Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেকসই কৃষি উন্নয়নে ‘সফল’

৫৮ হাজার কৃষক পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যালু চেইন ও সাপ্লাই চেইনে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে আন্তঃসহযোগিতার মাধ্যমে কৃষিখাতের টেকসই উন্নয়নে পদ্ধতিগত নানা কৌশল গ্রহণ করছে কৃষকরা। একই সঙ্গে মানসম্মত খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ৫৮ হাজার কৃষক একসঙ্গে কাজ করছে। যাঁরা খামারের উৎপাদন বাড়াতে আত্মকর্মসংস্থানভিত্তিক উদ্যোগে আত্মনিয়োগ করেছেন। যা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এক লাখে উন্নীত হবে। এছাড়াও ভ্যালু চেইনের প্রতিটি পর্যায়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নের মাধ্যমে শত শত ক্ষুদ্রচাষী সাবসিসটেন্স থেকে ব্যবসা পর্যায়ে কৃষিতে টেকসই রূপান্তরের পথে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার, ফুড সিকিউরিটি এন্ড লিংকেজেস (সফল)। 

গত বৃহষ্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিশে^র বৃহত্তম সাসটেইনেবিলিটি সংগঠন সলিডারিডাড তাদের ‘সফল’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় বাস্তবায়িত সফল প্রকল্পের প্রথম পর্বটি কৃষি, দুগ্ধ ও সব্জী খাতে ১ হাজার ২০টি উৎপাদনকারী দল প্লাটফর্ম তৈরির পাশাপাশি লিড ফার্মার, কমিউনিটি পুষ্টি স্বেচ্ছাসেবক ও কমিউনিটি প্রাণীসম্পদ সেবাদাতাসহ স্থানীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেবাদাতা তৈরি করেছে। প্রকল্পটি মানসম্মত খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে ৫৮ হাজার কৃষক পরিবারকে সহায়তা জুগিয়েছে। এছাড়া টেকসই পদ্ধতিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে প্রভাব বিস্তারসহ উত্তম কৃষি উদ্যোগ গ্রহণ, সেবা-বাজারব্যবস্থা এবং আর্থিক সুবিধায় অংশগ্রহণসহ শক্তিশালী কৃষি ও ব্যবসা সহায়তা কাঠামো তৈরিতে অবদান রাখছে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বটি ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে, যেটি নিরাপদ ও স্থায়িত্বশীল খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে টেকসই কর্ম-উদ্যোগ গ্রহণের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক কৃষি, গ্রামীণ কর্মসংস্থান এবং কৃষক ও শ্রমজীবীদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেবে, যা থেকে ১ লাখের বেশি গ্রামীণ পরিবার উপকৃত হবে। এই পর্বে পূর্বের পাশাপাশি নতুন পণ্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে সয়াবিন। যার মাধ্যমে নোয়াখালী ও ল²ীপুর জেলায় ২৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা জোগাবে। বাংলাদেশের ব-দ্বীপ অঞ্চলের জন্য একটি সাসটেইবিলিটি কাঠামো তৈরি করা হবে, যেটি এ অঞ্চলের কৃষিকে আরো বেশি দুর্যোগ-সহনক্ষম করবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবতনের প্রভাব হ্রাস ও এর সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
সলিডারিডাড সাউথ এন্ড সাউথইস্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শতদ্রæ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ‘সোশ্যাল সেক্টর ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ এম জাকির হোসেন সিএসআর সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহামীন জামান, রহিম আফরোজ সুপারস্টোরস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্ল্যান্ট প্রটেকশন উইং-এর পরিচালক কৃষিবিদ অমিতাভ দাস, সলিডারিডাড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি লরেন্ট উমান্স সফল-এর দ্বিতীয় পবের লঞ্চিং ঘোষণা করেন। ##



 

Show all comments
  • S. Anwar ১৭ জুন, ২০১৭, ৮:৩৪ পিএম says : 0
    বিলকুল হাঁচা, আমাগো কৃষির উন্নয়ন এত্তো বেশী টেকসই আর মজবুত যে, উজানের পানির এক ঠেলায় পুরা উন্নয়নটাই নদীর স্রোতে ভাইসা যায়। আর এত্তো বেশী সফল যে, তার পুরা ফসল ফালাইয়া থুইয়া চাষাগো রিলিফ খাইয়া জান বাঁচান লাগে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ