পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নীতিমালা প্রণয়েন কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি জানান, এমপিওভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ সংশোধন করা হচ্ছে। এতে শতকরা ৫০ ভাগের স্থলে শতকরা ৮০ ভাগ সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক- শিক্ষিকা পদে পদোন্নতির সুযোগ পাবেন।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।
সরকারি দলের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, শিক্ষকদের শ্রেণি কার্যক্রমে আরো বেশি মনোযোগী করতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নতি করা হয়েছে। এতে তাঁদের আর্থিক সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বেসরকরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ বেতন পাচ্ছেন শতকরা ১০০ ভাগ। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও জুলাই ২০১৫ থেকে নতুন জাতীয় স্কেলে ২০১৫ অনুসারে বেতন দেওযার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। জুলাই ২০১৬ থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকার স্থলে এক হাজার টাকা হারে প্রদান করা হবে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এবতেদায়ী মাদরাসার ভাতার আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ৪ জন করে শিক্ষককে ৫০০ টাকার পরিবর্ততে এক হাজার টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, শিক্ষকদের পাঠদানে সৃজনশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে সৃজনশীল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। বিগত দুই বছরে ৭৮ হাজার শিক্ষককে সৃজনশীল বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ কার্যক্রম অংশ হিসেবে পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্র কোন প্রকার মোবাইল ফোন বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে সচিব ছাড়া অন্যান্য শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার কিংবা বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্র সচিবও পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে না। যে সকল কেন্দ্রে এর ব্যত্যয় পাওয়া গেছে এবং যাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহের সময় সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ৩ জন শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কলেজ শিক্ষকগণ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা, দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে গেজেটেড কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন হাজিরা দেবার ব্যবস্থা নেই। তবে কলেজের শিক্ষকগণ নিয়মিত কলেজে আসেন। শিক্ষকদের নিয়মিত হাজিরা নিশ্চিত করতে করতে দেশের কিছু সরকারি ও বেসরকারি কলেজে নিজস্ব অর্থায়নে কার্ড পাঞ্চিং চালু করেছে বলেও জানান তিনি।
জাসদের সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রী এনরোলমেন্টের হার ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ বছরে পলিটেকনিকে ছাত্রীদের ভর্তির হার ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিপ্লোমা পর্যায়ে ছাত্রীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। সরকারি বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৪ জন, ২০১৯ সালে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭২২ এবং ২০২০ সালে ৬ লাখ ৪৭ হাজার ছাত্রী ভর্তিও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
প্রথম শ্রেণি থেকে ইংরেজি শিক্ষা : প্রথম শ্রেণি থেকে বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। জাতীয় পার্টির সদস্য বেগম সালমা ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, শিক্ষাক্রমের আওতায় প্রতিটি শ্রেণিতে ইংরেজি পাঠদান যথাযথ করতে শিক্ষক সহায়িকা ও নির্দেশনা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকদের দক্ষ করে তোলার জন্য কাস্টমাইজড বিশেষ প্রশিক্ষণসহ বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি দলের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানান, একীভুত শিক্ষার আওতায় দেশের শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের জন্য সকল বিদ্যালয়ে র্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, সরকার থেকে হুইল চেয়ার ও ক্র্যাচ প্রদানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য হিয়ারিং এইড প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অটিস্টিক শিশুদের সঠিকভাবে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের ভর্তির জন্য প্রতিটি উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে ‘এসিস্টিভ ডিভাইস’ কেনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।