Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দিচ্ছে ইসি

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দলের সকল কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের জন্য নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলকে আগামী সপ্তাহে চিঠি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধন প্রথা চালুর প্রায় ১০ বছর পার হলেও অগ্রগতি না হওয়ায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বাধ্য-বাধকতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনকিলাবকে ইসি সচিব মাহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
ইসি সচিব বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই দলগুলো নিয়মিত কাউন্সিল করে যাচ্ছে। পাশাপাশি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানটি অনুসরণের বিষয়টি দলগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। এজন্য তাদের এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ইসির। শিগগির দলগুলোর সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি পৌঁছে যাবে।
আরপিও’র ৯০-এর খ-এর খ(২) অনুচ্ছেদে, কেন্দ্রীয় কমিটিসহ রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারী সদস্যদের জন্যে সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং এই লক্ষ্যমাত্রা পর্যায়ক্রমে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর পর ২০২০ সালের মধ্যে পূরণের প্রতিশ্রæতি ইসিকে দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। প্রতিশ্রæতি সত্তে¡ও এখনও ১৫ শতাংশও নারী সদস্য পূরণ করতে পারেনি দলগুলো। ইসি সূত্র জানায়, গত বছর মার্চে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েও শেষ পর্যন্ত তা দিতে পারেনি বিগত কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন। এবছর এ সংক্রান্ত চিঠি প্রস্তুত রয়েছে। এই কমিশনের প্রথম চিঠি পাঠানো হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরণের কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একজন গবেষক জানান, কেন্দ্রীয় পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য কমিটিতে বড় তিন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির গড়ে এখনও ১১ শতাংশ পদে নারী সদস্য নেই। ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় রয়েছে। দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কিছু নারী নেতৃত্ব থাকলেও তৃণমূলে এ দৃশ্য খুবই হতাশাজনক। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে নির্বাচনী রোডম্যাপও তৈরি করছে। নির্বাচনী আইন সংস্কারসহ নানা বিষয়ে আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে সংলাপ শুরুর কথাও রয়েছে। সংলাপের প্রাক্কালে দলগুলোর কাছে নারী প্রতিনিধিত্ব এ নিয়ে চিঠি যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে দলগুলোর সদিচ্ছা থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা নির্বাচন কমিশনের।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ইনকিলাবকে জানান, নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যপূরণ করতে না পারলে নিবন্ধন বাতিলের মতো কোনো নির্দেশনাও আইনে বলা হয়নি। তবে আরপিও সংশোধন করে আবার সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ