পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর কার্টন ভর্তি কন্যার লাশ খুঁজে পেলেন হতভাগ্য পিতা। বাবার অফিসে যাচ্ছি বলে বাসা থেকে হওয়ার পর হারিয়ে যায় সালমা আক্তার (৯)। কন্যা হারিয়ে হতবিহŸল পিতা সোলায়মান থানায় জিডি করেন। জিডি গ্রহণ করেই দায়িত্ব শেষ করে পুলিশ। কিন্তু কন্যাকে খুঁজতে থাকেন পিতা। অবশেষে একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে বাসার পাশের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় আবর্জনার ভাগাড়ে খুঁজে পান আদরের মেয়ের লাশ। লাশ পাওয়ার পর পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। তবে কারা কেন এ নিষ্পাপ শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কোনকিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ। ফুলের মতো ফুটফুটে কন্যাকে হারিয়ে হতবিহŸল পিতা সোলায়মান ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নগরীর বাদুরতলার শাহ আমানত সোসাইটির বাসিন্দা মোঃ সোলায়মান অটোরিকশা ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক। তার কন্যা সালমা আক্তার নগরীর বহদ্দারহাট আতাতুল ক্যাডেট মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ করে বাসায় আসে সালমা। ব্যাগ রেখেই বাবার অফিসে যাচ্ছি বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় সে। সেই থেকে সালমা নিখোঁজ।
মোঃ সোয়ালমান বলেন, মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে বেলা ১২টার দিকে বাসায় ফেরে সালমা। ব্যাগ রেখে বহদ্দারহাট মোড়ের যমুনা পরিবহনের কাউন্টারে আমার কাছে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয় সে। তারপর থেকে সালামাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সালমার সন্ধান না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি মাইকিং ও পোস্টারিং করে। মঙ্গলবার রাতে সালমার সন্ধানে পাঁচলাইশ থানায় জিডিও করা হয়। জিডি গ্রহণ করার পর পুলিশ আর কোন তৎপরতা দেখায়নি। এতে আরও হতাশ হন সোলায়মান। নিজেই কন্যার খোঁজে নেমে পড়েন। তিনি বলেন, একপর্যায়ে এলাকার কয়েকটি ভবনের সিসি টিভির ফুটেজ যোগাড় করি। একটি ফুটেজে নঈমিয়া ভবনের সামনে সালমাকে দেখতে পাই। তার ধারণা মেয়ে আশেপাশে কোন এলাকায় আছে। কেউ হয়তোবা তাকে লুকিয়ে রেখেছে। তিনি আশপাশের ভবনের সবকয়টিতে মেয়ের খোঁজে তল্লাশি চালান। নঈমিয়া ভবনেও খোঁজখবর নেন তিনি। কোথাও সালমাকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে গতকাল ভোরে আরাকান সড়কের নঈমিয়া ভবন নামের মার্কেটের তিনতলা থেকে লাশ উদ্ধার করেন। ওই ভবনের তৃতীয় তলায় রাখা একটি কাঠের তৈরি কার্টনে আর্বজনা চাপা দিয়ে রাখা হয় লাশটি।
সালমার মামা মহিউদ্দিন বলেন, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় কয়েক জনসহ আমরা পাঁচ জন ওই ভবনের তিনতলায় যাই। সেখানে গাছের একটি কার্টন দেখতে পাই। সেটি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। কার্টনের উপর ভাঙা বেসিন, ছেড়া কাপড় ও আর্বজনার স্তুপ দিয়ে ঢাকা ছিল। ওইসব ময়লা সরিয়ে কার্টনের ভেতর ভাগ্নি সালমার লাশের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান মহিউদ্দিন।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, শিশুটির গলার ডান পাশে একটি দাগ দেখা গেছে। তবে শরীরে পচন ধরে ফুলে যাওয়ায় সেটা আঘাতের দাগ কি না তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কেন, কী কারণে, কিভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। ভবনটিতে দুটি সিঁড়ি। দক্ষিণ পাশের সিঁড়িটি ব্যবহার হত না। ওই সিঁড়িতে একটি গাছের কার্টনে লাশটি পাওয়া যায়। নঈমিয়া ভবনের নিচ তলায় কয়েকটি দোকান, দুই তলায় একটি ডেন্টাল ক্লিনিক ও একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এবং তৃতীয় তলায় একটি গোডাউন ও একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। পরিদর্শক ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, ভবনটির দোকান ও প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে বলেই প্রাথমিক পরিদর্শনে মনে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।