Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উৎসে কর মওকুফের দাবি

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিজিএপিএমইএ

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তৈরি পোশাক খাতের মতো গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতের উৎসে কর মওকুফ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। একইসঙ্গে কর্পোরেট কর কমানোও দাবি করেছে সংগঠনটি। সংগঠনটির দাবি খাতকে টিকিয়ে রাখতে উদ্যোক্তাদের সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক ঋণ সুবিধা দিতে হবে। আর এ খাতে ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দিতে হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিজিএপিএমইএ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ও ইফতার মাহফিলে এসব সুপারিশ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান বলেন, বাজেট ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রী তৈরি পোশাক খাতসহ এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতের কর্পোরেট কর ২০ শতাংশ নির্ধারণ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে কর্পোরেট কর ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে কমানো হয়নি। এ খাতের কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ। অথচ এ খাত তৈরি পোশাক খাতের পরিপূরক খাত। এ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং আন্তর্জাতিক বাজার ৫৮৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চায়। বিজিএমইএ ২০২১ সালে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। সরকারের এ ভিশন অর্জন করতে হলে ২০২১ সালের মধ্যে এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করতে হবে।
গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে কর্পোরেট কর কমানো না হলে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি সম্ভব হবে না। এ খাতে নতুন বিনিয়োগ ও পুনঃবিনিয়োগ আসবে না। এতে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে না। ফলে সরকার আগামী অর্থবছর যে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা অর্জিত হবে না।
বিজিএপিএমইএ সভাপতি বলেন, রপ্তানিমুখী কারখানা তৈরির ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কমপ্লায়েন্ট ফ্যাক্টরি ছাড়া ক্রেতারা কাজ দিতে চায় না। কমপ্লায়েন্স এর পেছনে ব্যয়ের কারণে উৎপাদন খরচ বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের দ্বিতীয় সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, পরিচালক শেখ আবিদুর রহমান, খান নজরুল ইসলাম হান্নান, আবু কায়সার ভূঁইয়া, সিরাজুল ইসলাম খান, ওমর ফারুক, সচিব মোহাম্মদ সাখাওয়াত আলী খান উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ