Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধিত দল ছাড়া সংলাপে বসবে না ইসি

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 পঞ্চায়েত হাবিব : নিবার্চন কমিশনের নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গে সংলাপ করবে না ইসি। নিবন্ধনের বাইরে থাকা নিবন্ধন প্রত্যাশী কয়েকটি রাজনৈতিক দল কমিশনের সংলাপে অংশ গ্রহনের জন্য যোগাযোগ করলেও তা সুযোগ পাচ্ছে না। এবারও সংলাপে ডাক পাচ্ছে না প্রধান নাজমুল হুদা দল বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (বিএনএ)। আগামী ৩০ জুলাই থেকে সংলাপ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু এই সংলাপে নিবন্ধিত ৪০ টি রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কোনো অনিবন্ধীত দলে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছে কমিশন। স¤প্রতি ইসির নিবন্ধনের বাইরে থাকা নিবন্ধন প্রত্যাশী কয়েকটি রাজনৈতিক দল কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য ইসিতে যোগাযোগ শুরু করেছে। দেশে সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্যই এই সংলাপের আয়োজন করছে নির্বাচন আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান নিবার্চন কমিশন। আর এজন্য সংলাপের দরজা বন্ধ করবে না কমিশন। তবে এ সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তারাই অংশগ্রহণ করতে পারবে যাদের নাম ইসির নিবন্ধনের তালিকায় রয়েছে।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ ইনকিলাবকে বলেন, নিবন্ধনের বাইরের কোনো দলের সংলাপে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। কমিশনের নিবন্ধনে ৪০ টি দল আছে। এর বাইরের কাউকে আমরা চিনি না এবং তাদের কোন চিঠি দেয়া হবে না।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ইতোমধ্যেই কমিশনে আবেদন করেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহŸান করা হবে। ইসির আহŸান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে কেউ আবেদন করলে সেটিও গ্রহণ করবে না কমিশন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল), বাংলাদেশ জালালী পার্টি (বিজেপি) সহ কয়েকটি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম ইনকিলাবকে বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে কেউ আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে না। এখন কেউ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর তাদেরকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অংশীজনের সঙ্গে আগামী ৩০ জুলাই থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিকভাবে আগামী ৩০ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর অগাস্টে সাবেক সিইসি-ইসি ও গণমাধ্যম আর অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সূচি রাখা হয়েছে। এর আগে ১৬ জুলাই চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা ( রোডম্যাপ) প্রকাশ করবে কমিশন। এরইমধ্যে ইসিতে নির্বাচনী আমেজ চলে এসেছে। বিদেশি কূটনৈতিকদের আনাগোনাও বাড়ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। গত ২০ জুন ইউএনের রেসিডেন্ট কো অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়ার্ট কিনসের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন প্রতিনিধি, ১১ জুন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, ৬ জুন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন বেøক, ৩১ মে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস বøুম বার্নিকাট, ১৮ মে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সাক্ষাৎ করেন। গত ১২ মার্চ নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বেøকের ও সুইডেন রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রিসেল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সময় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এ নিবন্ধনের নিয়ম চালুর পাশাপাশি কিছু শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের সুযোগ রাখা হয়। শামসুল হুদার কমিশন দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধনের শর্ত দিয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়। এর মধ্যে ৩৮টি দল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদের ভোটে অংশ নেয়। এরপর ২০০৯ সালে সংসদে নিবন্ধন বিষয়ে আইনি সংশোধনী আনা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটে অংশ নেয় ১২টি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি- জেপি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-বিএনএফ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও গণতন্ত্রী পার্টি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ