ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
সোনার হরিণ
বর্তমানে বাংলাদেশে যেকোনো সরকারি-বেসরকারি চাকরি সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও অনেকে চাকরি পাচ্ছেন না। এখানে যোগ্যতার চেয়ে পকেটের জোর এবং আত্মীয়ের জোর চাকরি পাওয়ার প্রধান শর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে যাঁরা পকেটের জোর অর্জন করতে পারছেন না, তাঁদের বাড়ি ফিরে এটা- সেটা করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
চাকরি না পেয়ে অনেক তরুণের জীবনের আশার আলো নিভে যাচ্ছে। অনেক পরিবারের অগ্রগতি থেমে যাচ্ছে। তাদের সামাজিক মর্যাদা খাটো হচ্ছে। লোকে বলে, কী পড়াশোনা করলে, একটা চাকরিই জোগাড় করতে পারলে না। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, অযোগ্য লোকেরা চাকরি পেয়ে যাওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। আবার দেশে যে হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সে হারে কর্মসংস্থান হচ্ছে না, সেটাও ঠিক। কর্মসংস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই প্রতিটি মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
মোহাম্মদ অংকন, ঢাকা।
শিক্ষক নিবন্ধন
স¤প্রতি চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এতে পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি রয়েছে। ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনে প্রকাশ করা হয়নি, এর মধ্যেই চতুর্দশ নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে এনটিসিআরএর কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা উঠেছে। ত্রয়োদশ নিবন্ধন পরীক্ষায় উপজেলাভিত্তিক শূন্যপদের বিপরীতে তিনজনকে লিখিত পরীক্ষায় পাস করানো হয়। ফলে অনেকেই লিখিত পরীক্ষা ভালো দেওয়া সত্তে¡ও উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
বিজ্ঞপ্তিতে কোন উপজেলায় কোন বিষয়ের শূন্য পদ আছে কিংবা নেই, তা উল্লেখ করা ছিল না। ফলে অনেকেই নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করেন, সময় ও অর্থ খরচ করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন, অথচ তিনি জানেনই না, তাঁর পঠিত বিষয়ে উপজেলায় পদ ফাঁকা নেই। অন্যদিকে যাঁরা প্রিলিতে উত্তীর্ণ হন, তাঁদের একটা বড় অংশ সময় ও অর্থ ব্যয় করে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন, ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেন। কারণ, উপজেলাতে পদ ফাঁকা ছিল না। আর এই পদ ফাঁকা না থাকার বিষয়টা জানতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় পড়াশোনা করে প্রিলি পাস করার পর। তাই উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। সর্বোপরি এ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের নজরদারি বাড়ানো উচিত।
মো. আবু তাহের মিয়া, রংপুর।
কঠোর ভেজালকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে
সারাদেশ ভেজাল খাদ্যে সয়লাব। চাল-চিনি, আটা, লবণ, তেল, মাছ, মাংস, ফল, ফসল, এমনকি রমজান মাসে লাচ্ছা সেমাইয়ে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে।
চলছে ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান। তাতেও থেমে নেই খাদ্যে ভেজাল তৈরি করা অসাধু ব্যবসায়ীরা। ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারীদের শুধু জরিমানা করলেই হবে না, যারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কারখানা তৈরি করে, লাচ্ছা সেমাইসহ অন্যান্য খাবার তৈরি করছে, ওই কারখানার মালিকদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং কারখানা সিলগালা করে দিতে হবে। বড় বিষয় হচ্ছে, আমাদের সবাইকে বিবেকসম্পন্ন মানুষ হতে হবে। ভেজাল খাবারে আর মানুষের জীবন বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি কখনো ভেজাল খাবার মানুষের মধ্যে বিতরণ বা বিক্রি করেননি। তাই এখনকার সময়ে ভেজাল খাবার তৈরিকারকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন।
ফারুক আহমেদ, বাগমারা, রাজশাহী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।