ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
ফাহমিদা হোসেন
(পূর্বে প্রকাশের পর)
হতাশাব্যঞ্জক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের মেডিক্যাল চিকিৎসকরাও ডেন্ট্যাল চিকিৎসাশাস্ত্রের পাঠ্যসূচী তথা জ্ঞানের পরিধি সম্বন্ধে অনেকক্ষেত্রেই অনবগত। তাদের এইরকম জ্ঞান সমাজে দন্তচিকিৎসক সম্বন্ধে আরও বেশি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। সুতরাং, এই ব্যাপারে অজ্ঞ সাধারণ জনগোষ্ঠীকে দোষারোপ করে আর কি হবে? আগেই বলেছি, যে অনেকক্ষেত্রে আবার আধিপত্য বজায় রাখার জন্য মেডিক্যাল চিকিৎসকেরা ভালোমত জানা সত্তে¡ও ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন রাখেন যে দন্তচিকিৎসকেরা মেডিক্যালের সব বিষয় অধ্যয়ন না করে ‘বিডিএস’ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন না। এই ফেইসবুকেই আনুমানিক ২ বছর আগে আমার একবার অভিজ্ঞতা হয়েছে যখন একজন হোমরাচোমরা চিকিৎসক সেই ‘স্টেথোস্কোপের’ কৌতুক শেয়ার করে যার-পর-নাই মজা লুটছিলেন! আমি যখন তাকে উপরোক্ত কথাগুলাই বললাম, তখন বললেন, উনি আসল তথ্য ঠিকই জানেন, কিন্তু শুধু সরল রসিকতা করছেন! প্রশ্ন হলো, সেটা কি আসলেই সরল রসিকতা? নাকি আধিপত্য বজায় রাখার নোংরা অপপ্রয়াস? সাধারণ মানুষের কাছে সত্য গোপন করে রসিকতা করার মাঝে তো সততা বা সারল্যের কোন অবকাশ নেই; কারণ তারা তো সেই মিথ্যাকেই সত্যি মনে করছে!
আমাদের পাঠ্যসূচীতে আছে দন্তচিকিৎসাশাস্ত্রের জন্য পৃথকভাবে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদিও। সেই অতিরিক্ত বিষয়গুলার মধ্যে অন্যতম হলো ডেন্ট্যাল অ্যানাটমি অ্যান্ড অক্লুশন, ওরাল সার্জারি ও এনেস্থেসিওলজি, ওরাল মেডিসিন ও প্যাথলজি, চিল্ড্রেন, প্রিভেন্টিভ ও কমিউনিটি ডেন্টিস্ট্রি, ডেন্ট্যাল রেডিওলজি, ডেন্ট্যাল ফার্মাকোলজি ইত্যাদি। হয়তো বলবেন, এ আর নতুন কি? মানলাম, এই বিষয়গুলা মেডিক্যালের সিলেবাস অনুযায়ী পূর্বে অধ্যয়নকৃত বিষয়ের ওভারল্যাপিং থাকাসত্তে¡ও শুধুমাত্র দন্তচিকিৎসাশাস্ত্রের জন্য কাস্টমাইজ করে আবারও পড়ানো হয়। অতএব, এইক্ষেত্রেও কিন্তু এই তথ্য এটাই সমর্থন করছে যে, মেডিক্যালের এই সাবজেক্টগুলা আসলে পাস করার আগেই আমরা মূলত ২ বার পড়ি।
তবে ডেন্টিস্ট্রির সিলেবাস কিন্তু সেখানেই শেষ না! সেই দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত হয় ডেন্ট্যাল কেমিস্ট্রি এন্ড মেটিরিয়্যালস, প্রস্থডোন্টিক্স-ফিক্সড এবং রিমুভেবল, অর্থডোন্টিক্স, এন্ডোডোন্টিক্স, কনজারভেটিভ/ অপারেটিভ ডেন্টিস্ট্র এই বিষয়গুলা। এখন আবার সেই প্রস্থডোন্টিক্সে যুক্ত হয়েছে ইমপ্ল্যান্ট ডেন্টিস্ট্রি। সুতরাং পড়ার বিষয়ের কিন্তু শেষ নেই! যুক্তরাষ্ট্রে এর সাথেও আবার যুক্ত হয় এথিক্স, জুরিস্প্রুডেন্স এবং ফরেন্সিক ডেন্টিস্ট্রির উপর আরও অনেক ইউনিট। উপরন্তু, আমাদের পেশায় কিন্তু অধিকাংশ মেডিক্যাল চিকিৎসকের মত থিওরি শিখে শুধু প্রেসক্রিপশন লিখে সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়ার অবকাশ নাই! সবই হাতের কাজ। সেইজন্য প্রয়োজন প্রচন্ড রকমের অনুশীলন। স্বভাবতই সেই চাহিদা মিটানোর জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় এবং সেই কারণেই অতিস¤প্রতি বাংলাদেশে বিডিএস [ব্যাচেলার অফ ডেন্ট্যাল সার্জারি] কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ব ছর করা হয়েছে। বাস্তবে মাত্র ৪ বছরে আমাদের পড়াশুনার মাত্রা ছিলো অনেক বেশি! নতুন ব্যবস্থার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ডেন্ট্যাল স্কুলগুলার মত আমাদের দেশেও অন্তত সমাপনী বর্ষে ছাত্রছাত্রীরা নির্বিঘেœ ক্লিনিক্যাল কম্পোনেন্টের উপর আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। পুঁথিগত বিদ্যা এবং বাস্তবে তার প্রয়োগ নিশ্চিত করলে পেশার মান বাড়বে বৈ কমবে না। আল্লাহ্র কাছে হাজার শোকর, আমাদের সময় যে ঘাটতিটুকু ছিলো সেটা আমরা বিদেশে এসে আবারও স্কুলে পড়াশুনা করে মিটিয়ে ফেলতে পেরেছি।
বলাই বাহুল্য যে, আমাদের পেশায় ফিলিং, ডেঞ্চার, ডেন্ট্যাল সিমেন্ট ছাড়াও ব্যবহৃত যাবতীয় জিনিস এবং যন্ত্রপাতি মূলত ২টা বিষয়ের উপর নির্ভরশীল এবং সেগুলা হলো রসায়নশাস্ত্র [কেমিস্ট্রি] এবং পদার্থবিদ্যা [ফিজিক্স]। এমন কোন বস্তু নাই যার জন্য আমরা পৃথকভাবে ‘ডেন্ট্যাল কেমিস্ট্রি এন্ড মেটিরিয়্যালস’-এর মাধ্যমে রসায়নশাস্ত্রের চর্চা করি না! উদাহরণস্বরূপ সামান্য মাউথ ওয়াশ ও টুথপেস্ট, কিংবা এন্ডোডোন্টিক্সের রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট-এ ব্যবহৃত ইরিগ্যান্ট সলিউশন থেকে শুরু করে গাটা পার্কা [কেউ কেউ বলে থাকেন ‘পার্চা’], এমনকি সীলার, রুট ক্যানাল মেডিকামেন্ট, কিলেটিং এজেন্ট, কম্পোজিট রেজিন ফিলিং-এর জন্য এচেন্ট, বন্ডিং, ক্যাটালিস্টের মাধ্যমে লাইট-কিওরিং, ডেন্ট্যাল কাস্টিং ও সেডারিং [কেউবা বলে ‘সোডারিং’] এই সবই রাসায়নিক গুণগত মান এবং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে আমাদেরকে নির্বাচন করতে হয়। একই কথা প্রযোজ্য অন্যান্য ফিলিং ম্যাটেরিয়্যাল বা ডেঞ্চার ম্যাটিরিয়্যালের ক্ষেত্রেও। এই ব্যাপারে একটা গল্প না বললেই না! আমি তখন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ পেন্সিল্ভেনিয়া- গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এডুকেশনে থিওরিজ অফ এডুকেশন ও টিচিং, লার্নিং, এন্ড কারিকুলাম-এর উপর পড়াশুনা করছি। এক সেমিস্টারে ক্লাসে এসে জানতে পারলাম যে, আমাদের শ্রেণীকক্ষে নতুন ওভারহেড প্রোজেক্টার ইন্সটল করা হবে। অতএব, সেদিন আমাদের ক্লাস অন্য কোন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সামান্য অব্যবস্থাপনার কারণে সেদিন স্কুলে কোন কক্ষ আমাদের জন্য বরাদ্দ হয়নি। তড়িঘড়ি করে আমাদেরকে পাঠানো হলো রাস্তার অন্যপারে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টে। সেদিন আমরা যেন সতীনের ৩ নম্বর বাচ্চা! সোজা নিয়ে ঢুকানো হলো বেইসমেন্টের নির্জন কোণার এক কক্ষে। কিন্তু আমি এবং আমার পাগলামি; তাই কোথায় যাচ্ছি, সেই পথের প্রতিটা বিষয় লক্ষ করছি। পড়াশুনার সুবাদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বিভাগে আমি বিচরণ করেছি। কিন্তু সেদিন প্রথম ‘হল অফ ফেইম’-এর আদলে তৈরি ‘ওয়াল অফ ফেইম’ দেখেছিলাম! আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স এবং মেডিসিন বিভাগের বহু বিজ্ঞজন নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। শুধুমাত্র কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টেই আছেন তেমন জীবিত এবং মৃত ১০/১২ জন। তাঁদের নাম এবং ছবি সম্বলিত সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোকিত করে আছে সেই ‘ওয়াল অফ ফেইম’।
ব্যাপারটা দেখে বেশ অভিভূত হলেও তেমন স্মরণীয় ছিলো না। কিন্তু কিছুদিন পর আমার কাছে চিকিৎসা নিতে হাজির হলেন তাঁদের মধ্যেই এক নোবেল লরিয়েট ড. আরউইন অ্যালেন রোজ। রসায়নবিদ [এবং বায়োলজিস্ট] বিধায় সব বস্তুর রাসায়নিক গুণাগুণ তাঁর নখদর্পণে! আমি যে ডেন্ট্যাল সিমেন্ট বা ফিলিং ম্যাটেরিয়্যালই ব্যবহার করতে যাই, সেটার উপরেই উনি পড়া ধরা শুরু করলেন! আমি কোনমতে স্মৃতি হাতড়ে উত্তর দিতে লাগলাম। দ্বিতীয়দিন উনি আরও বেশি প্রস্তুত হয়ে আসলেন। ডেঞ্চারে ব্যবহৃত এক্রিলিক, পলিমার, মনোমারের রাসায়নিক গঠন, কীভাবে পোরোসিটি প্রিভেন্ট করতে হবে, কোন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া, জিঙ্ক ফসফেট সিমেন্টে ক্যাটালিস্ট কোনটা, রাসায়নিক বিক্রিয়া কোন ধরনের এবং মিশানোর সময় কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সহ যাবতীয় প্রশ্ন! ডেঞ্চার বেইসের মেট্যালিক কম্পোজিশন বলার পর প্রতিটা উপাদানের ভূমিকা কি সেটাও আমি কোনমতে বলে ফেললাম। যেটুকু সেদিন পেরেছি, সেটা তখন চর্চা ছিলো বলে সম্ভব হয়েছে, এখন আমি নিশ্চিত যে তার অনেক তথ্যই মনে করতে পারবো না। যাই হোক, আমি অবলীলায় উত্তর দিয়ে যাচ্ছি দেখে উনি মুচকি হাসি দিয়ে আরও ধূর্ত বুদ্ধি প্রয়োগ করলেন! ক্রোমিয়াম, নিকেল, আর স্টেইনলেস স্টিলের শতকরা ভাগ উল্টে দিলে কী হবে? এবার আমি হার মানলাম। উনি তৃপ্তির হাসি দিয়ে বিদায় হলেন। হাজার হোক, তিনি ছিলেন সেই বিষয়ে ওস্তাদ। তাঁর সাথে কি জ্ঞানে পারা যায়?
এখন আসি এই পেশায় পদার্থবিদ্যার প্রয়োগের কথায়। এন্ডোডন্টিক্সে ইরিগ্যান্ট সলিউশন কীভাবে পুশ করলে ব্যাকওয়ার্ড ফ্লো হবে এবং এপেক্স দিয়ে এক্সপালশন হবে না, সিমেন্টেশনে সেটিং স্ট্রেংথের সাথে ফ্রিকশন্যাল ফোর্স কীভাবে জড়িত, একইভাবে ক্রাউন-ব্রিজ প্রিপারেশনের টেপার এবং হাইটের সাথে ফ্রিকশন্যাল ফোর্স/রিটেনশন কীভাবে উঠানামা করবে, সামান্য ফিলিং, অনলে বা ইনলে-র ওয়াল কোন অ্যাঙ্গলে তৈরি করলে রিটেনশন এবং স্ট্যাবিলিটি বাড়বে, অথবা ডেঞ্চারের জন্য গাইড প্লেইন, প্যাথ অফ ইন্সারশন, প্যাথ অফ ড্র, রিটেন্টিভ আর্ম, রেসিপ্রোকেটিং আর্ম... এই সবই কিন্তু ফিজিক্স-নির্ভর মাপ এবং প্রয়োগ শিখায়! সার্ভেয়িং-এর প্রয়োজনীয়তা সেই কারণেই। ক্যান্টিলেভার ব্রিজে বা ডেঞ্চারেও কীভাবে টর্ক মোকাবেলা করতে হবে, হ্যান্ডপিস আর ট্রাইচ্যুরেটার কত আর.পি.এম.-এ ঘুরবে, কনডেনসার সাইজ আর প্রেসার কতটুকু হওয়া দরকার, আল্ট্রাসোনিকেটারের কার্যপদ্ধতি এর সবকিছুই পদার্থবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত!
আরও ব্যাপকভাবে বলতে গেলে কার্ভ অফ স্পি, কার্ভ অফ উইলসন এবং অক্লুস্যাল প্লেইনের উপর ভিত্তি করে প্রতিটা দাঁতের এলাইন্মেন্ট কীভাবে হবে, কীভাবে লং এক্সিস নির্ধারণ করতে হবে, ভার্টিক্যাল ডাইমেনশনের মাধ্যমে কীভাবে ম্যাস্টিকেটরি ফোর্স ম্যাক্সিমাইজ করা যাবে, সামান্য দাঁত তোলাতেও কীভাবে ফালক্রাম ব্যবহার করতে হবে, হুইল অ্যান্ড এক্সেল প্রিন্সিপল ব্যবহার করে এলিভেট করতে হবে, অর্থডোন্টিক্সে মোলার আপরাইটিং, টিপিং, বডিলি মুভমেন্ট, প্যালাটাল এক্সপানশন, কিংবা হেড গিয়ার বা ইনভিজিলাইনের ব্যবহারও পদার্থবিদ্যার উপর ভিত্তি করেই আবিষ্কার এবং প্রয়োগ করা হয়েছে। সেইক্ষেত্রে গ্রোথ/ট্রিটমেন্ট রেজাল্টও কিন্তু কি ধরনের ফোর্স প্রয়োগ করে ম্যানিপুলেট করা যায়, সেটাই শেখায়। এর সাথে আনুষঙ্গিক আরও বিষয়, যেমন পেন গ্রাস্প, মডিফাইড পেন গ্রাস্প এবং পাম অ্যান্ড থাম্ব গ্রাস্পের মত ইন্সট্রুমেন্ট হোল্ডিং টেকনিক চলে আসে। অতএব, বলার অপেক্ষা রাখে না যে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের জ্ঞানের বাহিরেও আমাদের পেশা রসায়নশাস্ত্র এবং পদার্থবিদ্যার ব্যাপক এবং বাস্তবিক প্রয়োগসমৃদ্ধ। বলা বাহুল্য, যে দন্তচিকিৎসকগোষ্ঠী এই বিষয়গুলা শুধু প্রয়োগই করেন না, তাদেরকে এই তত্ত¡ এবং তথ্য ব্যাপকভাবে পড়াশুনা করেই ডিগ্রি অর্জন করতে হয়।
এইক্ষেত্রে আমার এক শিক্ষকের কথা উল্লেখ না করে পারছি না। প্রায় সত্তর বছর বয়স্ক ডা. রবার্ট টিসোটের মাথাভর্তি টাক আর সাদা দাঁড়ি। এইজন্য তাঁকে আমরা ডাকতাম ‘পাপা স্মার্ফ’। দন্তচিকিৎসকের পাশাপাশি উনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারও ছিলেন। সেইজন্য যে কোনরকম পরিস্থিতিতে উনি ফিজিক্স-নির্ভর স্ট্রাকচার্যাল ডিজাইন করে ক্রাউন-ব্রিজ বানিয়ে ফেলতেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে সেটা টিকে যেতো কম করে হলেও ১০/১৫ বছর! আসলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই বিশেষ শাখায় এইরকম জ্ঞান কাজে লাগানো শিখতে লেগে যায় অনেক সময়। কিন্তু একবার পারদর্শী হয়ে উঠলে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কোন ব্যাপারই না!
(চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।