Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার নামে প্রতারণা করছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে প্রতারণা করছে। তিনি বলেন, সরকার বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালনে বাধা দিচ্ছে। গতকালও সরকারি দলের সংগঠনের নেতাদের বাধায় বিরোধী দলের নেতারা ইফতার মাহফিল করতে পারে নাই। এছাড়া ইফতারের আয়োজকের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদেরও গ্রেফতার করছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে বিশদলীয় জোট শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর পল্টন এলাকায় হোটেল ফার্সে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের আমলে হিন্দুদের মন্দির এবং বৌদ্ধদের উপাসনালয় ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টির ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করা হচ্ছে।  
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মওদুদ সাহেবকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের সময় কোন প্রকারের আইন মানা হয়নি।  সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে জোর করে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। একইভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ একবেলা না খেয়ে থাকছে। মোটা চাল কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ফলে দেশের অর্থনীতিতে মাইক্রো মেনেজমেন্ট সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাংকগুলোর উপর সরকারের আর কোন নিয়ন্ত্রণ নাই- বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
দেশের মানুষ একক নির্বাচনে অংশ নেবে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, দেশে এমন এক নির্বাচন হতে হবে যেখানে জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। তা কেবল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই সম্ভব। আমরা আশা করছি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। জনগণের কথা ভেবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিবে। আর তা না হলে এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে নিজেদের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। দেশের মানুষ একক নির্বাচনে অংশ নিবে না।
দলের মহাসচিব আল্লামা নুর হোসাইন কাশেমীর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুসলিম লীগের সভাপতি কাজী আবুল খায়ের, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তাফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার  গোলাম মোর্তুজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সভাপতি ড. ঈশা সাহেদী, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মাওলানা ওবায়দুল হক খান নদভী, খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা মজিবুর রহমান পেশোয়ারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা জালালউদ্দিন, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, দলের সহসভাপতি জহিরুল হক ভুইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, প্রচার মাওলানা জয়নাল আবেদিন, অর্থ মুফতি মুনির হোসাইন, মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরিসহ ওলিউল্লাহ আরমান, মাওলনা শরফুদ্দিন ইয়াহইয়া কাশেমী, ছাত্রনেতা মুফতি নাসিরউদ্দিন খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি।  
আলোচনা শেষে দলের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ