ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মো.ওসমান গনি : গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে উঠলে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। এতে আমাদের আমদানিনির্ভরতা কমবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে রাজধানীমুখী জনস্রোত অনেকটা ক্ষীণ হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ উপলক্ষে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা না হলে শিক্ষিত তরুণদের গ্রামে ধরে রাখা যাবে না।
দীর্ঘস্থায়ী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট প্রচÐ আশাবাদী কোনো ব্যক্তিকেও যে ভীষণভাবে হতাশ করে তুলবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কয়েক বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল শ্লথগতির প্রবৃদ্ধি। বহুমুখী উদ্যোগ নেয়া সত্তে¡ও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিশ্ববাসীকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণভাবে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হল সামগ্রিকভাবে সব দেশের পক্ষে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে না। জাপান, চীন, রাশিয়ার মতো বড় অর্থনীতির দেশে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অনেক আশাবাদী মানুষের দৃষ্টি ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর দিকে। কিন্তু স¤প্রতি ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ইইউর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও এ ধারা কতদিন অব্যাহত থাকবে এটিও এক বড় প্রশ্ন। কয়েক দশক পর সারা বিশ্বে যখন উচ্চতর প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে তখন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম না হলে অনেক উন্নয়নশীল দেশ পিছিয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যাতে ওই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তার জন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে থাকা জরুরি হলেও বর্তমানে দেশে দেশে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী কমছে। এ ধরনের সমস্যাসহ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সব দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের বরাদ্দ রাখবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোন দেশ কতটা সফল হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে নতুন গবেষণায় গবেষকরা কতটা আন্তরিক তার ওপর।
বর্তমানে সব দেশই পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে উন্নয়নের কথা এখন কোনো দেশই চিন্তা করে না। এ ক্ষেত্রে আমাদেরও পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। কোনো ব্যক্তি যথাযথ শিক্ষা না পেলে তার পক্ষে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট হবে না। তাই যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কম তাদের এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া দরকার। যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায়নি তাদের উন্নত নৈতিকতার চর্চায় কী করণীয় তাও ভাবতে হবে।
বিভিন্ন দেশে শ্রম-সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। আগামীতে এ প্রবণতা বাড়লে সব দেশে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়বে। এ বিষয়ে যেসব দেশ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হবে, এ খাতে সেসব দেশ পিছিয়ে পড়বে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যে কোনো দেশ যে কোনো সময় বিদেশী শ্রমিকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দিতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব ক্ষেত্রে অন্য দেশের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।
প্রতারিত হওয়া কিংবা প্রাণহানির আশংকা থাকা সত্তে¡ও অবৈধ পথে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমানের বিষয়টি বহুল আলোচিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশত্যাগের প্রবণতা থেকেই বিভিন্ন দেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। দেশে পছন্দমতো চাকরি না পেয়ে আমাদের অনেক তরুণ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। দেশে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তরুণরা দেশের বাইরে যেতে আগ্রহী না হয়। ইউরোপমুখী অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভিড় ক্রমে বাড়ছে। এই জন¯্রােত অব্যাহত থাকলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অভিবাসন প্রত্যাশীদের কী চোখে দেখবে এটা এখনও স্পষ্ট নয়। এসব অসহায় মানুষকে সুযোগ প্রদানের প্রশ্নে উন্নত দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মনোভাব যেভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে এটাই স্পষ্ট হয় আগামীতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই যেসব কারণে মানুষ দেশত্যাগের কথা চিন্তা করে সেসব সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পর্যায় থেকে উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
গত কয়েক বছরে বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও বর্তমানে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য যে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে এ বিষয়টি জি-২০ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে উঠে এসেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান সংকট দূর করার ক্ষেত্রে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কী প্রভাব ফেলবে- এটাও দেখার বিষয়। উন্নত দেশগুলোর শ্লথগতির প্রবৃদ্ধি থেকে অনুমান করা যায়- অর্থনীতির গতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির সা¤প্রতিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করে অনুমান করা কঠিন এমডিজির মতো এসডিজির লক্ষ্য অর্জিত হবে কি-না।
প্যারিসে সম্পাদিত বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। বান কি মুনসহ বিশ্বের অন্য অনেক নেতার আহŸান, বুদ্ধিজীবীদের অব্যাহত লেখালেখির পরিপ্রেক্ষিতেই প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসে একমত হতে সক্ষম হয়েছিলেন। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কর্তৃক প্যারিসে সম্পাদিত বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি অনুসমর্থনের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এ চুক্তি বাস্তবায়নে ধীরগতি বজায় থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে পাড়ি জমাবে। এছাড়া আরও অনেক কারণে আমাদের দেশে শহরমুখী জনস্রোত বাড়ছে। এই শহরমুখী মানুষের বেশিরভাগের গন্তব্য রাজধানী। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না বাড়ালে রাজধানীমুখী জনস্রোতের গতি আরও বাড়বে এটা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্তমানে যানজটের কারণে প্রতিদিন রাজধানীবাসীর কত কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় তা বহুল আলোচিত। রাজধানীমুখী জনস্রোতের গতি কতটা কমবে তা নির্ভর করবে সারা দেশে কর্মসংস্থান কতটা বাড়বে তার ওপর। সারা দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে হবে। দেশে শিক্ষিত বেকার তরুণের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়লে কী কী সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়, তা বহুল আলোচিত। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটের বিষয়টি বারবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের সংকট হলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। কোনো কোনো শিল্প-কারখানায় উৎপাদন নানাভাবে সরাসরি গ্যাস সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। উদাহরণ হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পের বিষয়টি উল্লেখ করা যায়। গ্যাসের চাপ কম থাকলে তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। গ্যাস সংকট দূর না হলে নতুন বিনিয়োগকারীদের হতাশা বাড়বে, এটি বলাই বাহুল্য। আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংকটের বিষয়টিও বহুল আলোচিত। এ প্রেক্ষাপটে গ্যাসের অনুসন্ধানে বিশেষ বরাদ্দ জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষত বিস্তীর্ণ সমুদ্রে খনিজসম্পদের অনুসন্ধানে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বিভিন্ন শিল্পপণ্য উৎপাদনে কাঁচামালের আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। পাটসহ অন্যান্য কাঁচামালনির্ভর শিল্পের বিকাশের সব সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের দেশে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প-কারখানার বিকাশে মনোযোগ বাড়ানো দরকার। যেহেতু প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প-কারখানার বিকাশের সঙ্গে আনুষঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত, তাই শ্রমঘন শিল্পের সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে পাটশিল্পের বিকাশের বিষয় উল্লেখ করা যায়। পাটশিল্পের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ বিশেষভাবে পরিচিত। তাই স্বল্পতম সময়ে এ শিল্পের যতটা বিকাশ সম্ভব, অনেক শিল্পে তা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক বাজারে পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আমরা বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারি। আমাদের পাটপণ্যের মান যত উন্নতই হোক, পণ্যের নকশায় নতুনত্ব না থাকলে বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের চাহিদা কমতে থাকবে। যেহেতু বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবনরহস্য আবিষ্কার করেছেন, সেহেতু আমাদের পক্ষে এ খাতে অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। যথাযথ উদ্যোগ নিলে সারা বিশ্বে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের চহিদা যে বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ব্যাপক উদ্যোগ না নিলে বিদেশে পাটপণ্য রফতানির লক্ষ্য অর্জিত হবে না। দেশে পাটপণ্যের বাজার সৃষ্টির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যেহেতু পাটের উৎপাদনে প্রান্তিক মানুষ জড়িত থাকে, সেহেতু দেশে-বিদেশে পাটপণ্যের চাহিদা বাড়লে পাট উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষের জীবন-মানে পরিবর্তন আসবে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাÐের সঙ্গে প্রান্তিক মানুষকে কতভাবে যুক্ত করা যায় তা খুঁজে বের করতে হবে। দেশের প্রত্যেক মানুষ নিজ বাড়িতে বসবাস করে যাতে কোনো না কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাÐের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করা দরকার।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট দ্রæত দূর হয়ে যাবে এমন কোনো লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে না। এতে বোঝা যায়, রফতানি খাতে বড় ধরনের সুখবর পেতে আমাদের কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এ অবস্থায় সব ক্ষেত্রে আমরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারি সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের তরুণদের মনোযোগ বাড়ানোর বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বাস্তবতায় শিক্ষার মান কীভাবে দ্রæত বাড়ানো যায়, সব দেশেই তার প্রতিযোগিতা চলছে। এ প্রতিযোগিতায় আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
আমাদের শিক্ষার মান কতটা বাড়ছে এ নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কৃতকার্য হওয়ার হার থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হল- প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান বাড়াতে আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আমাদের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের চালেঞ্জ মোকাবেলায় কাঙ্খিত সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হবে না। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন- এসব দেশ আধুনিক গ্রযুক্তিতে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। ওই দেশগুলোর তুলনায় আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। আধুনিক প্রযুক্তির গবেষণায় আমাদের গবেষকরা যাতে ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের পরিচয় দিতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।