পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন, দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও দূর্নীতি দূর করতে; মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় পয়দা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে জনগণকে নেক ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় পয়দা হলে মানুষ সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও দূর্নীতিতে লিপ্ত হবে না। মাওলানা আতাউল্লাহ আরো বলেন, ইসলাম ও আলেম বিদ্বেষী কুচক্রী মহল ইতিহাস বিকৃত করে স্বাধীনতা যুদ্ধে আলেমদের অবদানের কথা ধামাচাপা দিয়ে আলেমদের পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা বিরোধী বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। ইসলাম বিনাশী এ চক্র হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ. এর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী অপবাদ দিয়ে গোটা সমাজকে খাট ও অপদস্ত করার চক্রান্ত করছে। অবিলম্বে এসব নাস্তিকচক্রের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না। নাস্তিকচক্র মূর্তিকে ভাস্কর্য বা সাংস্কৃতিক কর্ম বলে উলামায়ে কেরামকে বিভ্রান্ত করে সারাদেশে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, মূর্তিকে অন্য কোন নামে স্থাপন করে আলেম সমাজকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। গ্রীক দেবীমূর্তি সহ সকল মূর্তি অপসারণ করতে হবে। এদেশের আলেম সমাজ ও ইসলামী জনতা মূর্তির বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরি করবে। মূর্তির বিষয়ে কোন ছাড় হবে না। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) উনার কটুক্তিকারীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায়ে মৃত্যূদÐের নজীর রয়েছে। অথচ তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত রাসূল সা. কে কটুক্তিকারী নাস্তিক ও মূর্তিপ্রেমিকদের বিচার করা হয় না। কাউকে গ্রেফতার করলেও পরে তাকে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়। সরকারের নিকট আমাদের দাবি হচ্ছে আল্লাহ, রাসূল ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারীদের ফাঁসি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
গতকাল বুধবার ডিপ্লোমা ইজ্ঞিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন ও মুফতী আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতীফ নেজামী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, খেলাফতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, আলহাজ্ব আনীসুর রহমান জিন্নাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মাওলানা রুহুল আমীন, মুফতী হারুন ইজহার, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সভাপতি শেখ গোলাম আসগর, মাওলানা মীর ইদরীস, নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মূসা বিন ইজহার, হাজী জালালুদ্দীন বকুল, জাতীয় ইমাম সমাজের মহাসচিব মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা সানাউল্লাহ, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা হাফেজ আবু তাহের ও মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, বিশ্বকে শোষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে ইসলামী নেতৃত্বকে তাক্বওয়ার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. বলেছেন শান্তির একই পথ ইসলামী হুকুমত। সুতরাং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাঁর রেখে যাওয়া সংগঠন খেলাফত আন্দোলনের কাজকে বেগবান করতে হবে।
মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, সমাজে বিদ্যমান সমস্যাসমূহের সমাধানের জন্য তাক্বওয়া ভিত্তিক সমাজ নির্মাণের কোন বিকল্প নেই। তাক্বওয়াভিত্তিক সমাজ ও রাষ্টব্যবস্থার নামই খেলাফত শাসন ব্যবস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।