Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনার অধীনেই খালেদা নির্বাচনে অংশ নেবেন -তোফায়েল আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৭, ২:০৬ পিএম | আপডেট : ৩:০৯ পিএম, ২৮ জুন, ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ডায়েরিতে লিখে রাখুন, আমি নিশ্চিত করে বলছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেবেন।’

ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ বুধবার সচিবালয়ে এসে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এখানে অন্য কোনো কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে তো জোর করে আনা যাবে না।’

এবার ঈদে দু-একটা পণ্য ছাড়া অন্য জিনিসপত্র সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। চালের দামও শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার কথা রয়েছে। সেই চাল খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে।

সচিবালয় ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে এখনো ছুটির আমেজ রয়েছে। শুক্র ও শনিবার নিয়মিত ছুটির সঙ্গে ঈদের তিন দিনের ছুটি যোগ হয়ে পাঁচ দিন পর আজ সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবস শুরু হয়। এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটির আমেজ রয়ে গেছে। চলছে কুশল বিনিময়।



 

Show all comments
  • তুষার ২৮ জুন, ২০১৭, ২:৫২ পিএম says : 0
    নিরপেক্ষ সরকার দিতে এত ভয় কেন ?
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৮ জুন, ২০১৭, ৩:২২ পিএম says : 2
    জনাব তোফায়েল, একদিন আগে জনাব কাদের একজন সংসদকে নিয়ে গোমতী সেতু পরিদর্শন কালে বললো, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সংসদ নির্বাচন হবে। আর আজকে আপনি বললেন, শেখ হাসিনার আধীনেই নির্বাচন। একই সরকারের মন্ত্রীর প্লাট ফর্মে থেকে এক দরনের কথা না বলে ভিন্নতা করছেন। এটার কারণ কি? কারণ হলো আপনাদের সরকারের গায়ের জোড়ের শক্তি থাকলে ও জনশক্তি এবং নৈতিক শক্তি একে বারে শূন্য। জনসমর্থন না থাকলে, কার ও পায়ের নীচে মাটি থাকে না। ছিটকে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই ত ওলট পালট কথা প্রকাশ পায়। জনগণ এর জবাব দিতে চায়। বাহির হতে চায়। আন্দোলন করতে চায়। আপনারা বালি ও ইটের ট্রক দিয়ে বাহিরে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। আন্দোলনরত জনতার মিছিলে গুলি চালান। বিএনপির আমলে অনেক বেশী গণতন্ত্র মূল্যায়িত হতো। এই জন্য আপনারা জনতার মন্ঞ্চ তৈরী করতে পেরেছিলেন। আর আপনারা ছোট একটি মতকে সহ্য করতে পারলেন না। ক্ষমতা চলে যাবে এই ভয়ে অস্থির হয়ে পরলেন। নীরহী হেফাজতীয় সমাবেশে গুলি চালালেন। অনেক হাফেজ আলেম হতা হত হলো। শাপলা চত্বর রন্জিত হলো। ক্ষমতার জন্য গণতন্ত্র নয়। জনগণের জন্য গণতন্ত্র। জনগণ চায় গণতন্ত্র। চায় ভোটাধিকার। রাজনীতিতে অনেক বৈতরনী বেয়েছেন। এই বেলায় জনগণের পক্ষে বৈতরনী ধরেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপনকে বাস্তবায়িত করেন। ভোটে হেরে গেলে ও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসাবে জনগণের মনে ঠাই পাবেন। ক্ষমতার উলোট পলোটে আবার ক্ষমতায় আসবেন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২৮ জুন, ২০১৭, ৪:১৬ পিএম says : 1
    খালেদা জিয়ারে দিয়া নির্বাচন করানোর জন্য আপনেরা এতো অতি উৎসাহী অইয়া পড়ছেন ক্যান? হাতে ধইরা নিজেদের জন্য বিপদ কিনবার চান? মিয়া বুঝেন না কিছু? খালেদা জিয়া নামলে কি আপনেগো নৌকা আর এই জীবনে কুলের দেখা পাইবো মনে করেন? আল্লাহ আল্লাহ করেন, খালেদা জিয়া য্যান নির্বাচনে না আসে। যুদি আটকাইতে পারেন তো মনে করবেন আপনেগো ভাগ্যদুয়ার খুইল্লা গেছে। তাইলে আগের মতন খালি মাঠে মাজুরের লাহান বুকে গড়াইযা গড়াইয়া হইলেও গোল দিয়া ফালাইতে পারবেন। খালেদারে নামাইলে কিন্তু আপনেগো কোপালে খারাবী আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৮ জুন, ২০১৭, ১০:৫০ পিএম says : 0
    মাননীয় মন্ত্রী, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে দিলে হয়ত জনগণের কাছে হেরে যাবেন। ভোটে হেরে এমপি ও মন্ত্রীত্বর পদ হারাবেন। ক্ষমতা ও অর্থ জৈলস হারাবেন। কিন্তু নৈতিকতার পদক গলায় পরবেন। এই নৈতিকতার জন্য আবার ক্ষমতার মন্ঞ্চে আসিন হবেন। এটাই ত হলো গণতন্ত্র। অনৈতিকতায় ক্ষমতা আর জৈলস নিলে ভাল কি। ক্ষমতা চলে গেলে সব চলে যায়। পরে এর জন্য অশ্রু জলে আফছুস করতে হয়। হায় হুতাস করে কাঁদতে হয়। ফুটপাতে পরে ঘুমাবে। ফ্লোরে ঘুমাবে এমন বক্তব্য ব্যক্ত করতে হয়। তাই ক্ষমতা থকতে সঠিক পথে আসুন। জনগণের কথা বুজুন। ভোটারবিহীন সরকার নয়। জনগণের ভোট দিয়ে সরকার গড়ুন। জন মল্য গলায় ধরুন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৮ জুন, ২০১৭, ১১:৪৯ পিএম says : 0
    মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, জীবনে অনেক সংগ্রাম ও আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের বদৌলতে ছাত্র ও জাতীয় নেতা হয়েছেন। ক্ষমতাদর ও মন্ত্রী হয়েছেন। দূঃখজনক "৭৫" এর পট পরিবর্তনে জেলে গেলেন। দূঃখ ও বেশ কষ্ট করলেন। জনগণের ভালবাসায় মুক্তি পেলেন। অনেক লোভ লালসার অফার পেলে ও বঙ্গবন্ধুর রক্তের সহিত বেইমানী করেন নি। শেখ হাসিনাকে দেশে আনলেন। হাসিনাকে নেত্রীর আসনে বসালেন। আবার জনগণের ভোট ও ব্যালটের জন্য মিছিলের পর মিছিল করলেন। পূর্ণ গণতান্ত্রীক আবেশে "৯৬ তে আপনারা ক্ষমতায় আসলেন। হয়ত কিছু ভুল ছিল, তাই "০১ এ ক্ষমতা হারালেন। হাঁ এটাই ত গণতন্ত্র। এটাই নিয়ম। কিন্তু ২০১৪ এ জনগণের ভোট ও ভোটাধিকার কেড়ে নিলেন। জনগণের সংবিধানকে কেটে ছিড়ে নিজেদের মত করে নিলেন। জনগণ এর প্রতিবাদ করলো, মিছিল, আন্দোলন করলো। আপনারা ক্ষেপে গেলেন। হতাহত করলেন। গুলি ছুরলেন। এবার দয়া করে মনে করুন, আপনি যখন আন্দোলন, মিছিল করছিলেন। মিছিলে নেতৃত্ত্ব দিয়েছিলেন তখন ক্ষমতাসীনরা গুলি ছুরলে, আপনার ও দেশের কি অবস্থা ঘটত। এমন আবস্থা ঘটলে অবশ্য হতো কলন্কময়। তাই মনে রাখা দরকার গণতন্ত্র নিজের জন্য যে ভাবে চর্চা করতে হয়, অন্যের জন্য ও একই ভাবে চর্চা করতে হয়। গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক হিসাবে জনগণ আপনাকে শ্রদ্ধা ও সন্মান করে। সুতরাং নিজদের লাভে শুধু শেখ হাসিনা নয়। জনগণের কথা বলুন। জনগণের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে দিন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ