Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৪ পিএম, ৮ মার্চ, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর দায়ের করা আপিলের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এক মিনিটের সংক্ষিপ্ত এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর চার সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২রা নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০শে নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ওই আপিলের শুনানি শুরু হয়। শেষ হয় ২৪শে ফেব্রুয়ারি। পরে রায় ঘোষণার জন্য ৮ই মার্চ তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৪ জন ও আসামিপক্ষে তিনজন সাক্ষ্য দেন। চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে ২০১৪ সালের ২রা নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে গঠন করা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে ১০টি প্রমাণিত হয়। ১০টির মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যার দায়ে তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। বাকি আটটি (২,৩, ৪,৬, ৭,৯, ১০ ও ১৪ নম্বর) অভিযোগে ১৭ জনকে নির্যাতনের দায়ে তাঁকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছয়টি অভিযোগে সাত বছর করে কারাদণ্ড, একটিতে ২০ বছর ও একটিতে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৭ই জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মীর কাসেমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৩ সালের ১৬ই মে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ওই বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়। মঙ্গলবার আপিল বিভাগে রায় ঘোষণার সময় তিনি ছিলেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ