Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহেশখালের সেই বাঁধ অপসারণ শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর বন্দর এলাকায় বহুল আলোচিত সেই মহেশখাল বাঁধ অপসারণ শুরু হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল যৌথভাবে এ বাঁধ অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
কয়েকদিনের মধ্যে পুরো বাঁধ অপসারণ সমাপ্ত হবে বলে জানান মেয়র। গত কয়েকদিনের প্রবল জোয়ার আর ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ ও হালিশহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গতকালও ওই এলাকার বেশির ভাগ বাড়ি ঘর রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এজন্য স্থানীয়রা মহেশখালের বন্দর রিপাবলিক ক্লাবের পেছনের অংশে দেয়া অস্থায়ী বাঁধটি দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ ওই বাধের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় এ দুর্ভোগ। ২০১৫ সালের অক্টোবরে নগর পরিকল্পনাবিদদের বিরোধিতা উপেক্ষা করেই বাঁধটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাঁধ নির্মাণে ব্যয় করা হয় প্রায় এক কোটি ৬০লাখ টাকা। এ বাঁধটি এর মধ্যে ওই এলাকার কয়েক লাখ মানুষের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়। বাঁধ তুলে নিতে দফায় দফায় স্থানীয়রা সেখানে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে। গত বছরের ২১ মে বাঁধ খুলে দিতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর সেখানে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়। গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরার পর শুরু হওয়া বৃষ্টির প্রভাবে বাঁধের উজান ও ভাটির দুইপাশের মানুষই তিন দিন পানিবদ্ধ ছিল। সেসময় বাঁধ অপসারণের দাবি আরও জোরালো হলে ১ জুন নগর ভবনের এক বৈঠকে বাঁধটি অপসারণের ঘোষণা দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে এ বাঁধটি অপসারণ করছি। জোয়ারের পানি ঠেকানোর লক্ষ্যে আগ্রাবাদ-হালিশহর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী ভিত্তিতে মহেশখালের উপর একটি বাঁধ নির্মাণ করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বর্ষা মৌসুমের অতিবৃষ্টি, তার সাথে জোয়ারের পানিরচাপে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘবের লক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মহেশখালের উপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁধটি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হলো। একই সাথে পানিবদ্ধতার হাত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকাকে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য মহেশখালের মুখে পাম্পহাউসসহ সø্যুইচ গেইট নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি কেন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে না। জনস্বার্থে মেয়রের সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষ এক হয়ে কাজ করে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ