Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমানে নাশকতার আশঙ্কা!

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে, তবে নাশকতার কোন তথ্য এখন পর্যন্ত নেই -বিমানমন্ত্রী
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের চাকার সেফটি পিনসহ ফ্লাই করার ঘটনা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক
স্টাফ রিপোর্টার : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিমানের ফ্লাইট পরিচালনায় বিভিন্ন সময় ঘটছে যান্ত্রিক ত্রæটি, চাকা ফেটে উড্ডয়নে বিঘœ ঘটছে, কখনো আবার বিমানের চাকার নাট-বল্টু খোলা অবস্থায়, কখনো উড্ডয়নের আগে চাকার সেফটি পিন না খুলে বিপজ্জনকভাবে আকাশে উড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইটে ঘটছে এরকম একের পর এক নানা ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক ঘটনা। এসব ঘটনাকে অনেকেই নাশকতার পরিকল্পনা বলে মনে করছেন। আবার বিমানযাত্রীদের কেউ কেউ বলছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমন করা এখন বিপজ্জনক। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের অঘটনা। যাত্রীরা এসব কারণে উদ্বেগ উৎকন্ঠা প্রকাশ করছেন । তারা বলছেন, একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেই চলেছে। এর কোন প্রতিকার নেই। শুধু তদন্ত কমিটিতেই ফাইল বন্ধী। অপরাধী চক্রকে সনাক্ত করে জরুরী ভিত্তিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়াতেই বিমানের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা চক্রটি আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাকে বহনকারী ভিভিআইপি ফ্লাইটে নাট বল্টু ঢিলে হওয়ার যে, ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে সকল গোয়েন্দা সংস্থাই চিন্তিত। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি ফ্লাইটে বিমানের সরবরাহ করা খাবারও ফেরৎ দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিশেষজ্ঞরা আশঙ্ক করছেন বিমানে নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বলে। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকরা বিমানের যান্ত্রিক ত্রæটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আদালতে দাখিল করা হয়নি। পর পর তিন দফায় প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের যান্ত্রিক ত্রæটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জানা যাবে কি হয়েছিল, এছাড়া প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে, তবে নাশকতার কোন তথ্য এখন পর্যন্ত নেই। তিনি আরো বলেন, বিমানে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে সত্য। তবে এগুলো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকরা বিমানের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরাসরি কার্গো বিমান পরিবহনের জন্য যে সব শর্ত দিয়েছে, তারা অধিকাংশই পুরন করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাকীগুলো পুরণ হরে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে। নাশকতার কোন ধরনের শঙ্কাও এখন নেই।
মন্ত্রী মেনন বলেন, সেফটি পিন না খুলে ফ্লাই করার ঘটনাটি আমার নজরে এসেছে। এ ব্যপারেও তদন্ত চলছে। তিনি দাবী করেন, বিমানের যাত্রী সেবার মান বেড়েছে এবং সিডিউল মোতাবেক যথা সময়েই ফ্লাই পরিচালনা করা হচ্ছে। বিমানে আগের মতো বড় ধরনের কোন সমস্যা নেই।
জানা যায়,গত ২জুন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একটি ফ্লাইট চাকার সেফটি পিন না খুলে বিপজ্জনকভাবে আকাশে উড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এয়ারক্রাফটটি ফ্লাই করার পর পাইলট চাকাগুলো ভেতরে ঢুকাতে পারছিলেন না। ফলে বাধ্য হয়ে আকাশে তেল পুড়িয়ে ৫০ মিনিট পর ফের শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন বিমানটি। গত ২ জুন ঢাকা-ব্যাংককের ফ্লাইটে (বোয়িং-৩৭৩) ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে। পাইলট ও গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের ভুলের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিমান ও সিভিল এভিয়েশন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১০১১ (রাঙা প্রভাত)-এ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন বেসরকারি বিমান ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন এখনো আদালতে দাখিল করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ মে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ নতুন দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে তিনবার প্রতিবেদন দাখিলের সময় পেছানো হলো।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শন মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, বুধবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুবুল আলম আদালতে সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৭ মে তদন্ত প্রতিবেদ দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্থানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। ত্রুটি মেরামত করে সেখানে চার ঘণ্টা অনির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর ওই উড়োজাহাজেই প্রধানমন্ত্রী বুদাপেস্টে পৌঁছান। ওই ত্রুটি মানবসৃষ্ট কারণে হয়েছিল বলে সংসদে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এই ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ বিমান। পরে ওই কমিটিতে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসানকে কো-অপ্ট করা হয়। ফলে কমিটির সদস্য সংখ্যা চার থেকে পাঁচে উন্নীত হয়।
এই ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ বিমানের ৬ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর বরখাস্ত হন বিমানের প্রকৌশলীসহ আরো ২ জন। এ ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বিমানের ওই ৯ কর্মকর্তা-কর্মীকে আসামি করে গত ২০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান।
মামলার আসামিরা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
এদিকে বিমানের এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্রমাগত সংস্থাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠেছে। বিমানের প্রশাসনিক দুর্বলতা, পরিচালনা পর্ষদের কঠোর নজরদারির অভাব এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির কারণে বিমান এখন ডুবতে বসেছে বলে দাবী করছেন ট্রাভেল এজেন্সীর মালিক ও ব্যবসায়ী আসাদুল হক। তিনি বলেন, আকাশ পথে ব্রমণকারীদের অনেকেই এখন বিমানে ভ্রমণ করতে ভয় পাচ্ছেন। যাত্রী হয়রানীসহ নানা প্রতিকুল পরিবেশেও তারা জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেই ভ্রমণ করে আসছেন। কিন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ভয়াবহ ঘটনা জানার পর থেকে অনেকেই এখন বিমানের টিকেট কিনতে ভয় পান।
আন্তর্জাতিক মানের আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ আকামত আলী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করা মানে কষ্টের উপার্জনের অর্থ দিয়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কেনা। এছাড়া নিরাপত্তা ঝূঁকিতো আছেই। যুক্তরাজ্যসহ বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থারা বার বার সর্তক করে বলেছে, বাংলাদেশে ভ্রমন বিপজ্জনক। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ ও হাই রিক্স।
এ ব্যপারে বিমানের এমডি ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোসাদ্দিক আহম্মেদের বক্তব্য জানতে বলাকা ভবনে গিয়ে যোগাযোগ করলে তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এমডি বর্তমানে ট্রেনিংয়ের জন্য দেশের বাইরে আছেন।
এদিকে চাকার সেফটি পিনসহ বিমান ফ্লাই করার ঘটনার দিন এয়ারক্রাফটির ক্যাপ্টেন ছিলেন পাইলট নিক্সন বাড়ই। নিয়ম অনুযায়ী ল্যান্ডব্যাক করার পর লগ বইতে পুরো ঘটনাটি পাইলটের লিখে রাখার কথা। কিন্তু পাইলট নিক্সন বাড়ই তা না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগ তাদের লগ বইতে ওই ফ্লাইটের ল্যান্ডিং গিয়ারের গ্রাউন্ড সেফটি পিন খোলা না থাকার কথা উলে­খ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনার ২ দিন পর বিমান কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুটি তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় পাইলট ও গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারের ভুল ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় পাইলট ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করা হবে।
পাইলট নিক্সন বাড়ইয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফ্লাইট নিয়ে দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিমানের প্রকৌশল বিভাগের জিএম হানিফ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার আশরাফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের চাকার সেফটি পিনসহ ফ্লাই করার ঘটনা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক। এ ধরনের ঘটনায় পাইলট ফ্লাই করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করলে বাতাসের চাপে বের হয়ে থাকা বিমানের সব চাকা আকাশেই দুমড়ে-মুচড়ে উড়ে যেত। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও ছিল।
বোয়িং চেক লিস্ট ও পাইলটের লাইসেন্সিং শর্ত অনুযায়ী সব ধরনের ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে পাইলট ও কো-পাইলট বিমানের চারদিকে ঘুরে ঘুরে (এক্সটার্নাল ইন্সপেকশন) সবকিছু হাতেকলমে দেখার কথা। এর মধ্যে অন্যতম হল বিমানের চাকায় লাগানো সব সেফটি পিন খোলা হয়েছে কিনা, তা সরেজমিন দেখার পর নিশ্চিত হওয়া। শুধু ল্যান্ডিং গিয়ারের পিন খোলা হবে পাইলট ককপিটে বসার পর। এয়ারক্রাফট টেকঅফের আগমুহূর্তে গ্রাউন্ড টেকনিশিয়ানরা ওই পিনগুলো খুলে পাইলটকে দেখাবেন। পাইলট ককপিটের মনিটরে পিনগুলো দেখে নিশ্চিত হলেই কেবল বিমানের ব্রেক ছাড়ার নির্দেশ দেবেন। কিন্তু ওই ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন নিক্সন বাড়ই পিন না দেখেই ব্রেক ছাড়ার নির্দেশ দেন এবং ফ্লাইটটি বিপজ্জনকভাবে টেকঅফ (উড্ডয়ন) করান বলে বিমানের সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকৌশলী জানিয়েছেন।



 

Show all comments
  • ম আ সালাম গফফার ১৭ জুন, ২০১৭, ৭:১৮ এএম says : 0
    ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উস্কানিমূলক কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ থেকে আমরা সকলেই বিরত থাকি। তাহলে দেশে শান্তি শ্রিংখলা বজায় থাকবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ