পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে।
সোমবার সকালে ঈদের জামাত শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট গণভবনে এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ সবার জীবনে আসুক, সেটাই আমাদের লক্ষ্য, সেটাই আমরা চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা বাংলাদেশকে সেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।
সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন নেতাকর্মীসহ সকল স্তরের মানুষ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে। এই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং দুই নাতি-নাতনি মঞ্চে ছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সুজিত রায় নন্দী, আব্দুস সবুর, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, মারুফা আকতার পপিসহ সহযোগী ও সমমনা সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বেলা ১১টা থেকে কূটনীতিক ও বিচারপতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
শুভেচ্ছা বিনিময়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রশীদা হামিদসহ বঙ্গভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেছেন, একটি শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে এবং ধনী, দরিদ্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সুবিধাবঞ্চিত লোকসহ সকল মানুষকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় ঈদুল ফিতর।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মাসব্যাপী রমজান শেষে ঈদ ধনী দরিদ্র, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সুবিধাবঞ্চিতসহ সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে ভালবাসা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হয়।
প্রেসিডেন্ট ইসলামকে শান্তি ও সমৃদ্ধির ধর্ম হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ইসলামে হিংসা, ভেদাভেদ ও সন্ত্রাসের কোন ঠাঁই নেই এবং ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন জানায় না।
প্রেসিডেন্ট ঈদুল ফিতরের শিক্ষা একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবর্গ, সংসদ সদস্যবর্গ, বিচারকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা, পুলিশের আইজি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র সাংবাদিকরা, শিল্পী, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা যোগ দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক কোরের ডীন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ ও হাইকমিশনাররা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরাও যোগ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।