ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মহিউদ্দিন খান মোহন : গত ১৮ জুন রবিবার রাঙ্গামাটি যাওয়ার পথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ওপর সন্ত্রাসী হামলার খবরে বিস্মিত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। ঘটনাটি এতোটাই ন্যাক্কারজনক যে, অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। দেশের একটি বড়ো রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে এমন হামলা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, দেশে গণতন্ত্রহীনতা ও শাসকদলের পরমতসহিষ্ণুতার অভাবকে প্রকটভাবে তুলে ধরেছে। ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৮ জুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব ও সিনিয়র নেতাদের গাড়িবহরে আক্রমণ সরকারের পতনের আগে মরণকামড়। তিনি বলেন, এটা দেশে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলতে সরকারের দুর্বিনীত উদ্যোগ। এছাড়া এ ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা, এনডিপি, বাংলাদেশ ন্যাপ, সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিকঐক্য, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, শত নাগরিক কমিটি, ড্যাব ও নেজামে ইসলামী পার্টির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে তারা ওই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করার পাশপাশি ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাটিকে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নিকৃষ্টতম উদাহরণ বলে অভিহিত করেছেন।
অপরদিকে ঘটনার পরপরই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওইদিন রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের ওপর হামলা অন্যায় এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক খুঁজে বের করা হবে।’ আর আওয়ামী লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ হামলার ঘটনাকে রহস্যজনক মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ‘গাড়িতে ধাক্কা লাগার পর রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশ বিএনপি নেতাদেরকে রাঙ্গামাটি পৌঁছে দিতে সহায়তার আশ্বাস দেয়। এরপরও তারা সে সহায়তা নেননি। তাহলে তারা আসলেই কি রাঙ্গামাটি যেতে চাচ্ছিলেন, নাকি ইস্যু তৈরি করতে চাচ্ছিলেন?’ অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে নয়, নাটক করতে রাঙ্গামাটির দিকে যাচ্ছিলেন।
ঘটনার প্রতিবাদে ১৯ জুন বিএনপি সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছিল। সে কর্মসূচিতেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা বাধা দিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। যদিও বিক্ষোভ কর্মসূচিটি ব্যাপকভাবে পালনের কোনো উদ্যোগ বিএনপি নিয়েছিল কীনা সেটা স্পষ্ট নয়। তারা রাজধানীতে বড় ধরনের একটি মিছিলেরও আয়োজন করতে পারেনি। থানার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে মহানগরী ও কেন্দ্রীয় নেতারা বিবৃতি আর ব্রিফিং-এর পুরানো সেই ঐতিহ্য এবারও বজায় রাখেন। মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার ঘটনার পরও একটি কার্যকর বিক্ষোভ প্রদর্শনে বিএনপির ব্যর্থতাকে দলটির সমর্থক শুভানুধ্যায়ীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারনেনি। ওইদিন কেন্দ্রীয় কার্যালযে এক প্রেস ব্রিফিং-এ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের নির্দেশেই মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালনো হয়েছে।
সংবাদমধ্যমে খবর বেরিয়েছে, বিএনপি নেতাদের গাড়ি বহরে হামলাকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরে বড়োচ্ছে। পুলিশ কাউকে আটক করেনি। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ বলেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ না করায় কাউকে আটক করা হয়নি। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, হামলার পর সরকার দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মীদের মিছিলের ছবিও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তারপরও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আইনজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনায় অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় অভিযোগ না পেলেও পুলিশ জড়িতদের অটক করতে পারে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সংবাপত্রে প্রকাশিত ছবি, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত ফুটেজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া স্ট্যাটাস এবং সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে সরকারদলীয় ক্যাডারদের ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন মার্জিত ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। কথাবার্তায়ও তিনি যথেষ্ট সংযমী এবং শালীনতা বজায় রাখেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কখনোই অশালীন ভাষায় বা কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে কোনো মন্তব্য করেন না। বিএনপি শুধু নয়, বিএনপির বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কাছেও তিনি একজন সজ্জন ও ভদ্রলোক হিসেবে সমাদৃত। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেকেই মির্জা আলমগীরকে পছন্দ করেন তার পরিশীলিত রাজনৈতিক অচরণের জন্য। ফলে এমন একজন ব্যক্তির ওপর সন্ত্রাসী হামলা দেশবাসীকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে । এ বিষয়ে গত ২০ জুন ‘মানবিক কর্মসূচিতে কুৎসিত হামলায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দৈনিক ইনকিলাব লিখেছে, ‘দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাওয়ার মতো একটি মানবিক কর্মসূচিতে এই ধরনের কুৎসিত হামলায় হতবাক বিবেকমান প্রতিটি মানুষ। বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের উপর জঘন্য হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাও হতবাক। যারা বিএনপির মতাদর্শে বিশ্বাস করেন না তারাও এ ঘটনার নিন্দা করেছেন।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও এ ঘটনার নিন্দা করেছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, যারা এ কাজ করেছে তারা জঘন্য অপরাধ করেছে। এ অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন দলকে এজন্য সুনির্দিষ্টভাবেই দায়ী করা হয়েছে। তবে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তা অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে অওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের লোক এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারে? আওয়ামী লীগ এ সিদ্ধান্ত দিতে পারে? ওখানে যে ঘটনা ঘটেছে আমরা বলেছি একটা মতলবি মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এটা কারা করেছে আমরা খতিয়ে দেখছি। শুধু শুধু আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন তারা না জেনে না শুনে। তাদের কাছে কী প্রমাণ আছে যে, আওয়ামী লীগ এটা ঘটিয়েছে?’ (দৈনিক ইনকিলাব, ২০ জুন ২০১৭)।
দেশবাসীও চায় ওবায়দুল কাদেরের কথা সত্যি হোক। দেশবাসী এটাও বিশ্বাস করতে চায় যে, আওয়ামী লীগ ওই ঘৃণ্য ঘটনাটি ঘটায়নি। কিন্তু কারা ঘটিয়েছে সেটা উদঘাটন করা তো সরকারের দায়িত্ব। ওবায়দুল কাদের কেবল ঘটনার দায় অস্বীকার করে বা পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে তার দায়িত্ব শেষ করতে পারবেন না। যেহেতু তিনি সরকারের মন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সরকার দলের সাধারণ সম্পাদক, তাই ওই ঘটনার হোতাদের খুঁজে বের করে যাতে আইনের আওতায় আনা হয় সেজন্য তাকে নজরদারি করতে হবে। যেহেতু তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন, তাই দেশবাসী আশা করে সরকার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে। যদি কোনো মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালিয়ে থাকে সেটা উদঘাটন করাও সরকারের দায়িত্ব। তাছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, সরকার বিষয়টি তদন্ত করছে। দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে। হতে পারে ওবায়দুল কাদের বা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা ওই হামলা চালানোর জন্য কাউকে নির্দেশ দেননি বা উৎসাহিত করেননি। কিন্তু স্থানীয় কোনো নেতা যে এ ঘটনার পেছনে নেই সেটা কে বলবে?
রাঙ্গুনিয়ায় হামলার ঘটনা যে আমাদের জাতীয় রাজনীতির গায়ে আবারও একতাল কাদা লাগিয়ে দিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া এ ঘটনা একটি অশনি সংকেতও বটে। রাজনেতিক সংঘর্ষ কিংবা হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাগুলো এতদিন স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেই ঘটেছে। এবার তা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় নেতাদের গা স্পর্শ করলো। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যত কথাই বলুন না কেন, এ ঘটনার পেছনে যে তাদেরই দলের কোনো না কোনো ব্যক্তির ইন্ধন রয়েছে সেটা বুঝতে খুব বেশি জ্ঞানী হওয়ার দরকার পড়ে না। প্রশ্ন হলো, সে ইন্ধনদাতাদের সরকার খুঁজে বের করতে পারবে কীনা বা করবে কীনা। কারণ, গত কয়েক বছরে এমন কিছু ঘটনা দেশে ঘটেছে যেগুলোর তদন্ত রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি। ঠিক তেমনিভাবে যদি রাঙ্গুনিয়ায় হামলার ঘটনার তদন্তও অন্ধকারেই মুখ লুকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
রাঙ্গুনিয়ায় হামলার ঘটনাটি কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর হামলা হিসেবে নেয়া ঠিক হবে না। এটাকে আমাদের জাতীয় রাজনীতির ওপর এক পৈশাচিক হামলা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে, আগামী দিনগুলো দেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে। সেটাকে কেন্দ্র করে নানা রকম রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটবে। যে কারণেই হোক, দেশে এখন একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। ছোট খাটো সংঘাত-সংঘর্ষ ছাড়া গোটা পরিবেশকে ঘোলাটে করার মতো কোনো ঘটনা এখন ঘটছে না। দেশবাসী চায় এমন সুস্থ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু বিএনপি মহাসচিবের উপর হামলার মতো ঘটনা পরিবেশ-পরিস্থিতিকে পাল্টে দিতে পারে। আর সেজন্যই রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা এ হামলার মধ্যে সর্বনাশা অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন। তারা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে পুনরায় ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্নে’র দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা কোনো কোনো মহল করতে পারে। আর সেজন্যই এ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার । সরকারও চাচ্ছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সে আহ্বান জানিয়েছেন দলটির প্রতি। এ প্রেক্ষাপটে কোনো মহল যদি ঘোট পাকিয়ে অন্য রকম ফায়দা লুটতে চায়, সে ব্যাপারে সরকারের সতর্ক থাকা দরকার। বিএনপিকে আস্থায় নিতে হলে রাঙ্গুনিয়ায় হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।