পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই জেলাসহ চার জেলায় পাহাড় ধসে বিপুল পরিমাণ প্রাণহানির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সি. যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে লাশের সংখ্যা যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখন সরকারপ্রধান ভ্রæক্ষেপহীন, নিরুদ্বেগে বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন। সরকারের জনভিত্তি ধসে গেছে বলেই জনগণের বিপদের সময় নির্লজ্জ আচরণ করছেন ক্ষমতাসীনরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপদের সময় নিজ দেশের জনগণকে ফেলে চলে যাওয়া আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ও ইতিহাস উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ৭১ সালেও তারা সেই ঐতিহ্যই রক্ষা করেছেন। ১/১১ এর সময়ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেই ট্র্যাডিশন সমানে রক্ষা করেছেন।
রিজভী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত দুর্গত মানুষ এবং অসংখ্য লাশের স্তুপকে ডিঙ্গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন আনন্দভ্রমনে সুইডেন সফরে বেরিয়েছেন। ঠিক যেমনিভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানার সময় তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা সফর করছিলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে কোন দুর্যোগ হলে অন্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বিদেশ সফর বাতিল করে নিজ দেশে উপদ্রæত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
বিএনপির সি. যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা মুখে তুবড়ি ছুটিয়ে উন্নয়নের কথা প্রচার করে। কিন্তু চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটিতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়নই হয়নি বলেই দুই দিনের প্রবল বর্ষণে মাটি চাপায় অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। ওই সব এলাকায় উন্নত রাস্তাঘাট নেই। নেই বিদ্যুৎ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনায় আগাম বার্তা জানানোর কোন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নেই।
রিজভী বলেন, এখন বিদেশিদের মন রক্ষার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ছোটাছুটি করছেন। যে সমস্ত কনফারেন্সে সচিব পর্যায়ের বা প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের লোক যাওয়ার কথা সেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ধসে মাটিচাপায় নিহত মানুষ, হতভাগ্য মানুষদের প্রতি সরকারপ্রধানসহ সরকারের অবজ্ঞায় দেশবাসী ক্ষুদ্ধ। স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার উপদ্রæত মানুষ ঠাঁই পাচ্ছে না। সেখানে এখনও কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি। অবস্থা ক্রমাগতভাবে বেহাল হচ্ছে।
রিজভী দাবি করেন, দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও সরকারপ্রধানের বিদেশ সফর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপদ্রæত মানুষ, বিধ্বস্ত জনপদ ও অসংখ্য লাশকে উপহাস করারই সামিল। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের তেমন কোনো কূটনৈতিক তাৎপর্যও নেই।
বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যার যা সামর্থ আছে, তা নিয়ে উপদ্রæত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহŸান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।