ ৯৪ জন আহত হন। আর এ বছর প্রথম ৬ মাসে ৯শ ৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২শ ৯২ নারী ও ৩শ ১৫ শিশুসহ ২ হাজার ২শ ৯৭ জন নিহত ও ৫ হাজার ৪শ ৮০ জন আহত হন। এই হিসেবে দুর্ঘটনা ও নিহতের হার যথাক্রমে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ও ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতে সরকারি পদক্ষেপ বিগত বছরগুলোর তুলনায় ভালো ছিল। যে কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কম ঘটেছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।