পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গত ছয় মাসে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ৩৭ জন। গণপিটুনিতে মারা গেছেন ২২ জন। আইনি ও মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ছয় মাসে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ক্রসফায়ারে ১৩ জন, পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ৪৬ জন, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ৮ জন, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ১ জন, র্যাব ও পুলিশের গুলিতে ১ জন এছাড়া পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ১ জন, পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর ১ জনের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। হানিফ মৃধা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় র্যাবের হেফাজতে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গত ছয় মাসে আটক ৪৪ জনের মধ্যে মাত্র ৭ জন পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। ২ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এখনও খোঁজ নেই ৩২ জনের। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো আটকের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলেও আসক জানায়। গত ছয় মাসে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১৮৫টি। এসব ঘটনায় নিহত হন ৩৭ জন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৭০ জন। এ সময়ে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ২৫ জন। এরমধ্যে কয়েদি ৮ জন ও হাজতি ১৭ জন রয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানায়, গত ছয় মাসে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৮ জন নারী। যৌন হয়রানির কারণে ৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে একজন নারী ও চারজন পুরুষ নিহত হয়েছেন। হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৯৫ জন নারী-পুরুষ। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৮০ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৬ নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৫জন। ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে আরও ৩৯ জন নারীর ওপর।
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০১ নারী। এর মধ্যে ১৪৪ নারীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ২৩ নারী। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৪৩ নারী। তাদের মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৮ নারী। যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে ৬৮ নারীকে। একই কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৬ নারী। স্বামীর ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে ১১ নারীকে। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১৮ নারী। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ নারী।
একই সময়ে ২২ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে আসক। তাদের মধ্যে নির্যাতনে মারা গেছেন ৪ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে একজনকে।
দেশে শিশু নির্যাতন ও হত্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় মানবাধিকার বিষয়ক এই সংগঠনটি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত ছয় মাসে দেশে ৬২৯ শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ১৩২ শিশুকে হত্যা করা হয়। ৩৭ শিশু আত্মহত্যা করেছে। নিখোঁজের পর উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ শিশুকে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ শিশুর। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ১৫ শিশুর। হিন্দু স¤প্রদায়ের ২৫টি বাসস্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ৯৮টি প্রতিমা ভাঙচুর ছাড়াও মন্দির ও পূজামন্ডপে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় একজন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে ৫৩ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এ সময় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মেয়রের গুলিতে আহত স্থানীয় সমকালের প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।