পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই চীন-বিদ্বেষী মনোভাব দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। দেশটিকে মুদ্রা কারসাজিকারক ও মার্কিন কর্মসংস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে আখ্যা দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। ফলে নির্বাচনে জয়ের পর বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির সংঘাতের আশঙ্কা বৈশ্বিক বাণিজ্যের আকাশে কালো মেঘ তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাতের শঙ্কার মধ্যে ছোট্ট একটি আশার বাণী শোনা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর দুই শীর্ষ ক্ষমতাধরের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা নেই। তবে আগামী বছরের ক্ষেত্রে এ ধরনের পূর্বাভাস করা কঠিন বলে জানিয়েছেন চীনের সাবেক উপবাণিজ্যমন্ত্রী ওয়েই জিয়াংকুয়া। আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমন করা যেতে পারে বলে আশাবাদী বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক দেশটি। ওয়েই জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের আগেই আলোচনা এগিয়ে রাখার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে বেইজিংয়ে অবস্থিত চায়না সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এক্সচেঞ্জেসের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন ওয়েই। চীনে ট্রাম্পের সফরকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-বিষয়ক জমাটবদ্ধতা দূর করতে একটি ১০০ দিনের পর্যালোচনা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ পর্যালোচনার ভিত্তিতে একাধিক চুক্তির ঘোষণার দিকে দেশ দুটির অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে দুই দশক ধরে চীনা বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে জয়ের পর তা মোকাবেলার প্রতিশ্রæতিও দিয়েছেন। তবে এপ্রিলে ফ্লোরিডায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের মনোভাবে পরিবর্তন দেখা গেছে। এছাড়া চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সহজ হওয়ার পেছনে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র হুমকিরও প্রভাব রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় সহায়তা করতে সম্মত হওয়ার পর ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর করারোপের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি চীন প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন না করে তবে দুই দেশের সম্পর্কে আবার উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। এদিকে শীর্ষ ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা অবসানের স্থায়িত্বকাল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক সাবেক কর্মকর্তা। অস্ট্রেলিয়ান ফিন্যান্সিয়াল রিভিউয়ের এক সম্পাদকীয়তে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান লেখেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের এ সাময়িক যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। সুলিভানের মতে, শি জিনপিংয়ের চীন যে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে প্রতিশ্রæতি পূরণ করবে না, ট্রাম্প সেটা দ্রæতই উপলব্ধি করতে পারবেন। বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।