Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারি অর্থের হরিলুট

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তৈমূর আলম খন্দকার : অনির্বাচিত সরকারের অপবাদ ঘুচাতে না পেরে সরকার এখন গণতন্ত্রের থিউরী পাল্টে দিয়ে বলছে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। ‘উন্নয়ন’ বলতে যদি কিছু ইট, বালু, সিমেন্টের সংমিশ্রনকে বুঝায় তবে সরকারের মুখে উন্নয়নের যে ফেনা উঠেছে তার যর্থার্থতা যাই হোক না কেন আত্মতৃপ্তি পেতে দোষ কি?
গণমানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করা কি উন্নয়নের সীমারেখায় পড়ে না? জণগণের অর্থে সরকার যে রাস্তা বানালো সে রাস্তায় যদি আমি বা আমার সন্তানরা নিরাপদ না থাকে তবে সে রাস্তা আমার জন্য কতটুকু সেবা সহায়ক? মহামারীর মত সড়ক দুর্ঘটনা বাদেও রাজপথে গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজী, অধিকন্তু ধর্ষণ তো আছেই। এ নিরাপত্তার আয় কি ইট, বালু, সিমেন্টের সংমিশ্রনে ঈড়াবৎ করা যাবে? হাওর এলাকা দেশের কোটি কোটি মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করে। প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ ছাড়াও জীবিকানির্ভর মৎস্যজীবিরা আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার ফলেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের তাজা মাছ বাজারে মিলছে। এ জন্য সরকারের আলাদা আলাদা অধিদপ্তর, সংস্থা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করছে, দায়িত্বশীলদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় অর্থে অর্জিত বড় বড় ডিগ্রীধারী আমলারা। Prevention is better then cure এ প্রবাদ যদি স্বতসিদ্ধ হয় তবে হাওরের বির্পযয় ও বির্পযস্ত মানুষদের বাঁচানোর জন্য জনঅর্থে লালিত আমলা নামধারী স্বেতহস্তীগুলি Capacity এর জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছিল তা কিন্তু জনমনে পরিষ্কার নয়। বরং বির্তক সৃষ্টি হয়েছে দুদক চেয়ারম্যানের একটি মন্তব্যে, যেখানে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল তা দেয়া হয়েছিল ১০ মাস পরে; অথচ এ জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। অধিকন্তু দেখা যায় যে, হাওর- বিপর্যয়ের সময় সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার একজোটে বিদেশে ছিলেন। এ নিয়ে অনেক কথা রয়েছে যা নিয়ে চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ আরো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করেন, বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার একটি পন্থা হিসাবেই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের “খামখেয়ালীপনার” আর্শিবাদে এই হাওর বিপর্যয় (!) তবে এটা খতিয়ে দেখে “স্বেতপত্র” প্রকাশ করার ঈধঢ়ধপরঃু কি সরকার দেখাবে?
পাহাড় সৌন্দর্য্যরে প্রতিক। পবিত্র কোরআনে সূরা আননাবা (আয়াত ৪০: মাক্কী)-তে পৃথিবীতে পাহাড় সৃষ্টির উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। পাহাড় দ্বারাই জমিনের থর থর কম্পন বন্ধ করা সহ জমিনকে ধীরস্থির রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উক্ত সূরায় বলেছে ‘এ পাহাড়গুলোকে পেরেক স্বরূপ সৃষ্টি করা হয়েছে।’ আল কোরআনে অন্যান্য সূরাতেও পাহাড়ের উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। অধিকন্তু পাহাড় রক্ষার অনেক আইন রয়েছে যা কার্যকর হয় না বলে প্রায়সই পাহাড় ধসে মানুষের মৃত্যু হয়। ফুটপাতের দোকনদাররা যেমন বিনা ভাড়ায় ফুটপাতে বসে না, বস্তিতে বস্তিতে মাদক ব্যবস্থা যেমন বিনা টাকায় চলে না, হোটেল ও গেষ্ট হাউসগুলিতে দেহব্যবসা যেমন বিনা টাকায় চলে না; তেমনি পাহাড় কাটা বা পাহাড় কেটে ঘর তোলাও বিনা খরচে হয় না। সরকার রাজস্ব না পেলেও সরকারী আমলা, কামলা, মস্তান ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীগুলি পেয়ে থাকে যা “হপ্তা” (সাপ্তাহিক) বা “মাসোহারা” (মাসিক দেয় বাধ্যতামূলক চঁাঁদা) নামে ব্যাপক পরিচিত। ভুক্তভোগীরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে, যা জেনে প্রতিকার করার কোন আগ্রহ সরকারের থাকে না, কারণ এর পিছনে রয়েছে সরকারী লোকজন যারা সরকারের উন্নয়নের গলাবাজী করে গলা ফাটায়।
লাভের গুড় যদি পিপড়ায় খায় তবে জনগণের লাভ কি? জনগণের অর্থে লালিত সরকার ও সরকারী আমলার দায়িত্ব অবহেলার কারণে যদি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় হবে দেশবাসী এ ইট, বালুর বাহারী দৃশ্য দেখে তামাশার বেদনায় নিমজ্জিত হবে। যদি জাতীয় উন্নয়ন করতে হয় তবে মানুষকে সকল প্রকার ভয় ভীতির উর্ধ্বে রেখে সর্বপ্রকার আগ্রাসন থেকে জাতীয় নিরাপত্তা দৃঢ় করতে হবে। ঈঁৎব এর পূর্বে চৎবাবহঃরড়হ না হলে ব্যর্থতা অবশ্যই আসবে। চৎবাবহঃরড়হ না নেয়ায় দায়িত্বশীল ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করাও জাতীয় নিরাপত্তা দৃঢ়করণের অন্যতম উপায়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলরা দুর্নীতির কথা, লুটপাট-অনিয়মের কথা অকপটে স্বীকার করলেও একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে বাঁধ সংস্কারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও অনেকই এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তদন্তে দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেলেও ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে, শতাধিক প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলীকে প্রধান করে ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সারাদেশের মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালককে প্রধান করে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া শুধু হাওর এলাকার পাঁচটি জেলার দুর্নীতি দেখতে পরিচালক বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। হাওর এলাকায় আকস্মিক বন্যায় দেশের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাস্তাবায়নাধীন ৩ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি উন্নয়ন প্রকল্পে চরম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সরকার বলছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল প্রকল্পের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ১২৮টি বাঁধ সংস্কার প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে দুদকের দুইটি টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের এক অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত ৫১টি প্রকল্পের মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ তিন বছরেও সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি। তিন বছরে মাত্র ২৪টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাকীগুলো এখনো বাস্তবায়নাধীন। অভিযোগ রয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯০টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পানি সম্পদমন্ত্রী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ভাগ-বাটোয়ারা করে বাস্তবায়নে করায় এ অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সুফল পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১২৮টি বাঁধ সংস্কার প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করার ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাওর এলাকার বাঁধ নির্মাণসহ সারাদেশের প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বর্ষা মৌসুমে যাতে নদ-নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে জনপদ ভাসাতে না পারে সে জন্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও নদীভাঙন ঠেকাতে নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ প্রতিবছর অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া মোট বাজেটের ৭০ শতাংশই ব্যয় হয় এ খাতে। কিন্তু বিপুল অর্থের অপচয়ের কারণে নদীর তীর সংরক্ষনের সুফল এলাকাবাসী পায়না।
দেশের প্রধান তিনটি নদী যমুনা, মেঘনা ও পদ¥ার ভাঙন রোধে সরকার ফ্লাড এন্ড রিভারব্যাঙ্ক ইরোশান রিক্স ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এফআরইআরএমআইপি) শীর্ষক প্রকল্প ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশে মোট ৩৯৭ দশমিক ৭২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং ও খনন। এসব প্রকল্প হচ্ছে; প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার (নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশী-তুরাগ-বুড়িগঙ্গা রিভার সিস্টেম) শীর্ষক প্রকল্প। এ জন্য এক হাজার ১২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দুর্নীতিকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় হয়েছে ২৬১৫৫৪.৮৩ টাকা। ভোলা জেলার চরফ্যাশন-মনপুরা শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের ১৬৮০৪.৫৯ টাকা। কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলাধীন সোনাহাট ব্রিজের সন্নিকটে দুধকুমার নদীর ভাঙন হতে ভুরুঙ্গামারী-মাদারগঞ্জ সড়ক পথকে রক্ষা এবং উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ হতে বজরা সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত তিস্তা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প। এর ব্যয় হয়েছে ১৯,১৩৬.০৩ টাকা। ঘূর্নিঝড় সিডর এলাকায় ২৯টি পোল্ডার এবং ৩ উপজেলায় ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় হয়েছে ৭০৩১০.০০টাকা যা চলতি বছরের ডিসেম্বর কাজ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু এখনো শুরু করা হয়নি। এছাড়া নদী খননের জন্য ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক সংগ্রহ প্রকল্প। এর ব্যয় করা হয়েছে ১৩০,৯৮৮.১০ টাকা। কিশোরগঞ্জ, তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী, চিকনি ও চারালকাটা নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এর হয়েছে ৮,৩৫৫.২৭ টাকা। বগুড়া জেলায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ব্যয় করা হয়েছে ২১,৪৪৬.৩৪ টাকা। তিস্তা ব্যারেজ ফেজ-২ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প এর ব্যয় হয়েছে ২৯,৪৭৫.৭৫ টাকা চলমান। কুষ্টিয়ার গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প (ফেজ-২) এর ব্যয় হয়েছে ৯৪,২১৪.৫৫ টাকা। প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নওগাঁ শহর রক্ষা প্রকল্প ব্যয় হয়েছে ৭,৩২৫.৩০ টাকা। বাগেরহাট জেলার পোল্ডার ৩৪/২ এর সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ১৬,৭২৬.১২ টাকা। নাটোর সদর, সিংড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশনবাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) ব্যয় করা হয়েছে ৩২৮,০০০.০০ টাকা। ভৈরব নদী পুনঃখনন প্রকল্প ৭,৩৮২.৮৪ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এর ব্যয় করা হয়েছে ২৮,৫৪০.২০ এবং ১২,০৩১.৭৮ টাকা। হাওর এলাকায় আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় করা হয়েছে ৬৮,৪৯৪.১০ এবং ৫,৬৩০.৪৭ টাকা। কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী জেলায় কাজ করা হয়েছে যা এসব জেলার বেশিরভাগ কাজ মন্ত্রী পছন্দীয় ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে হাওরের ২৮টি বাঁধ নির্মাণের জন্য ১১৬টি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত দুই বছরে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে তিন প্রকৌশলীর সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ১১৬টি প্যাকেজের কাজে ঠিকাদাররা কোথাও ২০ ভাগের বেশী কাজ করেনি। অথচ গত দুই বছরে তারা ২৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীর বালিয়াতলী ও ফেরি ঘাট রক্ষা প্রকল্প, মুন্সীগঞ্জ শহররক্ষা প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্ট শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা শহর রক্ষা প্রকল্প, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর শহর রক্ষা প্রকল্প, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প (নতুন ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশাই-তুরাগ-বুড়িগঙ্গা রিভার সিস্টেম) প্রকল্প, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পদ¥া নদীর বামতীর ভাঙনরোধ এবং বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী হইতে কাজীরহাট পর্যন্ত যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙনরোধ প্রকল্প এবং কুষ্টিয়ার গড়াই নদ খননসহ শতাধিক প্রকল্পে চলছে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি। এসব প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে সংসদে এবং সংসদের বাহিরে সরকার মন্ত্রী ও এম.পি’রা অভিযোগ তুলছেন (এ তথ্যগুলি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোটিং ও তথ্য থেকে সংগ্রহিত)। উক্ত তথ্য মতে বিষয়টি পরিষ্কার যে, দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য জনগণের অর্থের অপচয় হচ্ছে আমলা ও সরকারী দলের লোকজনের পেট স্ফীত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাতি ও রাষ্ট্র।
মোরা, পাহাড় ধস, হাওর ধস প্রভৃতি জাতিকে আগাম বিপদ সংকেত দিচ্ছে। এ সংকেত থেকে সর্বস্তরে সাবধানতা আসা উচিৎ যাতে আমলা ও সরকারী দলের পেট ভরাতে জাতিকে অভুক্ত থাকতে না হয় অর্থাৎ জাতি আর একটা দূর্ভিক্ষের সম্মূখীন না হয়।

লেখক : কলামিস্ট ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন