পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গড় পাশের হার ৭৪.৯৩ %
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) এর ৪০তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাশের হার ৭৪.৯৩%। ছাত্রদের পাশের হার ৮০.১৫%। ছাত্রীদের পাশের হার ৬৯.৭২%। পরীক্ষার ৬টি স্তরে মোট পরীক্ষার্থী ৮৯৭৪০ জন। স্টার মার্ক পেয়েছে ১৪১৩৬ জন ও প্রথম বিভাগে পাশ করেছে ১৫৮২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী।
মোট উত্তীর্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা- ৬৭৯৫০ জন। গতকাল বেলা ১২ টায় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতী আবূ ইউসুফ পরীক্ষার ফলাফলের ফাইল বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাইখুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলীর নিকট হস্তান্তরের পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় আল্লামা আশরাফ আলী (দা. বা.) বলেন, কওমী মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলে সফলতার নযীর স্থাপন করেছে। এরাই যোগ্য আলেম হয়ে জাতির সামনে ইসলামের বাণী তুলে ধরবে বলে আমার একান্ত বিশ্বাস।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাও: মাহফুজুল হক, মহাপরিচালক হযরত মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আব্দুল জলিল ফারুকী, মুফতী আমিনুল হক, মাওলানা আব্দুর রশিদ, বেফাকের সহসভাপতি মাও: ছফিউল্লাহ ও মাও: আ: গণী, বেফাক স্টাফ, পরীক্ষা কমিটির সদস্যগন নিরীক্ষকবৃন্দ এবং ঢাকা ও বিভিন্ন জেলা হতে আগত মাদরাসার পরিচালক, নাযিমে তালিমাত, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকবৃন্দ। পরীক্ষার ফলাফলের সকল তথ্য বেফাকের নিজস্ব ওয়েব সাইট িি.িরিভধয়নফ.ড়ৎম তে পাওয়া যাবে।
স্তরভিত্তিক ফলাফল নিম্নরূপঃ
কওমী মাদরাসার (২য় স্তর) ফযীলত (স্নাতক) মারহালায় ছাত্রদের পাশের হার ৭৪.২২% এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৬৬.৫৯%।
ফযীলত মারহালার বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদরাসার খলিল আহমদ নাদিম, ২য় স্থান অধিকার করেছে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার মু. আশরাফুল ইসলাম এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছে একই মাদরাসার মোঃ সাদিক আহমদ।ফযীলত মারহালার বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে যশোর জেলার জামিয়া ইমদাদিয়া মাদানীনগর (মহিলা মাদরাসার) মুছাঃ হাফসা খাতুন, ২য় স্থান অধিকার করেছে নরসিংদী জেলার আয়শা সিদ্দীকা দত্তপাড়া মহিলা মাদরাসার শামীমা আখতার এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছে সিলেট জেলার জামিয়া ফাতেমাতুয জাহরা (রাঃ) দয়ামীর মহিলা মাদরাসার মোছাঃ তাজকিয়া বেগম। সানাবিয়া ‘উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) মারহালার ছাত্রদের পাশের হার ৭১.৬৬% এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৫৬.১১%। সানাবিয়া উলইয়া মারহালার বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার মুহাঃ মাহফুযুর রহমান, ২য় স্থান অধিকার করেছে কুমিল্লা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম বরুড়া মাদরাসার মুহাঃ ইসমাঈল শরীফ এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৩ জন। তারা হল ঢাকা জেলার বাইতুস সালাম মাদরাসা উত্তরার আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার মুহাঃ ফয়জুল্লাহ মুনীর ও একই মাদরাসার মুহাঃ নাসরুল্লাহ গালিব।
সানাবিয়া উলইয়া মারহালার বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল মাদরাসা আল মাদানিয়া আল আরাবিয়া (মিরপুর মহিলা মাদরাসার) ফাতিমা সা’দিয়া, ২য় স্থান অধিকার করা যৌথভাবে ৩জন হল কিশোরগঞ্জ জেলার আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ ) কাওমী মহিলা মাদরাসার মাইমুনা, ঢাকা জেলার আল মাদরাসা আল মাদানিয়া আল আরাবিয়া (মিরপুর মহিলা) মাদরাসার উম্মে হাবীবা ও ঢাকা জেলার আয়েশা সিদ্দীকা মহিলা মাদরাসা আমলীগোলার ফাতেমা ফেরদৌস। ৩য় স্থান অধিকার করেছে মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা গলগন্ডার সানজিদা সাওদা।
মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক) মারহালার ছাত্রদের পাশের হার ৮৪.৮৪% এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৭৩.২০%। বালক শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করা যৌথভাবে ৪ জন হল জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার মুহাম্মদ যায়েদ হাসান, মোমেনশাহী জেলার দারুল উলূম নিযামিয়া মধ্যবাড়েরা মাদরাসার তাওহীদুল করীম, নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিআ রাব্বানিয়া আরাবিয়া জালকুড়ি মাদরাসার ইয়াসীন আরাফাত ও ঢাকা জেলার জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মোঃ জাফর ইকবাল। মেধাতালিকার ২য় স্থান অধিকার করা যৌথভাবে ৬জন হল ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল মাদানিয়া রাজফুলবাড়ীয়া সাভার মাদরাসার মুহাঃ রাসেল মাহমুদ, ফরিদপুর জেলার কাসেমুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসার মুহাঃ জুনায়েদ আহমদ, ঢাকা জেলার দারুল উলূম মিরপুর ১৩ মাদরাসার মোঃ সালাহ উদ্দীন, পিরোজপুর জেলার দারুল উলূম বালিপাড়া কওমী মাদরাসার মোঃ ওমর ফারুক, যশোর জেলার জামিয়া ইসলামিয়া দড়াটানা মাদরাসার মোঃ মাসউদুর রহমান ও কুমিল্লা জেলার জামিয়া রশীদিয়া আজীজুল উলূম রাণীর বাজার মাদরাসার মোঃ সাকিব হাসান। ৩য় স্থান অধিকার করা যৌথভাবে ২জন হল জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ ও চাঁদপুর জেলার জামিয়া কুরআনিয়া ফুলছোঁয়া মাদরাসার মোঃ মাহফুজুর রহমান। মুতাওয়াসসিতাহ (নি¤œ মাধ্যমিক) মারহালার বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে কুমিল্লা জেলার আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) মহিলা মাদরাসার তাযকিয়্যা নুসরা। ২য় স্থান অধিকার করা যৌথভাবে ২জন হল মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত (মহিলা মাদরাসা) গলগন্ডার ছাদিয়া মারজান ও ঝিনাইদহ জেলার সুফফাহ মহিলা মহেশপুর মাদরাসার সাওদা। ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা উত্তরা মাদরাসার মুবাশ্বিরা হুসাইন।
ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারী) মারহালার ছাত্রদের পাশের হার ৭৮.৫৩% এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৭২.৫৩%। মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর-এর মুহা: নাবীল সা’দী। ২য় স্থান অধিকার করেছে একই মাদরাসার মুহা: আতাউল্লাহ। ৩য় স্থান অধিকার করেছে জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুন নূর পশ্চিম যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মোহা: আব্দুল্লাহ মারুফ। ইবতিদাইয়্যাহর বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার মারিয়াম বুশরা, ২য় স্থান অধিকার করেছে মোমেনশাহী জেলার নাসিরাবাদ তোহফাতুল জান্নাত মহিলা মাদরাসার আবিদা সুলতানা এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছে লালমনিরহাট জেলার আলহাজ্ব আবুল কাসেম ও মরহুমা ফাতেমা খাতুন মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদরাসার মোছা: তানিয়া আক্তার ।
এছাড়া তাহফীজুল কুরআন ও ‘ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত বিভাগের পাশের হার যথাক্রমে ৮৬.৪১%এবং ৮৬.৯৪%। হিফযুল কুরআন মারহালার ৪৬ টি ও কিরাআতের দুটি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩ জন করে) পৃথক পৃথক ভাবে মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।