Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রশাসনিক কাজে জটিলতা রাবি’র প্রো-ভিসির পদটি চার মাসেও পুরণ হয়নি

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাবি সংবাদদাতা : অনেক নাটকীয়তার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দেয়ার পর গতকাল শনিবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে আবারো নিয়োগ পেলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম এ বারী। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ছাড়াও একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম মজিবুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছেন ভিসি। কিন্তু চার মাসেও পূরণ হলোনা প্রো-ভিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি। দীর্ঘ চার মাসেও দেশের বৃহত্তম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির পদটি শূন্য থাকায় দেখা দিচ্ছে না প্রশ্ন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ক্ষুদ্ধ।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির দায়িত্ব পেতে দৌঁড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী শিক্ষক। প্রো-ভিসি পদ প্রার্থীরা তাদের নিয়োগের জন্য আবেদন পত্রে আ.লীগ ও তার অংগ সংঠনের স্থানীয় নেতাদের সুপারিশে ভরে দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে নানা রকম গুন্জন। একজন প্রফেসর তার যোগ্যতা বলে পদটিতে আবেদন করতেই পারেন কিন্তু সেখানে যাদের সুপারিশ নেয়া হয়েছে তাতে তার মান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। অনেক সুপারিশকারীর যোগ্যতাই স্কুলের গন্ডি পার হয়নি। এমনি দুটি আবেদন পত্র মোবাইলের শেযারইটের মাধ্যমে একে অপরের মধ্যে আদান প্রদান করে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এদিকে ভিসি নিয়োগের বিতর্কের পর প্রো-ভিসি হিসেবে কেমন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হবে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে বিতর্কিত নন, শিক্ষা বান্ধব সৎ যোগ্য ও দক্ষ ব্যাক্তিকেই প্রো-ভিসি হিসেবে দেখতে চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে ইচ্ছা মতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে ভিসির পর এবার প্রো-ভিসি পদেও পছন্দের প্রার্থীকে প্রশাসনে আনতে উঠে পড়ে লেগেছে স্থানীয় আ.লীগ নেতারা। এ নিয়ে সর্ব মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী প্রো-ভিসি কে হচ্ছেন সে দিকেই তাকিয়ে সবাই।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মিজানউদ্দিন ও প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সারওয়ার জাহানের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৮ মার্চ। এরপর দীর্ঘ ৪৮ দিন পর গত ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান আলোচনা সমালোচনার মধ্যেমণি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান। তার এ নিয়োগ অনেককেই চমকে দিয়েছে। তবে চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রো-ভিসি পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কেন নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা এ নিয়ে চলছে নানা রকম গুঞ্জন। খোদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের মধ্যেও এ নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। একটি বিশেষ গোষ্ঠি তাদের ইচ্ছামত প্রো-ভিসি নিয়োগ দিতে তৎপর। ধুয়া উঠেছে বিশেষ কোটা ভিত্তিক নিয়োগের। শুধু প্রো-ভিসি পদেই নয়, বিভিন্ন পদও তারা ভাগ পেতে চায়। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যেই রয়েছে এখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এদিকে রমজানের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুলেছে। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। এখন প্রো-ভিসির মতো পদটি শূন্য থাকায় হোচট খেতে হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজ কর্মে। ভিসি, প্রো-ভিসি পদ পূরণ নিয়ে অতীতে কখনোই এমন বিলম্ব ঘটেনি। প্রশাসনিক কাজেও সৃষ্টি হয়নি জটিলতা। ভিসি তো হলো তবে প্রো-ভিসির পদ নিয়ে এমন কালক্ষেপণ কেনো এ প্রশ্নের জবাব খুজে ফিরছে সবাই। তবে কারণ যাই হোক না কেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সুধীজন সবার একটাই দাবি অবিলম্বে পদটি পূরন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হোক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ