পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্্শী : লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় তারিখে কদর রাত্রির তালাশ কর। (সহীহ বুখারী)
এই হাদীসে দু’টি স্পষ্ট নিদর্শনের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এক: এই রাত্রিটি রমজান মাসের শেষ দশকের কোন একটি রাত। দুই: এই রাত্রিটি বেজোড় তারিখের হবে, জোড় তারিখের নয়। শেষ দশকের বেজোড় রাত্রি বলতে ২১-২৩-২৫-২৭-২৯ এই তারিখসমূহ বুঝায়। লাইলাতুল কদর বা কদর রাত্রির অর্থ ও মর্ম বিশ্লেষণ করে আল্লামা বদর উদ্দিন আইনী (রহঃ) লিখেছেন: লাইলাতুল কদর অর্থে এমন রাত্রিকে বুঝায়, যাতে যাবতীয় ব্যাপারের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। উহার চূড়ান্ত রূপদান করা হয় এবং একটি বছরের জন্য আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এই রাত্রে সকল বিধান ও মর্যাদার ফায়সালা করেন।
ইমাম যুহরী (রহঃ) এই রাতের নাম করণ সম্পর্কে বলেছেন: এই রাতটির নিজস্ব মাহাত্ম্যের জন্যই এর কদর নাম করণ করা হয়েছে। কেননা, ইহা অতীব উচ্চমান ও মাহাত্ম্যের রাত্রি। এ সম্পর্কে মুহাদ্দিস আবু বকর আল ওয়াররাক (রহঃ) বলেছেন : এই রাত্রিটির নাম কদর রাত্রি রাখা হয়েছে এ জন্য যে, যে ব্যক্তি মূলতঃ মান-মর্যাদা সম্পন্ন নয়, সে যদি এই রাত্রির এবাদতে যথাযথভাবে অংশগ্রহণ করে ও রাত্রি জাগরণ করে আল্লাহর ইবাদত করে, তাহলে সেও সম্মান ও মর্যাদাবান হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে।
আবার কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে, এই নাম করণের কারণ হলো-এই রাত্রিতে মুমিন ব্যক্তি যে নেক আমল করে, তা’ আল্লাহর নিকট মকবুল হওয়ার কারণে অধিকতর মূল্য ও মর্যাদার অধিকারী হয়ে থাকে।
মহান আল্লাহর মর্যাদাবান কিতাব কুরআন মাজীদ এই রাত্রিতে নাযিল হয়েছে বলেই-এর নাম কদর রাত্রি রাখা হয়েছে বলে অনেক গুণীজন অভিমত প্রকাশ করেছেন। মুহাদ্দেস সহল ইবনে আবদুল্লাহ বলেন, মহান আল্লাহপাক তাঁর মুমিন বান্দাদের প্রতি রহমত বর্ষণের পরিমাণ এই রাতে নির্ধারণ করেন বিধায় ইহার উক্ত নামকরণ করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ এই অভিমতও ব্যক্ত করেছেন যে, এই রাত্রিতেই আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী এক বছর সময়ের নিয়ম-বিধানের চূড়ান্ত ব্যবস্থা করেন। কেননা, আল্লাহ পাক নিজেই ঘোষণা করেছেন: এই মর্যাদাবান রাত্রিতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাÐের চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেয়া হয়। অতএব এই রাত্রির প্রকৃত মর্যাদা অনুধাবন করার প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা একান্ত দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।