পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণতা অর্জন করলেও দেশে পুষ্টির ঘাটতি এখনো প্রকট বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে ফল চাষে নজর দেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে বলেছেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী বলেন, খাদ্যাভাব চলে যাওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবে আমাদের দৃষ্টি স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে গিয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কার্যক্রমের উদ্যোগের ব্যবস্থা করছি। আমাদের দেশে এখনও পুষ্টির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পুষ্টির অভাবে আমাদের বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বেশ অসুবিধা হয়। পুষ্টির অভাবটাই দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে পুষ্টির দিকে আমাদের বিশেষ করে নজর দেওয়া প্রয়োজন। দেশের মানুষের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেন মুহিত।
সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে ফার্মগেইটের আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়াম চত্বরে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও তিন দিনের জাতীয় ফল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুহিত। প্রদর্শনীতে ১৩০ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য ফল মেলা উন্মুক্ত থাকবে। মেলা থেকে বিভিন্ন জাতের ফল কেনারও সুযোগ রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে দেশে খাদ্যের অভাব ছিল, কিন্তু সেটা বর্তমানে নেই। এজন্য আমি জনগণকে অভিনন্দন জানাই, তাদের প্রচেষ্টায় এই সুযোগটা আমাদের হয়েছে। অবশ্য আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণা এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। প্রযুক্তি ও গবেষণা ছাড়া আমাদের মত দেশে কোনো উপায় নেই। এসব আধুনিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বছরব্যাপী যাতে ফল চাষ করা সম্ভব হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহŸান জানান মুহিত।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম মোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, বছরে বাংলাদেশে মোট ৬৭ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন ফলের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিক টন। মোট চাহিদার ৬৫ ভাগ ফলই আমদানি করতে হয়। একজন ব্যক্তির দিনে ১১৫ গ্রাম করে ফল খাওয়ার দরকার হলেও বাংলাদেশের মানুষ গড়ে ৭৫ দশমিক ৪২ গ্রাম করে ফল খেতে পারছেন। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট ফলের মধ্যে মে থেকে অগাস্ট মাসে ৬০ শতাংশ, জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে ১৯ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে ২১ শতাংশ উৎপাদিত হয় বলে জানান তিনি।
পুষ্টির ঘাটতি মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের ফলের সরবারহ সারা বছর নিশ্চিত করতে ‘বারমাসী’ ও ‘অনামৌসুমী’ ফলের আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া মৌসুমী ফলের প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলে সেসব ফল রপ্তানির সুযোগ বাড়ানোর সুপারিশ করেন প্রফেসর রমাফাজ্জল।
কৃষিসচিব মাঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম মারুফ এবং কৃষিবিদ কুদরত-ই-খোদা সেমিনারে বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।