পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জনগনের টাকা দিয়ে ব্যাংক লুটপাটের টাকা পূরণ করার অভিযোগ তুলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের সমালোচনা করে মুহিতের বিরুদ্ধে ‘ফৌজদারি অভিযোগ’ দায়ের করারও দাবি করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি তুলেন বাবলু।
প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘বিচিত্র দেশের বিচিত্র মন্ত্রীর বিচিত্র বাজেট’ বলে মন্তব্য করে বাবলু বলেন, অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের মহাসড়কে নাকি দুর্যোগের মহাসড়কে আছেন সেটা বিবেচনার বিষয়। ট্যাক্স পেয়ারের টাকা ব্যাংকিং খাতের ঘাটতি পূরণে দেয়া কোনো নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। এটা অনৈতিক কাজ। অর্থমন্ত্রী নৈতিকতা ও আইনবিরোধী এমন প্রস্তাব কীভাবে করেন? ‘লুটের টাকার ঘাটতি’ পূরণে করদাতাদের দেয়া অর্থ খরচের অধিকার অর্থমন্ত্রীর নেই মন্তব্য করে বিরোধী দলীয় এই এমপি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে এ জন্য আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। উনার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ আনা উচিত।
অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার আহŸান জানিয়ে বাবলু বলেন, ‘আপনি বিদায় নিন। পদত্যাগ করুন। সম্মানের সাথে বিদায় নিন। আপনার অনেক বয়স হয়েছে। আপনাকে সম্মান করি। বিদায় নিয়ে ষোল কোটি মানুষকে মুক্তি দিন।’
ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ এনে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ব্যাংকগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা হয়েছে। খেলাপি ঋণে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে আছে। এর মধ্যে ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। মূলত ব্যাংকগুলোকে ‘অক্সিজেন দিয়ে’ বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। খেলাপী ঋণ আদায় হলে ভ্যাট বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না মন্তব্য করে বাবলু বলেন, লুটপাট কারা করছে? এরা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী? কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে না? বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দুদক নাকি তার বিরুদ্ধে কিছুই পায়নি। সোনালী, রূপালী জনতা সব ব্যাংকের করুণ অবস্থা। শেয়ার বাজার লুট হয়েছে, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়নি।
ব্যাংক হিসাবে বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সিনিয়র এই এমপি বলেন, ব্যাংক হিসাবে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক ভুল বার্তা দিচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, এ শুল্কের নাম পরিবর্তন করবেন। ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’ রাখলে কানা ছেলে কানাই থাকে। শুধু প্রবৃদ্ধি উন্নয়নের একমাত্র মাপকাঠি নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী মিথ্যার বেসাতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। সত্যের কাছাকাছি থাকতে হবে, সত্যকে আলিঙ্গন করার সাহস থাকতে হবে। সুশাসন না থাকলে মানুষ উন্নয়নের সুফল পাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।