Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিভাবকদের দায়িত্ব

| প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ও বেহিসাবি জীবনযাপন কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। ঐশী ও আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের পরিণতি তার বড় উদাহরণ।
স্ত্রীসহ পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় গত সোমবার তাঁদের মেয়ে ঐশী রহমানকে মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। কিন্তু এ হত্যার দায় কী ঐশীর একার? তার মা-বাবা, এই সমাজব্যবস্থার কোনো দায় নেই? ঐশীদের যারা তৈরি করেছে তাদেরও এমন সাজা হবে না? শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই সব নয়। নৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক শিক্ষাটাও দরকার। আর এই সামাজিক শিক্ষাটা সন্তানরা পায় পরিবার তথা মা-বাবার কাছেই। এর প্রথম গাঁথুনিটা পরিবার থেকেই পায় সন্তানরা। মাদকই শুধু নয়, আধুনিকতার নামে অধিক স্বাধীনতা সন্তানের কি চরম সর্বনাশ নয়? এ থেকে আমাদের মা-বাবারও কি কোনো শিক্ষা নেই। একটা ছেলে বা মেয়ে যদি বুঝে যায় তার বাবা ডাকাত, তাহলে নিশ্চয় সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হওয়ার বা করার স্বপ্ন দেখবে না। এখনো আমাদের দেশে হরদম চলছে সভ্যতা ও ঐতিহ্য ধ্বংসকারী মাদক, ডিজে ও ড্যান্স পার্টি। আধুনিকতার নামে যে অপসংস্কৃতি সমাজজীবনে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তার প্রতিদান পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। ঐশী আমাদের রোগাক্রান্ত সমাজের একটি উপসর্গমাত্র। দরকার মূল রোগের চিকিৎসা। তাহলেই আমাদের আর কারোর ঐশীর মতো দুঃখজনক পরিণতি দেখতে হবে না। ঐশীর এবার যাবজ্জীবন হয়েছে। যে সমাজ তাকে এ পথে নিয়ে এসেছে তার বিচারও তো হওয়া দরকার। ঐশী ও সাফাতদের হাতে যেসব মা-বাবা হাত খরচের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা দিতেন বা দেন, তাঁদের কি আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে পেরেছি বা পারব? অষ্টাদশীর চাঁদ ডুবে গেলে আঁধার ছাড়া আর কিছুই বাকি থাকে না।
মোহাম্মদ আবু নোমান
কালকিনী, মাদারীপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন