পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু , বগুড়া ব্যুরো ঃ বগুড়ার রাজনীতিতে ক্রমশ নির্বাচন মুখি কর্মকান্ড লক্ষনীয় হয়ে উঠছে আর আগামী জাতীয় নির্বাচনে যারা দলের বা জোট মহাজোটের মনোনয়ন নিতে আগ্রহী তারা শুরু করে দিয়েছেন গণসংযোগ সহ সার্বিক তৎপরতা। চেষ্টা করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের মিডিয়া ফোকাসের মাধ্যমে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষনের। বগুড়ার ৭টি আসনের যারা বর্তমান এমপি তারা চেষ্টায় আছেন আগামী নির্বাচনেও যেন তাদের দলীয় এবং জোটের মনোনয়ন অটুট থাকুক । আবার যারা গতবার মনোনয়ন পাননি , তারাও তৎপর হয়ে উঠেছেন যেন মনোনয়নের ‘ছিকা’ ( দড়িতে ঝোলানো ভান্ড ) তাদের কপালে ছিঁড়ে এসে তাদের কপালে জোটে !
বগুড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনের সদরে অন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , বিগত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় মহাজোটের পক্ষ থেকে বিশেষ রাজনৈতিক কৌশলের কারণে বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনের মাত্র দুটিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয় । এরা হলেন বগুড়া ( সারিয়াকান্দি - সোনাতলা ) -১ সংসদীয় আসনে আব্দুল মান্নান এবং বগুড়া ( শেরপুর - ধুনট ) - ৫ আসনে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান ওরফে এসপি হাবিবকে । অপরদিকে বগুড়া ( শিবগঞ্জ ) ২ আসনে জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্না , বগুড়া ( আদমদীঘি - দুপচাাঁচিয়া ) - ৩ আসনে নুরুল ইসলাম বাচ্চু , বগুড়া ( সদর ) - ৬ আসনে নুরুল ইসলাম ওমর , বগুড়া ( গাবতলী - শাজাহানপুর )- ৭ আসনে এ্যাড. আলতাফ আলীকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এবং বগুড়া ( কাহালু - নন্দিগ্রাম )- ৪ আসনে জাসদ ( ইনু ) এর পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় । সার্বিক পারফর্মেন্সের আলোকে ওই এপিদের মধ্যে বগুড়া -৩ এবং বগুড়া - ৭ আসনে জাতীয় পার্টির পরিবর্তে আগামীতে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকেই প্রার্থীতা দেয়া হবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। যদিও আওয়ামীলীগের দলীয় সুত্রে পাওয়া একটি সুত্রে জানা যায় , দলের স্বার্থের কথা বিবেচনায় এনে আগামীতে বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনেই আওয়ামীলীগাদের মনোনয়ন দেওয়া হয় ,সেই দাবী কেšেদ্রর কাছে করবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ । তবে জোটের বৃহত্তর স¦ার্থ বিবেচনায় মহাজোটের বড় শরিক জাতীয় পার্টির সভাপতি / সাধারণ সম্পাদকের এবং জাসদের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম তানসেনের মনোনয়ন আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে বলে সুত্রে জানা যায় ।
অপরদিকে আগামী নির্বাচন যে ফর্মেটেই হোকনা কেন বিএনপি আর গতবারের ভুলের পূণরাবৃত্তি ঘটাবেনা এই ধারণা থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তৎপরতা শুরু করেছে জোরে শোরে। দলীয় সুত্রে জানা গেছে , সংস্কারবাদী হিসেবে চিহ্ণিত বগুড়া -১ আসনের সাবেক এমপি কাজী রফিক , বগুড়া - ৪ আসনের সাবেক এমপি ডাঃ যিয়াউল হক এবং বগুড়া -৫ আসনের সাবেক এমপি জিএম সিরাজ দলের সেন্ট্রাল ও স্থানীয় পর্যায়ে লবিং ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। তবে কেবল কাজী রফিক ছাড়া অন্য দু’জন স্থানীয়ভাবে সুবিধা করে উঠতে পারেণনি বলে জানা গেছে। বগুড়া - ১ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার কারণে হেরে যাওয়া বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও সাবেক যুবলীগ নেতা মোঃ শোকরানা টাকার খেলায় আবারও দলের সাধারণ সম্পাদক পদ হাতিয়ে নেয়া সহ দলীয় মনোনয়নের চেষ্ঠা চালাচ্ছেন। ফলে তাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই দলে বিভক্তি তৈরী হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির প্রায় সর্বস্তরের নেতা কর্মি সমর্থকরা। এই আসনে ২০ দলের শরিক কেন্দ্রীয় জাগপার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান অথবা জনপ্রিয় তরুণ বিএনপি নেতা সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যানও মনোনয়ন পেতে পারেণ বলে গুঞ্জন রয়েছে । বগুড়া -২ আসনের সাবেক এমপি ও হুইপ রেজাউল বারী ডিনার মৃত্যুতে যে শুন্যতা এই আসনে সৃষ্টি হয়েছে তরুণ নেতা ও দলের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম সেই শুন্যতা পূরণের চেষ্টায় আছেন বলে তথ্য পাওয়া যায় । বগুড়া -৩ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা সমপ্্রতি যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী হয়ে ফেরার জীবন যাপন করায় তার জায়গায় অন্তত ৪/৫জন সিনিয়র জুনিয়র নেতা সৃষ্ট শুন্যতা পূরণের চেষ্টায় আছেন । বগুড়া - ৪ আসনে সাবেক এমপি মোস্তফা আলী মুকুল তার দায়িত্ব পালন কালে এতই বিতর্কিত ও অজনপ্রিয় হয়ে পড়েন যে তিনি এখন স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় কোন পর্য়ায়েই আর মুখ পাচ্ছেন না । এই সুযোগে তারই সাবেক সহযোগী এবং জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড , রাফি পান্না এলাকায় রাজনীতির মাঠ প্রায় গুছিয়ে এনেছেন । জামায়াতের আধিপত্য প্রবণ এই এলাকায় বিএনপি জামায়াতের হাজার হাজার নেতা কর্মির মামলা মোকদর্দমা বিনা খরচে চালিয়ে এই আসনে তিনি একক নেতৃত্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন । যা দলীয় মনোনয়ন লাভে তাকে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে রাখবে বলে তিনি ও তার সমর্থকরা আশাবাদী । বগুড়া - ৫ আসনে জনপ্রিয় দুই রাজনীতিবিদ মাহবুবুর রহমান হারেজ এবং জানে আলম খোকার মধ্যে কেউ একজন মনোনয়ন পাবে বলে নেতা কর্মিদের ধারণা ।
বগুড়া - ৬ ও বগুড়া - ৭ আসনে বরাবরের মতো আগামীতেও বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত বলে ধারণা পাওয়া গেছে। এছাড়া বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের বিদ্রোহী এবং বেম কয়েকজন সতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতায় তাকবেন বলেও জানা গেছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।