পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
রাঙ্গামাটি সদরের মানিক ছড়িতে প্রবল বর্ষণে ধসে পরা পাহাড়ের নিচে চাপা পরে নিহত ছয় সেনা সদস্যদের মধ্যে ক্যাপ্টেন তানভিরের বাড়ি বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠী গ্রামে। তার বাবার নাম মোঃ ছালাম মোল্লা এবং মা বাবলী বেগম। আকস্মিক ওই মৃত্যুর ঘটনায় তানভিরের পরিবারের চলছে এখন শোকের মাতম। সোমবার মৃত্যুর ঘটনা শুনেই বাবা ও মা ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান। ক্যাপ্টেন তানভিরের এক ভাই ও এক বোন। ৫ মাস আগে তানভির জয়পুরহাটে বিয়ে করেন।
স্বজনরা জানান, তানভিরের বাবা ছালাম মোল্লার চাকরির সুবাধে পরিবারের অন্যন্য সদস্যদের সাথে তানভিরও দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার টঙ্গী এলাকায় থাকতেন। ২০০৯ সালে তানভির সেনা বাহিনীর কমিশন র্যাংকে যোগদান করেন। তানভিরের এমন আকষ্মিক মৃত্যুতে মুহ্যমাণ হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। তানভিরের চাচা মোজাম্মেল মোল্লা বলেন, পরিবারের একমাত্র গর্বের ধন তানভিরকে হারিয়ে সকলেই নির্বাক হয়ে পড়েছেন। আল্লাহ তাদেরকে এ কেমন শাস্তি দিলেন এমনটাই বলে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন।
ক্যাপ্টেন তানভিরের আকস্মিক মৃত্যুতে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাউফলের এমপি ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ, বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ তালুকদার, বাউফল সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতুল চন্দ্র পাল, বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি হারন অর রশিদ, কালিশুরী ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন সিকদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এদিকে তানভিরের মরদেহ বাউফলে আনার কথা থাকলেও আবহাওয়াজনিত কারণে আনতে না পেরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে স্বজনদের একটি সূত্র জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।