Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেমিট্যান্সে নিম্নমুখীতায়ও রিজার্ভে রেকর্ড

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ) প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলার (তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা) অতিক্রম করেছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের দাবি, সময়োপযোগী বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ ব্যবস্থাপনার কারণে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যের দাম কম থাকায় আমদানি ব্যয় কমে গেছে। ফলে রিজার্ভ থেকে কম ব্যয় হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ নতুন এ মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমাণ মজুদ আছে তা দিয়ে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরও এক মাস বাকি থাকলেও ১১ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১৫৫ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের গেলো ১১ মাসের মধ্যে গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার, পরের মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার। তবে এর পরের মাস অর্থাৎ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে টানা তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে থাকে। পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রæয়ারিতে আবারও তা কমে দাঁড়ায় ৯৪ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে পুনরায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৭ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। মে মাসে প্রবাসীরা ১২৬ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের মাসের চেয়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে চলতি (২০১৬-১৭) অর্থবছরের একক মাস হিসেবে মে মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে।
এদিকে গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আরও কমবেÑ এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ। এবার রেমিট্যান্স আয় ১২ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি হওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা। মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় এই আশঙ্কা করছে আইএমএফ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ