পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719539884](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে ঘরে বাইরে কঠিন সমালোচনায় তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পাশে দাঁড়ালেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ দাবি করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেবিনেট বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হয়। সব মন্ত্রীরা তো এই বাজেটের অংশ। মন্ত্রীরা চাইলে এর সমালোচনা করতে পারেন না। তিনি আরো বলেন, এই বাজেট শুধুই নেগেটিভ? পজেটিভ (ভাল) কিছু নেই? আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর সংসদে যে বাজেটটি পাস হবে সেটি হবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ বাজেট। আর সহায়ক সরকার নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি না আসলে অনেকেই বলছেন তাদের অবস্থা হবে খুবই খারাপ।
জাতীয় পার্টির দুই এমপির সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কাজী ফিরোজ রশিদ ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু যেভাবে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, এটা তাদের কাছে কাম্য নয়। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অর্থমন্ত্রীর বয়স নিয়ে কথা বলেছেন। আপনার দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তো অর্থমন্ত্রীর চাইতে ৫ বছরের বড়। তিনি (বাবলু) যদি বলতেন আপনি (এরশাদ) পদত্যাগ করেন তাহলে ভাল শোনা যেত। সমালোচনা করুন, কিন্তু অবশ্যই গঠনমূলক হতে হবে। তিনি আরো বলেন, আপনাদের কেউ কেউ অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। কিন্তু কেনো? কেবিনেটের অংশ হিসেবে আমারও পদত্যাগ দাবি করতে পারেন। কারণ আমিও এই বাজেটের অংশ। বাজেট সংসদে উপস্থাপনের পর আলোচনা হয়। বাজেটের শুধু সমালোচনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,আমাদের অর্থমন্ত্রী ১২টি বাজেট দিয়েছেন। উনি বেঁচে থাকলে, আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তিনি আরো বাজেট দেবেন। কারণ অর্থমন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আছে।
বাজেট নিয়ে সংসদে যেসব মন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন তাঁদের উদ্দেশ্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন। মন্ত্রীদের অনেকে এই বাজেটের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু এই বাজেট কেবিনেটে অনুমোদিত। বাজেট পেশের আগে আমরা কেবিনেট মিটিং করি, সেখানে বাজেট অনুমোদিত হয়। বাজেট অনুমোদনের সময় মন্ত্রী হিসেবে আমিও উপস্থিত থাকি। আমার যদি কোনো কথা থাকে তবে কেন আমরা ওই সময় কথা বলিনি? অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পরে যারা সংসদ সদস্য তাঁরা বলতে পারেন। কিন্তু আমরা তো (মন্ত্রী) এই বাজেটের অংশ। তিনি আরো বলেন, এটা প্রস্তাবিত বাজেট, চ‚ড়ান্ত নয়। বাজেটের কিছু অংশের সমালোচনা থাকতে পারে। যেমন আবগারি শুল্ক ও ভ্যাট। এটি নিয়ে আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী সমাপনি বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাজেটে যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে আমরা দেখবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর যে বাজেট পাস হবে সেটি হবে দেশের শ্রেষ্ঠ বাজেট। তিনি বলেন, জিয়াউদ্দিন বাবলুরা বিদ্যুত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, তাঁদের আমলে নাকি লোডশেডিং ছিল না। বাস্তব কথা হলো- তাদের (জাতীয় পার্টি) আমলে তো বিদ্যুতই ছিল না, লোডশেডিং হবে কীভাবে?
ইফতার পার্টিতে প্রতিদিন বিএনপি চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়ার নানা মন্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া ইফতার পার্টিতে আমাদের বলেছেন জালেম সরকার। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ইফতার করেন, কিন্তু কোন বক্তব্য দেন না। খালেদা জিয়া বলেছেন শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নামটা যখন বলেন, তখন নামের আগে কোন বিশেষণ ব্যবহার করেন না। এর মানে হলো তাঁর (খালেদা জিয়া) মনের মধ্যে ক্রোধ, হিংসা, প্রতিহিংসা। এসব শুনতেও খারাপ লাগে। আমরাও চাইলে তাকে সেভাবে বলতে পারতাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যদি না আসেন তাহলে অনেকেই বলেছেন তাঁর (খালেদা জিয়া) দলের অবস্থা খুবই খারাপ হবে। সেটা আমি বলতে চাই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।